রাইনহার্ট হাইড্রিখ
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সময়কার উচ্চপদস্থ নাৎসি কর্মকর্তা / From Wikipedia, the free encyclopedia
রাইনহার্ট ট্রিসটান ওয়গ্ন হাইড্রিখ (জার্মান: ˈʁaɪnhaʁt ˈtʁɪstan ˈɔʏɡn̩ ˈhaɪdʁɪç; ৭ মার্চ, ১৯০৪ – ৪ জুন, ১৯৪২) ছিলেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন একজন উচ্চপদস্থ জার্মান নাৎসি কর্মকর্তা এবং হলোকস্টের (ইহুদী গণহত্যা) মূল হোতা। তিনি ছিলেন একাধারে একজন এসএস-ওবারগ্রুপেনফুয়েরার আন্দ্ জেনারেল দা পলিয্ (সিনিয়র দল নেতা এবং পুলিশ প্রধান), রাইখ নিরাপত্তা বিভাগ, গেস্টাপো, ক্রিমিনালপলিয্ (নাৎসি ক্রিমিনাল পুলিশ) এবং এসডি ( নিরাপত্তা বাহিনী) প্রধান। এছাড়াও তিনি প্রটেক্টরেট অব বোহেমিয়া অ্যান্ড মোরাভিয়ার স্টেলভারট্রিটেনডার রাইখস্প্রোটেক্টর (নির্বাহী/ভারপ্রাপ্ত প্রটেক্টর) এবং ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ কমিশনের (এইসিপিসি; বর্তমানে ইন্টারপোল) প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৪২ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত "ওয়ানসি কনফারেন্সে" তিনি উপস্থিত ছিলেন। এখানেই কুখ্যাত "ইহুদী প্রশ্নের চূড়ান্ত সমাধান" প্রস্তাবিত হয়, যার ফলাফল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মান অধ্যুষিত ইউরোপ থেকে ইহুদীদের নির্বাসনের নামে নির্বিচারে গণহত্যা।
রেইনহার্ড হেড্রিক | |
---|---|
ডেপুটি প্রটেক্টর অব বোহেমিয়া অ্যান্ড মোরাভিয়া (ভারপ্রাপ্ত) | |
কাজের মেয়াদ ২৯ সেপ্টেম্বর ১৯৪১ – ৪ জুন ১৯৪২ | |
নিয়োগদাতা | আডলফ হিটলার |
পূর্বসূরী | কন্সটান্টিন ভন নুরাথ (২৪ আগস্ট ১৯৪৩ পর্যন্ত) |
উত্তরসূরী | কুর্ট ডাল্জ (ভারপ্রাপ্ত) |
রাইখ প্রধান নিরাপত্তা বিভাগের পরিচালক | |
কাজের মেয়াদ ২৭ সেপ্টেম্বর ১৯৩৯ – ৪ জুন ১৯৪২ | |
নিয়োগদাতা | হেনরিক হিমলার |
পূর্বসূরী | কার্যালয় প্রতিষ্ঠা |
উত্তরসূরী | হেনরিক হিমলার (ভারপ্রাপ্ত) |
প্রেসিডেন্ট অব ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ কমিশন | |
কাজের মেয়াদ ২৪ আগস্ট ১৯৪০ – ৪ জুন ১৯৪২ | |
পূর্বসূরী | ওটো স্টেইনহাস্ল |
উত্তরসূরী | আর্থার নিব |
গেস্টাপোর মহাপরিচালক | |
কাজের মেয়াদ ২২ এপ্রিল ১৯৩৮ – ২৭ সেপ্টেম্বর ১৯৩৯ | |
নিয়োগদাতা | হেনরিক হিমলার |
পূর্বসূরী | রুডলফ ডিলজ |
উত্তরসূরী | হেনরিক মুলার |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | রাইনহার্ট ট্রিসটান ওয়গ্ন হাইড্রিখ (১৯০৪-০৩-০৭)৭ মার্চ ১৯০৪ হেইল আন দার সাল, জার্মান সাম্রাজ্য |
মৃত্যু | ৪ জুন ১৯৪২(1942-06-04) (বয়স ৩৮) প্রাগ, প্রটেক্টরেট অব বোহেমিয়া অ্যান্ড মোরাভিয়া (বর্তমান প্রাগ, চেক রিপাবলিক) |
রাজনৈতিক দল | জাতীয় সমাজতান্ত্রিক জার্মান শ্রমিক পার্টি (এনএসডিএপি) |
দাম্পত্য সঙ্গী | লিনা ভন অস্টেন (১৯৩১–১৯৪২; আমৃত্যু) |
সম্পর্ক | হেইচ হেড্রিক (ভাই) |
সন্তান | ৪ |
স্বাক্ষর | |
ডাকনাম | |
সামরিক কর্মজীবন | |
আনুগত্য |
|
সেবা/ | |
কার্যকাল | ১৯২২–১৯৪২ |
পদমর্যাদা |
|
যুদ্ধ/সংগ্রাম | দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ |
অনেক ঐতিহাসিকগণ হেড্রিককে "নাৎসি অভিজাতদের মধ্যে সবচেয়ে অন্ধকারাচ্ছন্ন ব্যক্তিত্ব" হিসেবে বিবেচনা করেন। স্বয়ং আডলফ হিটলার তাকে "লোহার হৃৎপিণ্ডধারী মানব" (ইংরেজি: the man with the iron heart) বলে বর্ণনা করেছিলেন।[4] তিনি এসডি এর প্রতিষ্ঠাতা প্রধান ছিলেন। ১৯৩৮ সালের ৯–১০ নভেম্বর নাৎসি জার্মান জুড়ে ইহুদীদের উপর হামলা সহ ১৯৪২ সাল পর্যন্ত সর্বমোট দুই মিলিয়নেরও বেশি মানুষ গণহত্যার সাথে তার সরাসরি সম্পৃক্ততা ছিল।
১৯৪২ সালের ২৭ মে অপারেশন অ্যানথ্রোপোইডের ফলে হেড্রিক মারাত্মকভাবে আহত হন এবং এক সপ্তাহ পর মারা যান।