উয়েফা ইউরো ২০২০
১৬ তম ইউরোপীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ / From Wikipedia, the free encyclopedia
২০২০ উয়েফা ইউরোপীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ (যা সাধারণত ২০২০ উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপ, উয়েফা ইউরো ২০২০ অথবা শুধুমাত্র ইউরো ২০২০ নামে পরিচিত) উয়েফা দ্বারা আয়োজিত চতুর্বার্ষিক আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতা উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপের ১৬তম আসরের চূড়ান্ত পর্ব ছিল,[1] যেখানে ইউরোপের ফুটবল সংস্থা উয়েফার অন্তর্ভুক্ত ২৪টি জাতীয় ফুটবল দল (পুরুষ) প্রতিযোগিতা করেছে। এই আসরটি ২০২১ সালের ১১ই জুন হতে ১১ই জুলাই পর্যন্ত ইউরোপের ১১টি দেশের ১১টি শহরে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
বিবরণ | |
---|---|
স্বাগতিক দেশ | |
তারিখ | ১১ জুন – ১১ জুলাই |
দল | ২৪ |
মাঠ | ১১ (১১টি আয়োজক শহরে) |
চূড়ান্ত অবস্থান | |
চ্যাম্পিয়ন | ইতালি (২য় শিরোপা) |
রানার-আপ | ইংল্যান্ড |
পরিসংখ্যান | |
ম্যাচ | ৫১ |
গোল সংখ্যা | ১৪২ (ম্যাচ প্রতি ২.৭৮টি) |
দর্শক সংখ্যা | ১০,৯৯,২৭৮ (ম্যাচ প্রতি ২১,৫৫৪ জন) |
শীর্ষ গোলদাতা | পাত্রিক শিক ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো (৫টি গোল) |
সেরা খেলোয়াড় | জানলুইজি দন্নারুম্মা |
সেরা যুব খেলোয়াড় | পেদ্রি |
← ২০১৬ ২০২৪ → |
এই প্রতিযোগিতাটি ইউরোপের ১২টি দেশের ১২টি শহরে ২০২০ সালের ১২ই জুন হতে ১২ই জুলাই পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ২০২০ সালের ১৭ই মার্চ তারিখে উয়েফা জানিয়েছিল যে, ইউরোপে করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারীর কারণে এই প্রতিযোগিতাটি এক বছর পিছিয়ে অনুষ্ঠিত হবে। মূলত করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারীর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ইউরোপে দেশগুলোতে সরকারি পরিষেবার উপর চাপ কমাতে এবং দেশীয় লীগ স্থগিতের জন্য সময়সূচীতে স্থান দেওয়ার জন্য এই প্রতিযোগিতাটি স্থগিত করা হয়েছিল।[2] তবে, ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত হলেও এই আসরটি এখনও "উয়েফা ইউরো ২০২০" নামেই অনুষ্ঠিত হয়েছে।[3]
উয়েফার তৎকালীন সভাপতি মিশেল প্লাতিনি বলেছিলেন, ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতার ৬০তম "জন্মদিন" উদ্যাপনের জন্য এই আসরটি বেশ কয়েকটি দেশে "রোমান্টিক" একবারের আয়োজন হিসাবে আয়োজিত হবে।[4] এই আসরের ম্যাচগুলো আয়োজনের জন্য প্রত্যেক দেশের অন্যতম সর্বাধিক ধারণক্ষমতাসম্পন্ন স্টেডিয়ামগুলোতে বেছে নেওয়া হয়েছিল; ইংল্যান্ডের লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামটি এই আসরের একটি সেমিফাইনাল ম্যাচ আয়োজনের পাশাপাশি উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনাল ম্যাচের আয়োজন করবে (ইতিপূর্বে ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ১৯৯৬ সালের চেক প্রজাতন্ত্র এবং জার্মানির মধ্যকার ফাইনাল ম্যাচ আয়োজিত হয়েছে)। এই আসরের উদ্বোধনী ম্যাচটি রোমের স্তাদিও অলিম্পিকোতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যেখানে স্বাগতিক ইতালি তুরস্কের মুখোমুখি হয়েছে। মূলত ১৩টি মাঠে খেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল, তবে পরবর্তীকালে দুই স্বাগতিক দেশকে অপসারণ করা হয়েছিল: ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে ব্রাসেল্সের ইউরোস্টেডিয়াম নির্মাণের বিলম্বের কারণে[5] ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে দর্শকরা উপস্থিত থাকতে পারবেন এমন কোন অনিশ্চয়তার কারণে ডাবলিনকে অপসারণ করা হয়েছিল। স্পেন তাদের আয়োজক শহর বিলবাও থেকে সেভিয়ায় পরিবর্তন করে ম্যাচে দর্শকের উপস্থিতির অনুমতি দিয়েছিল।[6]
পর্তুগাল উয়েফা ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন, যারা ২০১৬ সালে ফাইনাল ম্যাচে ফ্রান্সকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপা জয়লাভ করেছে। উয়েফা ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এই আসরে ভিডিও সহকারী রেফারি (ভিএআর) পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে।[7] ফাইনালের অতিরিক্ত সময় শেষে ১–১ গোলে ড্র হওয়ার পর পেনাল্টি শুট-আউটে ইতালি ইংল্যান্ডকে ৩–২ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করে ১৯৬৮ সালের পর প্রথম, উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা জয়লাভ করেছে।[8][9][10]