অর্থশাস্ত্র
রাষ্ট্রবিজ্ঞান, রাজনীতি, অর্থনীতি, এবং সামরিক কৌশল সম্পর্কিত সংস্কৃত গ্রন্থ / From Wikipedia, the free encyclopedia
অর্থশাস্ত্র (সংস্কৃত: अर्थशास्त्रम्) হল মূলত রাষ্ট্রবিজ্ঞান, রাজনীতি, অর্থনীতি, এবং সামরিক কৌশল সম্পর্কিত প্রাচীন ভারতীয় সংস্কৃত গ্রন্থ।[1][2][3] পাঠ্যটি সম্ভবত বহু শতাব্দী ধরে অনেক লেখকের কাজের সম্মিলিত রুপ।[4] খ্রিস্টপূর্ব ২য় শতাব্দী এবং খ্রিস্টপূর্ব ৩য় শতাব্দীর মধ্যে রচনা, সম্প্রসারিত ও সংশোধিত।[5] তবে ঐতিহ্যগতভাবে চাণক্যকে পাঠ্যের লেখক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।[6][7] এছাড়াও তক্ষশীলার পণ্ডিত, মৌর্য সম্রাট চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের শিক্ষক ও অভিভাবকেও এর লেখক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।[8] কিছু পণ্ডিত তাদেরকে একই ব্যক্তি বলে বিশ্বাস করেন,[9] এবং কিছু পণ্ডিত দ্বিমত পোষণ করেন।[10][11] জাতি রাষ্ট্রের ক্ষমতা সংজ্ঞায়িত করতে এটির অনন্য পদ্ধতি রয়েছে।[12][13] পাঠ্যটি দ্বাদশ শতাব্দী পর্যন্ত প্রভাবশালী গ্রন্থ হিসাবে বিবেচিত হয়েছিল।
অর্থশাস্ত্র | |
---|---|
তথ্য | |
ধর্ম | হিন্দুধর্ম |
রচয়িতা | চাণক্য |
ভাষা | সংস্কৃত |
যুগ | খ্রিস্টপূর্ব ২য় শতাব্দী থেকে খ্রিস্টপূর্ব ৩য় শতাব্দী |
পাঠ্যটিতে সরকারের প্রকৃতি, আইন, দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত ব্যবস্থা, নীতিশাস্ত্র, অর্থনীতি, বাজার ও বাণিজ্য, মন্ত্রীদের যবনিকা করার পদ্ধতি, কূটনীতি, যুদ্ধের তত্ত্ব, শান্তির প্রকৃতি, এবং রাজার কর্তব্য ও বাধ্যবাধকতা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।[14][15][16][17] পাঠ্যটি হিন্দু দর্শনকে অন্তর্ভুক্ত করে,[18] পাশাপাশি কৃষি, খনিজবিদ্যা, খনি ও ধাতু, পশুপালন, ঔষধ, বন ও বন্যপ্রাণীর প্রাচীন অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বিবরণ অন্তর্ভুক্ত করে।[19] পাঠ্যটি মনুসংহিতায় অন্তর্ভুক্ত রাজা, শাসন ও আইনি পদ্ধতির মতো হিন্দু গ্রন্থগুলি দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে।[20][21] অর্থশাস্ত্র সামাজিক কল্যাণের বিষয়গুলি অন্বেষণ করে, এবং এটি একটি সামষ্টিক নীতিশাস্ত্র যা সমাজকে একত্রিত করে।[14]