জ্যোতিষশাস্ত্র ও জ্যোতির্বিজ্ঞান
জ্যোতিষশাস্ত্র ও জ্যোতির্বিজ্ঞান এর পার্থক্য / From Wikipedia, the free encyclopedia
প্রাচীনকালে জ্যোতিষশাস্ত্র ও জ্যোতির্বিজ্ঞান অভিন্ন বলে বিবেচিত হত (লাতিন: astrologia, অ্যাস্ট্রোলজিয়া)। পাশ্চাত্য সপ্তদশ শতকীয় দর্শনে ("যুক্তির যুগ") বিজ্ঞানীদের দ্বারা জ্যোতিষশাস্ত্র প্রত্যাখ্যাত হলে দু’টি বিদ্যা ক্রমে পৃথক হয়ে যায়। মধ্যযুগের পরবর্তী পর্যায়ে জ্যোতির্বিজ্ঞানকে মনে করা হত সেই ভিত্তি যার উপর দাঁড়িয়ে জ্যোতিষবিদ্যার কাজ চলতে পারে।[1]
অষ্টাদশ শতাব্দী থেকে দু’টি জ্যোতিষবিদ্যা ও জ্যোতির্বিজ্ঞান জ্ঞানের সম্পূর্ণ পৃথক দুই শাখা হিসেবে বিবেচিত হতে থাকে। জ্যোতির্বিজ্ঞান হল বিজ্ঞানের একটি শাখা এবং এই শাখার উপজীব্য বিষয় হল পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের বাইরে অবস্থিত বস্তু ও ঘটনাবলির পর্যালোচনা।[2][3][4] এটি একটি বহুপঠিত বিষয়। অন্যদিকে জ্যোতিষবিদ্যা, যার উপজীব্য বিষয় মহাজাগতিক বস্তুগুলির আপাত অবস্থানের ভিত্তিতে ভবিষ্যৎ ঘটনাবলির অগ্রকথন, তা ভবিষ্যৎ কথন বিদ্যার একটি শাখা ও একটি ছদ্মবিজ্ঞান। এই বিদ্যার কোনও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই।[5][6][7]