ব্যবহারকারী:Al-mumtahinah/কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা
From Wikipedia, the free encyclopedia
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) বলতে বোঝায় যন্ত্রের বুদ্ধিমত্তাকে এবং কম্পিউটার বিজ্ঞানের সেই শাখাকে যা মানবনির্মিত যন্ত্রের মধ্যে বুদ্ধিমত্তাকে সৃষ্টি করতে ইচ্ছুক। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার পাঠ্যপুস্তকসমূহে এই ক্ষেত্রটিকে বর্ণণা করা হয়েছে এই বলে যে, এ হলো 'বুদ্ধিমান' কিছু[2] নির্মাণ ও তার জন্য অধ্যয়নের এক ক্ষেত্র। এখানে বুদ্ধিমান কিছু বলতে বোঝাচ্ছে এমন এক 'তন্ত্'র যা তার পারিপার্শ্বিক পরিবেশকে অনুধাবন ও মূল্যায়ন করতে সক্ষম এবং তদানুসারে এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্ষম যা তার কার্যকারীতার সম্ভাবনাকে উন্নীত করবে। [3]কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ইংরাজী নামের কথাটি, অর্থাত্ Artificial Intelligence কথাটি ১৯৫৬ সালে প্রথম চালু করেন[4]জন ম্যাককার্থি। তিনি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সংজ্ঞার্থ দিয়েছেন এই ভাবে যে, 'কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হল বুদ্ধিমান যন্ত্র নির্মাণের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি'। [5]
বিজ্ঞানের এই ক্ষেত্রটি স্থাপিত হয়েছিল এই দাবীর উপর ভিত্তি করে যে, বুদ্ধিমত্তা, যা কিনা মানুষের এক কেন্দ্রীয় বৈশিষ্ট্য, --Homo sapiens এর sapience--সেই বুদ্ধিমত্তাকে এতই সুচারু ভাবে বর্ণনা করা সম্ভব যে তাকে কোন যন্ত্রের মধ্যেও অুনকৃত করা যায়। [6]এর ফলে মনেরপ্রকৃতি কি সে বিষয়ে এবং কৃত্রিম ভাবে প্রস্তুত সত্তার নির্মাণের নৈতিকতা নিয়েও দার্শনিক প্রশ্ন উঠে গেল, যে সব বিষয় গুলিকে উপকথা, গল্প এবং দর্শন since antiquity এর মধ্যে নির্দেশিত করা হয়েছে।[7] কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যেন আশাবাদের বিষয় হয়ে গেছে।[8] কিন্তু সেই সঙ্গে এর আবার বাধা বিপত্তির ব্যাপারও আছে।[9]আর আজ তো এটা প্রযুক্তি শিল্পের একটা অতি প্রয়োজনীয় অংশই হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা কম্পিউটার বিজ্ঞানের বহু দুরূহ সমস্যার তুমুল সমাধান দিয়ে যাচ্ছে।[10] কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার গবেষণার ক্ষেত্রটি কিন্তু অতিমাত্রায় বিশেযায়িত, গভীর ভাবে নানা অধীনস্ত ক্ষেত্রে বিভক্ত, অবস্থা এমনই যে তাদের নিজেদের মধ্যে অনেক সময়েই পারস্পরিক যোগাযোগের দায়টা ঠিকমত পালন করতে পারে না। [11] ঐ সব অধীন ক্ষেত্রগুলি বিশেষ বিশেষ সংস্থাকে ঘিরে বড় হয়েছে, কখনো একক গবেষকদের কাজের মাধ্যমে, কখনো বিশেষ কোন সমস্যার সমাধান করতে গিয়ে, কখনো বা কি ভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কাজ করা চলবে এ নিয়ে দীর্ঘসূত্রী মতপার্থক্যে আর ভিন্ন ভিন্ন বিশাল তফাত্ যুক্ত উপায় সমূহের প্রয়োগ কৌশলের ফলে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কেন্দ্রীয় সমস্যার মধ্যে আছে নানা ধরণের বৈশিষ্ট্য. যেমন যুক্তি প্রয়োগ, জ্ঞান, পরিকল্পনা, শিখন, পারস্পরিক যোগাযোগ, সংবেদন এবং দ্রব্যাদিকে নড়ানো-সরানো বা তাদের কাজে লাগানো। [12] সাধারণ বুদ্ধিমত্তা(বা স্ট্রং এ আই) কিন্তু এখনো এই ক্ষেত্রের সুদূর লক্ষ্য সমূহের মধ্যে অন্যতম।[13]