অথর্ববেদ
চার বেদের মধ্যে একটি / From Wikipedia, the free encyclopedia
অথর্ববেদ (সংস্কৃত: अथर्ववेद, অথর্বণ ও বেদ শব্দের সমষ্টি) হল হিন্দুধর্মের সর্বোচ্চ ধর্মগ্রন্থ বেদের চতুর্থ ভাগ। ‘অথর্ববেদ’ শব্দটি সংস্কৃত অথর্বণ (দৈনন্দিন জীবনযাত্রার প্রণালী) ও বেদ (জ্ঞান) শব্দদুইটির সমষ্টি।[3] অথর্ববেদ বৈদিক সাহিত্যের পরবর্তীকালীন সংযোজন।[4][5]
অথর্ববেদ | |
---|---|
তথ্য | |
ধর্ম | হিন্দুধর্ম |
ভাষা | বৈদিক সংস্কৃত |
যুগ | আনু. ১২০০–৯০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের মধ্যবর্তি (যজুর্বেদ, সামবেদ, অথর্ববেদ)[1] |
মন্ত্র | প্রায় ৫,৯৭৭টি মন্ত্র[2] |
সুক্ত | ৩০টি সুক্ত |
খণ্ড | ২০টি খণ্ড |
অথর্ববেদ বৈদিক সংস্কৃত ভাষায় রচিত। ২০টি খণ্ডে বিভক্ত এই বেদে ৭৩০টি সূক্ত ও ৫,৯৭৭টি মন্ত্র আছে।[6] অথর্ববেদের এক-ষষ্ঠাংশ সূক্ত ঋগ্বেদ থেকে সংকলিত। ১৫শ ও ১৬শ কাণ্ড ব্যতীত এই বেদে সূক্তগুলে নানাপ্রকার বৈদিক ছন্দে রচিত।[6] এই গ্রন্থের দুটি পৃথক শাখা বা সংস্করণ বর্তমানে পাওয়া যায়। এগুলো হল পৈপ্পলাদ শাখা ও শৌনকীয় শাখা।[7] মনে করা হয় যে, পৈপ্পলাদ শাখার নির্ভরযোগ্য প্রাচীন পাণ্ডুলিপিগুলো হারিয়ে গেছে। তবে ১৯৫৭ সালে ওড়িশা থেকে একগুচ্ছ সুসংরক্ষিত তালপাতার পাণ্ডুলিপি আবিষ্কৃত হয়।[7]
কেনেথ জিস্কের মতে, অথর্ববেদ ধর্মীয় ঔষধ-চিকিৎসাবিদ্যার বিবর্তনের সেই প্রাচীনতম নথিগুলোর অন্যতম যা আজও পাওয়া যায়। তার মতে, অথর্ববেদ 'প্রাচীন ইন্দো-ইউরোপীয় সমাজের লোকচিকিৎসার আদি রূপটি’ প্রকাশ করেছে।[8]
সম্ভবত সামবেদ ও যজুর্বেদের সমসাময়িক কালে অথবা আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৫৪০০ – ৩২০০ অব্দ নাগাদ অথর্ববেদ রচিত হয়।[9] সংহিতা অংশটি ছাড়া অথর্ববেদের একটি ব্রাহ্মণ অংশ রয়েছে এবং এই বেদের শেষাংশ উপনিষদ্ দর্শনতত্ত্ব নিয়ে আলোচনা করেছে। অথর্ববেদের উপনিষদ্ বা শেষাংশ (বেদান্ত) তিনটি প্রধান উপনিষদ্ নিয়ে গঠিত। এগুলো হিন্দু দর্শনের বিভিন্ন শাখাকে প্রভাবিত করেছে। এগুলো নাম হল মুণ্ডক উপনিষদ্, মাণ্ডুক্য উপনিষদ্ ও প্রশ্ন উপনিষদ্। [10][11]