ধনুষ্টঙ্কার
এটি একটি মারাত্বক রোগ / From Wikipedia, the free encyclopedia
ধনুষ্টঙ্কার বা টিটেনাস, বা লক-জ, একটি ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ যার প্রধান লক্ষণ হল মাংস পেশীর খিঁচুনি| [1] সাধারণত , খিঁচুনি চোয়ালে শুরু হয় এবং তারপরে শরীরের বাকি অংশে ছড়িয়ে পরে। [1] প্রতিটি খিঁচুনির দমক সাধারণত কয়েক মিনিট স্থায়ী হয়। [1] প্রায়ই তিন থেকে চার সপ্তাহ ঘনঘন খিঁচুনি হতে থাকে। [1] কখনও কখনও খিঁচুনির দমক এতই তীব্র হয় যে তা হাড় ভাঙ্গার জন্যও যথেষ্ট । [6] টিটেনাসে এ ছাড়াও জ্বর, ঘাম, মাথাব্যথা, গিলতে সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ, দ্রুত হৃদস্পন্দন ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দেয় । [1] [6] লক্ষণগুলি সাধারণত সংক্রমণের তিন থেকে একুশ দিনের পর দেখা যায়। [1] সুস্থ হতে কয়েক মাস সময় লেগে যায়। [1] প্রায় দশ শতাংশ ক্ষেত্রে মৃৃত্যু হয়ে থাকে ।
এই নিবন্ধটি ইংরেজি থেকে আনাড়িভাবে অনুবাদ করা হয়েছে। এটি কোনও কম্পিউটার কর্তৃক অথবা দ্বিভাষিক দক্ষতাহীন কোনো অনুবাদক কর্তৃক অনূদিত হয়ে থাকতে পারে। |
Tetanus | |
---|---|
প্রতিশব্দ | Lockjaw |
Muscle spasms (specifically opisthotonos) in a person with tetanus. Painting by Sir Charles Bell, 1809. | |
বিশেষত্ব | Infectious disease |
লক্ষণ | fever, cramped-up jaw, Muscle spasms, headache, seizures, sweating, and trouble swallowing[1] |
রোগের সূত্রপাত | 3–21 days following exposure[1] |
স্থিতিকাল | Months[1] |
কারণ | Clostridium tetani[1] |
ঝুঁকির কারণ | Break in the skin[2] |
রোগনির্ণয়ের পদ্ধতি | Based on symptoms[1] |
প্রতিরোধ | Tetanus vaccine[1] |
চিকিৎসা | Tetanus immune globulin, muscle relaxants, mechanical ventilation[1][3] |
ঔষধ | diazepam and methocarbamol |
আরোগ্যসম্ভাবনা | 10% risk of death[1] |
সংঘটনের হার | 209,000 (2015)[4] |
মৃতের সংখ্যা | 56,700 (2015)[5] |
ক্লোস্ট্রিডিয়াম টেটানি ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের কারণে টিটেনাস হয়, যা সাধারণত মাটি, লালা, ধুলো এবং সারে পাওয়া যায়। এই ব্যাকটেরিয়াটি সাধারণত দূষিত বস্তুুর দ্বারা সৃষ্ট কাটা বা খোঁচার মত চামড়ার ক্ষতর মাধ্যমে মানব দেহে প্রবেশ করে. [2] এরা মানব দেহে এক প্রকার প্রতিবিষ (Toxin) তৈরি করে যা স্বাভাবিক পেশী সংকোচনে হস্তক্ষেপ করে। [3] এই রোগ উপস্থাপিত লক্ষণ এবং উপসর্গের উপর ভিত্তি করে নির্ণয় করা হয়। এই রোগ এক মানুষ থেকে অন্য মানুষে ছড়ায় না। [1]
টিটেনাস বা ধনুষ্টঙ্কারের টিকা দিয়ে ধনুষ্টঙ্কার প্রতিরোধ করা যেতে পারে। ক্ষত ভালভাবে পরিষ্কার করা উচিত এবং সকল মৃত দেহকোষ ও টিস্যু অপসারণ করা উচিত। যাদের ক্ষতর পরিমাপ উল্লেখযোগ্য এবং তিনটির কম টিকার ডোজ নেওয়া রয়েছে, তাদের টিকা এবং টিটেনাস ইমিউনো গ্লোবুলিন উভয়ই সুপারিশ করা হয়। সংক্রামিত ব্যক্তিদের চিকিৎসায়, টিটেনাস ইমিউন গ্লোবুলিন, বা তা অনুপলব্ধ হলে, ইন্ট্রাভেনাস ইমিউনোগ্লোবুলিন (IVIG) ব্যবহার করা হয়। খিঁচুনি নিয়ন্ত্রণ করতে পেশী শিথিলকারী ঔষধি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কোন ব্যক্তির শ্বাস-প্রশ্বাস প্রভাবিত হয়ে থাকলে যান্ত্রিক বায়ুচলাচল (মেকানিকাল ভেন্টিলেশন) প্রয়োজন হতে পারে। [3]
ধনুষ্টঙ্কার পৃথিবীর সব জায়গায় দেখা যায় তবে গরম এবং আর্দ্র জলবায়ুতে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় যেখানে মাটি উচ্চ জৈব উপাদান সমৃদ্ধ। 2015 সালে বিশ্বব্যাপী প্রায় 209,000 সংক্রমণ এবং প্রায় 59,000 মৃত্যু হয়েছিল। [4] [5] যেখানে 1990 সালে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল 356,000 । [7] মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর প্রায় 30 জন ধনুষ্টঙ্কারে আক্রান্ত হন, যার প্রায় সবকটি ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে টিকা দেওয়া হয়নি। [8] খ্রিস্টপূর্ব ৫ম শতাব্দীতে হিপোক্রেটিস এই রোগের প্রাথমিক বর্ণনা করেছিলেন। 1884 সালে তুরিন বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তোনিও কার্লে এবং জর্জিও রাটোন দ্বারা রোগের কারণ নির্ধারণ করেন এবং 1924 সালে একটি টিকা তৈরি করা হয় [1] ।