কৃষ্ণদেবরায় ছিলেন বিজয়নগর সাম্রাজ্যের একজন সম্রাট যিনি ১৫০৯-১৫২৯ খ্রিস্টাব্দ অবধি রাজত্ব করেছিলেন। তিনি তুলু রাজবংশের তৃতীয় শাসক ছিলেন এবং তাকে সাম্রাজ্যের সর্বশ্রেষ্ঠ শাসক হিসাবে বিবেচনা করা হয়। সম্রাট কৃষ্ণদেবরায় কন্নড় রাজ্য রাম রামন ( কন্নড় সাম্রাজ্য অধিপতি), অন্ধ্র ভোজা (তেলুগু সাহিত্যের ভোজরাজ) এবং মুরু রায়রা গান্ডা (ত্রিলোকাধিপতি) ইত্যাদি উপাধি অর্জন করেছিলেন। তিনি বিজাপুর সুলতান, গোলকোন্ডা, বাহমানি সুলতানিয়াত এবং ওড়িশার গজপতিদের পরাজিত করে দাক্ষিণাত্যের একুজন প্রভাবশালী শাসক হয়েছিলেন এবং ভারতের অন্যতম শক্তিশালী হিন্দু সম্রাট ছিলেন[4]। মোগল সম্রাট বাবর যখন উত্তর ভারতের বেশিরভাগ অংশ শাসন করছিলেন, তখন কৃষ্ণদেবরায় ছিলেন দাক্ষিণাত্যের সবচেয়ে শক্তিশালী সম্রাট এবং ভারতীয় উপমহাদেশের নিরিখে একটি বিস্তৃত সাম্রাজ্যের অধিপতি[5]।
দ্রুত তথ্য কৃষ্ণদেবরায়, রাজত্ব ...
কৃষ্ণদেবরায়
বিজ্যনগর রাজ্যের সম্রাট
হায়দ্রাবাদ-এর হুসেন সাগর-এর তীরে সম্রাট কৃষ্ণদেবরায়ের ব্রোঞ্জ মূর্তি
পর্তুগিজ পর্যটক ডোমিংগো পেস এবং ফেরনাও নুনিজও তাঁর রাজত্বকালে বিজয়নগর সাম্রাজ্য পরিদর্শন করেছিলেন। তাঁদের বিরচিত ভ্রমণকাহিনীগুলি ইঙ্গিত দেয় যে রাজা কেবল একজন দক্ষ প্রশাসকই ছিলেন না, তিনি ছিলেন সম্মুখভাগ থেকে নেতৃত্বদানকারী একজন যোদ্ধা সেনাপতি যিনি যুদ্ধক্ষেত্রে আহতদের পরিচর্যা করতেও পিছপা হন না। দক্ষিণ ভারতীয় কবি মুকু টিমমনা তুর্কিদের ধ্বংসকারী হিসাবে তাঁর প্রশংসা করেছিলেন। কৃষনদেবরায়ের প্রধান পরামর্শদাতা ছিলেন পিতৃপ্রতিম প্রধানমন্ত্রী তিম্মারুসু, যিনি কৃষ্ণদেবরায়ের রাজ্যাভিষেকের জন্যেও সহায়তা করেছিলেন।