ফ্রান্স ও গণবিধ্বংসী অস্ত্র
From Wikipedia, the free encyclopedia
ফ্রান্স পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার নিয়ন্ত্রণ চুক্তি অনুসারে পাঁচটি পারমাণবিক অস্ত্রধারী দেশের মধ্যে একটি। কিন্তু দেশটির কোন জীবাণু কিংবা রাসায়নিক অস্ত্র তৈরি বা মালিকানা আছে বলে জানা যায় না।[4][5] ১৯৬০ সালে ফরাসি রাষ্ট্রপতি শার্ল দ্য গোলের সরকারের অধীনে চতুর্থ দেশ হিসেবে ফ্রান্স স্বাধীনভাবে তৈরিকৃত পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা করে। ফরাসি সামরিক বাহিনী বর্তমানে ৩০০টির মত সচল ও মোতায়েন করা পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে বলে ধারণা করা হয় যা পৃথিবীতে ৩য় সর্বোচ্চ (যুদ্ধ পূর্ববর্তী মজুদের দিক দিয়ে, মেগাটনের হিসেবে নয়)।[6][7] ফরাসি জাতীয় পারমাণবিক প্রতিরক্ষা বাহিনীর অধীন ন্যস্ত এই অস্ত্রগুলো ১৯৫০-এর দশকের শেষে এবং ১৯৬০-এর দশকে প্রস্তত করা হয় যাতে করে ফরাসিরা ন্যাটো থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে পারে এবং তার সাথে সাথে সার্বভৌমভাবে পারমাণবিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে।
ফ্রান্স | |
---|---|
প্রথম পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা | ফেব্রুয়ারি ১৩, ১৯৬০ |
প্রথম ফিউশন অস্ত্র পরীক্ষা | আগস্ট ২৩, ১৯৬৮ |
শেষ পারমাণবিক পরীক্ষা | জানুয়ারী ২৭, ১৯৯৬ |
বৃহত্তম ফলিত পরীক্ষা | ২.৬ মেগাটন (আগস্ট ২৪, ১৯৬৮) |
মোট পরীক্ষা | ২১০ |
নির্দিষ্ট সময়ে সর্বাধিক মজুদ | ৫৪০ (১৯৯২ সালে) |
বর্তমান মজুদ (ব্যবহারযোগ্য ও অব্যবহারযোগ্য) | ৩০০ ওয়ারহেড (২০১৮) [1][2] |
বর্তমান ব্যবহারযোগ্য মজুদ | ২৯০ ব্যবহারযোগ্য ওয়ারহেড (২০১৬)[1][2] (হামলার বাহন হিসেবে রয়েছে বোমারু বিমান ও সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র)[1] |
বর্তমানে ব্যবহারযোগ্য মজুদ | ~৫১.৬[3] |
সর্বোচ্চ ক্ষেপণাস্ত্র পরিসীমা | >১০,০০০ কিমি/৬,০০০ মাইল (এম-৫১ এস. এল. বি. এম.) |
নিউক্লিয়ার নন-প্রলিফারেশন ট্রিটি সাক্ষরকারী | হ্যা (১৯৯২, পাচঁটি পারমাণবিক বিশ্বশক্তির একটি) |
ফরাসিরা আংশিক পারমাণবিক পরীক্ষা নিষিদ্ধকরণ চুক্তিতে সাক্ষর করেনি। যার ফলস্বরুপ ১৯৯৬ এবং ১৯৯৮ সালে ব্যাপক পারমাণবিক পরীক্ষা নিষিদ্ধকরণ চুক্তি যথাক্রমে স্বাক্ষর এবং অনুমোদনের পূর্বে পারমাণবিক পরীক্ষা চালিয়ে যেতে থাকে। ফ্রান্স বর্তমানে রাসায়নিক অস্ত্রের মজুদদারি অস্বীকার করে এবং এটি ১৯৯৫ সালে রাসায়নিক অস্ত্রচুক্তি অনুমোদন করে। ফ্রান্স ১৯৮৪ সালে জৈব অস্ত্র চুক্তি মেনে নিতে সম্মত হয়। এছাড়াও ফ্রান্স ১৯২৬ সালে জেনেভা প্রটোকল অনুমোদন করে।