যুক্তরাজ্যের দেশসমূহ
১৯২২ সাল থেকে যুক্তরাজ্যের প্রশাসনিক বিভাগ / From Wikipedia, the free encyclopedia
১৯২২ সাল থেকে যুক্তরাজ্য চারটি দেশ নিয়ে গঠিত: ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ওয়েলস ও উত্তর আয়ারল্যান্ড।[1] ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও ওয়েলস একত্রে গ্রেট ব্রিটেন নামে পরিচিত এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডকে অনেকসময় "প্রদেশ",[2][3][4][5] "এক্তিয়ার"[6] কিংবা "অঞ্চল" বলে অভিহিত করা হয়েছে।[7][8] যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর ওয়েবসাইটে যুক্তরাজ্যকে "দেশের মধ্যে দেশ" (countries within a country) হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে।[9]
যুক্তরাজ্যের দেশসমূহ | |
---|---|
শ্রেণি | প্রশাসনিক বিভাগ |
অবস্থান | যুক্তরাজ্য |
উচ্চতর উপবিভাগ | আইনি এক্তিয়ার |
সংখ্যা | ৪ |
সম্ভাব্য মর্যাদা |
|
অতিরিক্ত মর্যাদা |
|
সরকার |
|
যুক্তরাজ্য একটি এককেন্দ্রিক সার্বভৌম রাষ্ট্র হলেও স্কটল্যান্ড, ইংল্যান্ড ও ওয়েলস এবং উত্তর আয়ারল্যান্ড তাদের নিজস্ব আইন ব্যবস্থা বজায় রেখেছে।[10] ১৯৯৮ সাল থেকে উত্তর আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও ওয়েলস ডিভলুশন বা বণ্টন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যথেষ্ট স্বায়ত্তশাসন লাভ করেছিল। যুক্তরাজ্যের সংসদ ও নির্বাহী উত্তর আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও ওয়েলসের কেবল "সংরক্ষিত বিষয়" নিয়ে দেখভাল করে এবং উত্তর আয়ারল্যান্ড অ্যাসেম্বলি, স্কটিশ সংসদ ও ওয়েলশ সেনেডে বণ্টন করা সাধারণ বিষয় নিয়ে দেখভাল করে না। এছাড়া, উত্তর আয়ারল্যান্ডের ডিভলুশন উত্তর আয়ারল্যান্ড নির্বাহী ও আয়ারল্যান্ড সরকারের মধ্যে বিভিন্ন শর্তের অধীন, এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডের বণ্টন করা হয়নি এমন ব্যাপারে ব্রিটিশ সরকার আয়ারল্যান্ড সরকারের সাথে পরামর্শ করে। ইংল্যান্ড, যার জনসংখ্যা ও আয়তন যুক্তরাজ্যের অন্যান্য দেশের তুলনায় সর্বোচ্চ,[11][12] সম্পূর্ণভাবে লন্ডনভিত্তিক যুক্তরাজ্যের সংসদের দায়িত্বের অধীন।
ইংল্যান্ড, উত্তর আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও ওয়েলস নিজেরা আন্তর্জাতিক মান সংস্থার (আইএসও) দেশের তালিকায় তালিকাভুক্ত নয়। কিন্তু ব্রিটিশ স্ট্যান্ডার্ডস ও যুক্তরাজ্যের অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্স দ্বারা সংকলিত যুক্তরাজ্যের উপবিভাগের আইএসও তালিকায় ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও ওয়েলসকে "দেশ" (country) এবং একই তালিকায় উত্তর আয়ারল্যান্ডকে "প্রদেশ" (province) বলে বর্ণনা করা হয়েছে।[13] প্রত্যেকের নিজস্ব জাতীয় ক্রীড়া পরিচালনা পরিষদ রয়েছে এবং কমনওয়েলথ গেমসসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় তারা আলাদাভাবে অংশগ্রহণ করে। আবার, কিছু ক্রীড়ার জন্য উত্তর আয়ারল্যান্ড ও প্রজাতন্ত্রী আয়ারল্যান্ডের একক নিখিল আয়ারল্যান্ড ক্রীড়া পরিচালনা পরিষদ থাকে, যেমন রাগবি ইউনিয়ন।[14]
১৮০১ সালে অ্যাক্টস অব ইউনিয়ন, ১৮০০ বলবৎ হওয়ার পর ১৯২২ পর্যন্ত সমগ্র আয়ারল্যান্ড দ্বীপ যুক্তরাজ্যের সদস্য দেশ ছিল। ১৯২১ সালে তাকে উত্তর ও দক্ষিণ আয়ারল্যান্ডে ভাগ করা হয়েছিল। অ্যাংলো-আইরিশ চুক্তি অনুযায়ী ১৯২২ সালে দক্ষিণ আয়ারল্যান্ড যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীন হয়ে আইরিশ মুক্ত রাষ্ট্র গঠন করেছিল। ১৯৩৭ সালে আইরিশ মুক্ত রাষ্ট্র এক নতুন ও কার্যত প্রজাতান্ত্রিক সংবিধান গ্রহণ করেছিল, যদিও কূটনৈতিক কার্যক্রমের জন্য ব্রিটিশ রাজাকে বজায় রাখা হয়েছিল। তখন থেকে সেই রাষ্ট্রটি কেবল "আয়ারল্যান্ড" নামে পরিচিত। ১৯৪৯ সালে প্রজাতন্ত্রী আয়ারল্যান্ড আইন প্রণয়ন করার ফলে এই কূটনৈতিক কার্যক্রমকে আয়ারল্যান্ড তার নিজের রাষ্ট্রপতির হতে সঁপে দিয়েছিল। এর পর সে কমনওয়েলথ অব নেশনস ত্যাগ ক'রে "প্রজাতন্ত্রী আয়ারল্যান্ড" নাম গ্রহণ করেছিল।
চ্যানেল দ্বীপপুঞ্জ ও আইল অব ম্যান ব্রিটিশ রাজমুকুটের নির্ভরশীল অঞ্চল এবং যুক্তরাজ্যের অংশ নয়। একইভাবে, ব্রিটিশ ওভারসিজ অঞ্চল সাবেক ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অবশিষ্টাংশ এবং যুক্তরাজ্যের অংশ নয়।