রিচার্ড ওয়েন
ইংরেজ জীববিজ্ঞানী / From Wikipedia, the free encyclopedia
স্যার রিচার্ড ওয়েন (২০শে জুলাই ১৮০৪ - ১৮ই ডিসেম্বর ১৮৯২) ছিলেন একজন ইংরেজ জীববৈজ্ঞানিক, তুলনামূলক শারীরস্থান বিশেষজ্ঞ এবং পুরাজীববিদ। বেশ কিছু বিতর্কে জড়িত থাকা সত্ত্বেও ওয়েনকে বিশেষত জীবাশ্মের বিশ্লেষণে অসাধারণ প্রতিভাসম্পন্ন একজন প্রকৃতি-বৈজ্ঞানিক হিসেবে মানা হয়।
রিচার্ড ওয়েন | |
---|---|
জন্ম | (১৮০৪-০৭-২০)২০ জুলাই ১৮০৪ ল্যাঙ্কাস্টার, ইংল্যান্ড |
মৃত্যু | ১৮ ডিসেম্বর ১৮৯২(1892-12-18) (বয়স ৮৮) রিচমন্ড পার্ক, লন্ডন, ইংল্যান্ড |
জাতীয়তা | যুক্তরাজ্য |
মাতৃশিক্ষায়তন | এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয় সেন্ট বার্থোলোমিউ'জ হসপিটাল |
পরিচিতির কারণ | ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম, লন্ডন |
পুরস্কার | উওলাস্টন পদক (১৮৩৮) রয়াল পদক (১৮৪৬) কোপলি পদক (১৮৫১) ক্লার্ক পদক (১৮৭৮) লিনিয়ান পদক (১৮৮৮) |
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
কর্মক্ষেত্র | তুলনামূলক শারীরস্থান পুরাজীববিদ্যা প্রাণিবিজ্ঞান[1] জীববিজ্ঞান[1] |
ওয়েনের বৈজ্ঞানিক কর্মকাণ্ডের পরিধি সুবিস্তৃত হলেও প্রধানত ডাইনোসরিয়া (অর্থাৎ ভয়ঙ্কর সরীসৃপ বা ভয়ানক ও মহান সরীসৃপ) নামটির প্রচলনের জন্যই তিনি স্মরণীয় হয়ে আছেন। এছাড়া চার্লস ডারউইন-এর প্রাকৃতিক নির্বাচন মারফত বিবর্তনের তত্ত্বের প্রবল ও প্রকাশ্য বিরোধিতার জন্যেও তাকে মনে রাখা হয়। তিনি ডারউইনের সাথে একমত ছিলেন যে বিবর্তনের প্রক্রিয়াটি বাস্তব, কিন্তু মনে করতেন ডারউইনের অন দ্য অরিজিন অফ স্পিসিস বইতে বর্ণিত পদ্ধতির চেয়ে আসল বিবর্তন অনেক বেশি জটিল।[2] বিবর্তনীয় উন্নয়নমূলক জীববিজ্ঞান-এর সাম্প্রতিক উত্থানের পিছনে যে নির্দিষ্ট বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গীর প্রভাব আছে, ওয়েনকে তার জনক বলা যায়।[3] তিনি ব্রিটিশ মিউজিয়ামের প্রাকৃতিক নমুনাসমূহের নতুন কোনো ভবনে স্থানান্তরের জন্য সচেষ্ট ছিলেন এবং এরই ফলে ১৮৮১ খ্রিঃ লন্ডনের দক্ষিণ কেনসিংটনে অধুনা-বিখ্যাত ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামের গোড়াপত্তন হয়।[4] বিল ব্রাইসন মন্তব্য করেছেন যে, "ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামকে একটি সর্বজনীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলে ওয়েন মিউজিয়াম সম্পর্কে আমাদের ধারণার মাপকাঠিটাই পালটে দিয়েছিলেন"।[5]
জনশিক্ষা ও বিজ্ঞানের জগতে ওয়েনের অনস্বীকার্য অবদান সত্ত্বেও তার তীব্র উচ্চাকাঙ্ক্ষা, বদমেজাজ ও সাফল্য লাভের জন্য অত্যধিক দৃঢ় সংকল্পের কারণে সতীর্থ বিজ্ঞানীদের সাথে তার সম্পর্ক ছিল অম্লমধুর। টমাস হেনরি হাক্সলি প্রমুখ কোনো কোনো বিজ্ঞানী ওয়েনকে ভয় করতেন, এমনকি ঘৃণাও করতেন। এই সংঘাত তীব্র হয়ে ওঠে ওয়েন যখন ডারউইন প্রস্তাবিত বিবর্তন মতবাদ প্রত্যাখ্যান করেন। এই ঘটনায় ওয়েনের বিরুদ্ধে বিজ্ঞানী মহলে ব্যাপক অসন্তোষের সৃষ্টি হয় এবং তরুণ বিজ্ঞানীদের অধিকাংশের সাথে তার দূরত্বের সূচনা হয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] তার কর্মজীবনের শেষভাগ একাধিক বিতর্কের সাক্ষী; এমন অভিযোগও উঠেছে যে তিনি অন্যদের গবেষণার কৃতিত্ব হরণ করেছেন।