লাতিন বর্ণমালা
লাতিন ভাষা লেখার জন্য ব্যবহৃত বর্ণমালা / From Wikipedia, the free encyclopedia
ক্লাসিক্যাল লাতিন বর্ণমালা, যা রোমান বর্ণমালা নামেও পরিচিত, একটি লিখন পদ্ধতি যা প্রাচীন রোমানরা লাতিন ভাষা লেখার কাজে ব্যবহার করতো। লাতিন বর্ণগুলো দেখতে প্রায় একইরকম দেখতে গ্রীক ভাষা'র কুমে বর্ণমালা থেকে এসেছে, যার উৎপত্তি হয়েছিল ফিনিশীয় আবজাদ বর্ণমালা থেকে, যা মিশরীয় হায়ারোগ্লিফিক থেকে বিবর্তিত হয়েছিল। [1] এট্রুস্কানরা যারা প্রাচীন রোম শাসন করেছিল, তারা কুমীয় গ্রীক বর্ণমালা রপ্ত করেছিল। যা পরবর্তীতে নানাভাবে সংশোধিত হয়ে এট্রুস্কান বর্ণমালাতে রুপ নেয়, যাকে পরে রোমানরা লাতিন বর্ণমালায় রুপ দেয়।
মধ্যযুগ চলাকালে লাতিন বর্ণমালা (কিংবা এর পরিবর্তিত কিছু রুপ) রোমান্স ভাষাসমূহে লেখার কাজে ব্যবহৃত হতো, যা লাতিন ভাষার সরাসরি উত্তরসুরি, এছাড়াও কেল্টিক, জার্মানিক, বাল্টিক, ও কিছু স্লাভিক ভাষা'র ও উত্তরসূরী। প্রথম ইউরোপীয় উপনিবেশ ও খ্রিস্টধর্ম প্রচার লাতিন বর্ণমালা ইউরোপ পেরিয়ে যায়, যাকে পরে অ্যামেরিকান, অস্ট্রেলিয়ান ও আফ্রিকান রা তাদের স্থানীয় ভাষা লেখার কাজেও ব্যবহার শুরু করে। সম্প্রতি ভাষাবিদগণ অ-ইউরোপীয় ভাষা লেখার আদর্শ রুপ তৈরির কাজে লাতিন বর্ণ বা আন্তর্জাতিক ধ্বনিমূলক বর্ণমালা ব্যবহার করছেন।
লাতিন বর্ণমালা বলতে লাতিন বা লাতিন ভিত্তিক ভাষা লেখার কাজে ব্যবহৃত বর্ণমালা উভয়কেই বোঝাতে পারে। যে বর্ণসমূহ লাতিন হতে উদ্ভূত অনেক ভাষার বর্ণমালাতেই রয়েছে, যেমন ইংরেজি বর্ণমালা। এরকম অনেক বর্ণমালা রয়েছে যার কয়েকটি কিছু লাতিন বর্ণ বাদ দিয়ে গঠিত (যেমনঃ রোটোকাস বর্ণমালা), আর কিছু লাতিন বর্ণমালার সাথে নিজস্ব কিছু বর্ণ যোগ করেছে (যেমনঃ ড্যানিশ বর্ণমালা ও নরওয়েজিয়ান বর্ণমালা)। বর্ণের আকার বহু শতাব্দী ধরে পরিবর্তিত হয়েছে, যার সূচনা মধ্যযুগ থেকে হয়েছিল, যখন ক্লাসিক বর্ণমালার অস্তিত্ব ছিল না।