আলভিন রবার্ট কর্নেলিয়াস
পাকিস্তানের চতুর্থ প্রধান বিচারপতি ও আইনজ্ঞ ছিলেন। / From Wikipedia, the free encyclopedia
আলভিন ববি রবার্ট কর্নেলিয়াস, এইচপিকে (জন্ম: ৮ মে, ১৯০৩ - মৃত্যু: ২১ ডিসেম্বর ১৯৯১) ছিলেন পাকিস্তানের চতুর্থ প্রধান বিচারপতি ও বিশিষ্ট আইনজ্ঞ। ১৯৬০ থেকে ১৯৬৮ পর্যন্ত পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। কর্নেলিয়াস ব্রিটিশ ভারতের উত্তর প্রদেশের আগ্রা শহরের এক উর্দুভাষী খ্রিস্টান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ভারতের এলাহবাদ বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইংল্যান্ডের সেলুইন কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ভারত সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন এবং পাঞ্জাব প্রদেশে সহকারী কমিশনার হিসেবে কাজ করেন। ১৯৪৩ সালে কর্নেলিয়াস লাহোর হাইকোর্টে কর্মজীবন শুরু করেন। কিছুদিন পরে পাঞ্জাব সরকারের বিচার বিভাগে যোগ দেন। এসময়ে তিনি লিগ্যাল ইতিহাসের ওপর গুরুত্বপূর্ণ বই লিখে একজন আইনজ্ঞ হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেন। ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলিম ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রতি বৈষম্য লক্ষ করে কর্নেলিয়াস "পাকিস্তান আন্দোলনের একজন সক্রিয় কর্মী হয়ে ওঠেন। একই সাথে "জাতীয়তাবাদী” চেতনার জাগরণে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।
আলভিন রবার্ট কর্নেলিয়াস الوین رابرٹ كورنيليس | |
---|---|
পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি | |
কাজের মেয়াদ ১৩ মে, ১৯৬০ – ২৯ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৮ | |
নিয়োগদাতা | আইয়ুব খান |
পূর্বসূরী | মুহাম্মদ শাহাবউদ্দিন |
উত্তরসূরী | শেখ আব্দুর রহমান |
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান | |
কাজের মেয়াদ ১৬ সেপ্টেমবার, ১৯৬০ – ১৪ মে, ১৯৬৩ | |
রাষ্ট্রপতি | আইয়ুব খান |
পূর্বসূরী | আইয়ুব খান |
উত্তরসূরী | মোজাফর হোসাইন |
কাজের মেয়াদ ৬ মার্চ, ১৯৪৯ – ১৮ মে, ১৯৫৩ | |
রাষ্ট্রপতি | আইয়ুব খান |
পূর্বসূরী | ইফতেখার খান |
উত্তরসূরী | আব্দুস সাত্তার পীরজাদা |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ৮ মে, ১৯০৩ আগ্রা, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমান ভারত) |
মৃত্যু | ২১ ডিসেম্বর, ১৯৯১ লাহোর, পাকিস্তান |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় সেলুইন কলেজ |
পুরস্কার | হিলাল-ই-পাকিস্তান |
১৯৪৬ সালে কর্নেলিয়াস লাহোর হাইকোর্টের সহযোগী বিচারপতি নিযুক্ত হন এবং পাকিস্তানের নাগরিকত্বের সুযোগ নেন। তিনি ক্রমে দেশের আইনের জগতে একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব পরিণত হন। প্রথমদিকে তিনি আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসাবে আইনমন্ত্রী যোগেন্দ্রনাথ মণ্ডল ও প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খানের সাথে কাজ করেছেন। তার উল্লেখযোগ্য মামলাগুলো: অমুসলিম জনগোষ্ঠীর অধিকার (ধর্মের স্বাধীনতা), বগুড়া কেস- রাষ্ট্রপতির সংরক্ষিত ক্ষমতার বিরুদ্ধে ( পাকিস্তানের তৎকালীন সংবিধানের অষ্টম সংশোধনীর ৫৮(২)বি অনুচ্ছেদ দ্রষ্টব্য), কর্মস্থল ও শ্রম আইন সংক্রান্ত, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের স্পোর্টস ল' সংক্রান্ত। বিচারক হিসাবে শ্রদ্ধাভাজন কর্নেলিয়াস ধর্মীয় উগ্রবাদের বিরুদ্ধে ছিলেন। একটি মামলায় তিনি পর্যবেক্ষণ প্রদান করেন :"A general feeling of [great] despair, a widespread of [self] confidence... and common readiness in the anticipate the worst".
১৯৬০ সালে প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান বিচারপতি কর্নেলিয়াসকে পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি মনোনীত করেন। পাকিস্তানের প্রথম খ্রিস্টান প্রধান বিচারপতি হিসাবে তিনি ছিলেন খ্যাতিমান প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব। অবসর গ্রহণের পরেও কর্নেলিয়াস সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকার সংরক্ষণের, ধর্মপালনের স্বাধীনতার প্রতীক ছিলেন। তিনি ধারাবাহিকভাবে পাকিস্তানের কয়েকটি সরকারের আইন উপদেষ্টা হিসাবেও কাজ করেছেন। পাকিস্তানের আইনজ্ঞগণ তার মতামতগুলো সম্পর্কে মন্তব্য করেন যে, the greatest defences of "freedom of religion" written by a Christian Chief Justice of a Muslim state.