ক্যান্সারবিজ্ঞান
চিকিৎসাবিদ্যার একটি শাখা / From Wikipedia, the free encyclopedia
ক্যান্সারবিজ্ঞান বা অর্বুদবিজ্ঞান (ইংরেজি: oncology) হচ্ছে চিকিৎসাবিজ্ঞানের একটি শাখা, যা ক্যান্সারের প্রতিরোধ, নির্ণয় ও পর্যবেক্ষণ, এবং চিকিৎসা নিয়ে কাজ করে। যেসকল চিকিৎসক অনকোলজি নিয়ে কাজ করেন, তাঁদেরকে অনকোলজিস্ট (ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ) বলা হয়।[1] এই নামের ব্যুৎপত্তি গ্রিক শব্দ ὄγκος (অনকোস), যার অর্থ ১."বোঝা, আয়তন, ভর" ২."কাঁটা" এবং λόγος (লোগোস), যার অর্থ "বিদ্যা"।[2] ১৬১৮ সালে গ্যালেন অস্বাভাবিক টিউমার নিয়ে কাজ করার সময় ডি টিউমারিবাস প্রিটার ন্যাচারাম (Περὶ τῶν παρὰ φύσιν ὄγκων) বইয়ে সর্বপ্রথম নব্য-গ্রিক ভাষায় অনকোলজি শব্দটি ব্যবহার করেন। [3]
বিশেষায়িত ক্ষেত্র | ক্যান্সারের বৈশিষ্ট্যযুক্ত টিউমার | ||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
উপবিষয় | মেডিক্যাল অনকোলজি, সার্জিক্যাল অনকোলজি, রেডিয়েশন অনকোলজি | ||||||||||||||
উল্লেখযোগ্য পরীক্ষা | টিউমার মার্কার, টিএনএম স্টেজিং, সিটি স্ক্যান, এম আর আই | ||||||||||||||
বিশেষজ্ঞতা |
|
বিগত বছরগুলোতে ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের বেঁচে থাকার সময় ও হার দুটোই তিনটি প্রধান কারণে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই কারণগুলো হচ্ছে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণের (যেমন: ধূমপান ও অ্যালকোহল পান)[4] মাধ্যমে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা, সঠিক সময়ে রোগ নির্ণয়ের জন্য আধুনিক পরীক্ষা পদ্ধতি যার মাধ্যমে অনেক ক্ষেত্রে প্রাথমিক অবস্থাতেও ক্যান্সারের উপস্থিতি সঠিকভাবে নির্ণয় করা সম্ভব হয়,[5] এবং তৃতীয়ত, চিকিৎসা পদ্ধতির উন্নয়ন।[6][7]
ক্যান্সারের সঠিক চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে প্রায় সময়ই ক্যান্সার সম্মেলনগুলোতে বিভিন্ন বিষয়ে অভিজ্ঞ চিকিৎসা পেশাজীবীদের নিয়ে আলোচনা করা হয়।[8] অভিজ্ঞ পেশাজীবীদের মধ্যে থাকেন মেডিক্যাল অনকোলজিস্ট, সার্জিক্যাল অনকোলজিস্ট, রেডিয়েশন অনকোলজিস্ট, প্যাথলজিস্ট, রেডিওলজিস্ট, এবং সুনির্দিষ্ট অঙ্গভিত্তিক অনকোলজিস্টগণ যাঁরা এককভাবে প্রতিটি ক্যান্সার রোগীর শারীরিক, সামাজিক, মানসিক, আবেগপ্রবণতা, আর্থিক অবস্থা বিবেচনার মাধ্যমে তার সর্বোচ্চ মানসম্পন্ন চিকিৎসা প্রদান নিশ্চিত করার চেষ্টা করেন। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অনকোলজি বিষয়ক সর্বশেষ উন্নয়নগুলোর বিষয়ে অবগত থাকা অনকোলজিস্টদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ক্যান্সারের চিকিৎসায় যেকোনো ধরনের পরিবর্তন অনেকটাই স্বাভাবিক।
যেহেতু ক্যান্সার নির্ণয়ের ফলে রোগীর মানসিক অবসাদগ্রস্ততা ও দুশ্চিন্তা সৃষ্টি হতে পারে,[9] তাই স্বাস্থ্যকর্মীরা এসপিআইকেইএস (SPIKES) এর মত পন্থা ব্যবহার করে[10] রোগীকে ক্যান্সারের সংবাদ দিতে পারেন।[11]