উইলিয়াম ব্লেইক
From Wikipedia, the free encyclopedia
উইলিয়াম ব্লেইক (ইংরেজি: William Blake; ২৮ নভেম্বর ১৭৫৭ – ১২ আগস্ট ১৮২৭) ইংরেজ কবি, চিত্রশিল্পী এবং মুদ্রাকর, যাকে রোমান্টিক যুগ এর অগ্রদূত বলা হয়। জীবদ্দশায় যথেষ্ট স্বীকৃতি না পেলেও বর্তমানে তাকে রোমান্টিক যুগের কবিতা এবং চিত্রশিল্পের ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের একজন বিবেচনা করা হয়। তার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন কবিতাগুলো যতোটা মেধার স্বাক্ষর বহন করে সে তুলনায় ইংরেজি সাহিত্যে তার কবিতা সবচেয়ে কম পঠিত হয়েছে।[2] তার আঁকা ছবি এতোই চিন্তা উদ্দীপক ছিল যে একজন সমসাময়িক শিল্প সমালোচক তাকে ঘোষণা দিয়েছিলেন, "ব্রিটেন যত শিল্পী সৃষ্টি করেছে তার মধ্যে নিঃসন্দেহে সবার সেরা এবং অন্য যে কারও চেয়ে অনেক এগিয়ে"।[3] তিন বছর ফেল্পহ্যামে থাকাটা বাদ দিলে জীবনের পুরোটা সময়ই লন্ডনে কাটিয়েছেন। কিন্তু তার কর্ম এতো বৈচিত্র্যময় ও রূপকাশ্রিত যে মনে হয় তিনি যেন "ঈশ্বরের সর্বস্ব"[4] বা "গোটা মানব অস্তিত্ব"[5] কল্পনায় ধারণ করতেন।
উইলিয়াম ব্লেইক | |
---|---|
জন্ম | (১৭৫৭-১১-২৮)২৮ নভেম্বর ১৭৫৭ সোহো, লন্ডন, গ্রেট ব্রিটেন |
মৃত্যু | ১২ আগস্ট ১৮২৭(1827-08-12) (বয়স ৬৯) চেয়ারিং ক্রস, লন্ডন, গ্রেট ব্রিটেন[1] |
পেশা | কবি, চিত্রশিল্পী, মুদ্রক |
ধরন | দর্শন, কাব্য |
সাহিত্য আন্দোলন | রোমান্টিকতা |
উল্লেখযোগ্য রচনাবলি | Songs of Innocence and of Experience, The Marriage of Heaven and Hell, The Four Zoas, Jerusalem, Milton, And did those feet in ancient time |
দাম্পত্যসঙ্গী | ক্যাথরিন বাউচার (১৭৮২–১৮২৭, উইলিয়ামের মৃত্যু অবধি) |
স্বাক্ষর |
খেয়ালি মেজাজ ও অনন্য দৃষ্টিভঙ্গির কারণে সমসাময়িকদের অনেকে তাকে পাগল ভাবতেন। কিন্তু পরবর্তী যুগের সমালোচকরা তার প্রকাশভঙ্গী ও সৃজনশীলতা এবং তার লেখা ও ছবির দার্শনিক ও আধ্যাত্মিক অন্তঃসার দেখে মুগ্ধ হয়েছেন। তার ছবি ও কবিতাকে রোমান্টিক বা প্রাক-রোমান্টিক আন্দোলনের বৈশিষ্ট্যে বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত বলে চিহ্নিত করা হয়েছে,[6] কারণ তার মূল প্রকাশ অষ্টাদশ শতকে। বাইবেলের প্রতি ভক্তি থাকলেও ব্লেইক চার্চ অফ ইংল্যান্ডের প্রতি ক্ষিপ্ত ছিলেন, আসলে সকল ধরনের সংগঠিত ধর্মের প্রতিই তার ক্ষোভ ছিল। তিনি ফরাসি বিপ্লব এবং মার্কিন বিপ্লব এর আদর্শ ও উচ্চাভিলাস[7] এবং Jakob Böhme ও Emanuel Swedenborg এর মত চিন্তাবিদদের দ্বারা অণুপ্রাণিত হয়েছিলেন।[8] এই অণুপ্রেরণাগুলো থাকলেও তার কর্মের অনন্যতা তাকে কোন নির্দিষ্ট শ্রেণীর মাঝে ফেলতে দেয় না। ঊনবিংশ শতকের পণ্ডিত উইলিয়াম রোজেটি তাকে glorious luminary (প্রসিদ্ধ জ্যোতিষ্ক) বলেছিলেন[9] এবং তার মতে ব্লেইক এমন একজন ব্যক্তি "যার আগমন তার পূর্বসূরীরা অনুমান করতে পারেনি, যাকে তার সমসাময়িকদের সাথে এক কাতারে দাঁড় করানো যায় না এবং যাকে কোন উত্তরসূরী দিয়ে কোনদিন প্রতিস্থাপিত করা যাবে না"।[10]