পারমাণবিক রসায়ন
From Wikipedia, the free encyclopedia
পারমাণবিক (বা নিউক্লয়) রসায়ন হল রসায়নের এমন একটি উপবিভাগ যা তেজস্ক্রিয়তা[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ], নিউক্লিয় প্রক্রিয়া (যেমন নিউক্লিয় রূপান্তর) ও নিউক্লিয় ধর্মের সঙ্গে সম্পর্কিত।
ইহা যেমন একদিকে অ্যাক্টিনাইড[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ], রেডিয়াম[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] ও রেডনের[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] মত তেজস্ক্রিয়[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] মৌলের রসায়ন, তেমনি একসঙ্গে নিউক্লিয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে প্রয়োজনীয় উপকরণ (যেমন পারমাণবিক চুল্লি) -এরও রসায়ন। তলীয় ক্ষয় এবং স্বাভাবিক ও অস্বাভাবিক (যেমন দুর্ঘটনা[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]), উভয় ধরনের প্রক্রিয়া চলার সময়কালীন আচরণ এই রসায়নের অন্তর্গত। এ বিষয়েএকটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হল যে বস্তু ও দ্রব্যগুলি পারমাণবিক বর্জ্যের সংরক্ষণাগার বা আবার্জনাস্থলে ফেলা হয়, তাদের আচরণ পর্যবেক্ষণ করা।
জীবিত প্রাণী, উদ্ভিদ এবং অন্যান্য দ্রব্য কর্তৃক শোষণ ও বিকিরণের ফলে যে তাদের ওপর যে রাসায়নিক প্রভাব পড়ে, তা নিয়েও এখানে আলোচনা করা হয়। এই বিকিরণ রসায়ন অনেকাংশে বিকিরণ জীববিজ্ঞানকে নিয়ন্ত্রণ করে কারণ বিকিরণের জীবন্ত জিনিসের ওপর আণবিক স্কেলে প্রভাব আছে; অন্যভাবে বলতে গেলে, বিকিরণ জীবের মধ্যে জীবজ-রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটায়, তারপর সেই পরিবর্তিত জীবজ অণুর জীবের অভ্যন্তরের রসায়নে[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] পরিবর্তন ঘটায়, এবং সেই রাসায়নিক পরিবর্তন অবশেষে জৈবিক পরিণতি লাভ করে। ফলস্বরূপ, নিউক্লিয় রসায়ন, ডাক্তারি চিকিৎসা (যেমন ক্যান্সার[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] চিকিৎসা রেডিওথেরাপি[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]) বোঝার জন্য ব্যাপকভাবে সহায়ক এবং এই চিকিৎসার উন্নতিবিধানে সক্ষম।
অনেক ধরনের প্রক্রিয়ার কাজে তেজস্ক্রিয় উৎসের উৎপাদন ও ব্যবহার এই বিজ্ঞানের অন্তর্ভুক্ত; এর মধ্যে পড়ে চিকিৎসাবিদ্যায় চিকিৎসা রেডিওথেরাপির[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] প্রয়োগ, শিল্প, বিজ্ঞান ও পরিবেশে তেজস্ক্রিয় ট্রেসারের ব্যবহার এবং পলিমারের[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] মত দ্রব্যে রূপান্তর আনতে বিকিরণের ব্যবহার।
এছাড়া, মনুষ্য কার্যকলাপের অন্তর্গত অ-তেজস্ক্রিয় ক্ষেত্রগুলিতে নিউক্লিয় প্রক্রিয়ার পরীক্ষা ও ব্যবহারও ইহার অন্তর্ভুক্ত। উদাহরণস্বরূপ, নিউক্লিয় চুম্বকীয় অনুনাদ (এন এম আর) বর্ণালিবীক্ষণ সাধারণভাবে সংশ্লেষীয় রসায়ন জৈব রসায়ন[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ], রসায়ন ভৌত রসায়ন[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] এবং বৃহদাণবিক রসায়নে আকারগত বিশ্লেষণ ব্যবহৃত হয়।