লুসাকা
জাম্বিয়ার রাজধানী / From Wikipedia, the free encyclopedia
লুসাকা দক্ষিণাঞ্চলীয় আফ্রিকার রাষ্ট্র জাম্বিয়ার রাজধানী ও বৃহত্তম শহর।
লুসাকা Mwalusaka | |
---|---|
শহর | |
জাম্বিয়ার লুশাকার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ১৫°২৫′ দক্ষিণ ২৮°১৭′ পূর্ব | |
প্রদেশ | লুসাকা প্রদেশ |
জেলা | লুসাকা জেলা |
দেশ | জাম্বিয়া |
প্রতিষ্ঠিত | ১৯০৫ |
শহরের অবস্থা | ২৫শে আগস্ট ১৯৬০ |
সরকার | |
• লুশাকার মেয়র | Miles Sampa |
আয়তন[1] | |
• শহর | ৪১৮ বর্গকিমি (১৬১ বর্গমাইল) |
উচ্চতা | ১,২৭৯'"`UNIQ--ref-০০০০০০০৫-QINU`"' মিটার (৪,১৯০ ফুট) |
জনসংখ্যা (2010) | |
• শহর | ১৭,৪৭,১৫২[2] |
• মহানগর | ২২,৩৮,৫৬৯ |
সময় অঞ্চল | সিএটি (ইউটিসি+২) |
এলাকা কোড | ০২১১[3] |
জলবায়ু | Cwa |
ওয়েবসাইট | http://www.lcc.gov.zm |
লুসাকা জাম্বিয়ার প্রশাসন ও অর্থনীতির কেন্দ্র। লুসাকার বহু অধিবাসী সরকারি চাকুরি করেন কিংবা সেবাখাতে কাজ করেন। নগরীর অর্থনীতি মিশ্র প্রকৃতির, তবে এটি মূলত কৃষিবাণিজ্যের উপরে নির্ভরশীল। নগরীকে ঘিরে থাকা সমতল তৃণভূমিময় অঞ্চলগুলিতে কৃষি ও গবাদিপশুর খামার আছে, যেগুলির কৃষকেরা লুসাকাতে তাদের ফসল ও গবাদি পশু বিক্রি করে। এটি ভুট্টা ও তামাকের একটি প্রধান বিপণন কেন্দ্র। এখানে কিছু হালকা শিল্পকারখানা আছে, যেগুলিতে সিমেন্ট, বস্ত্র, চামড়া, জুতা, দুগ্ধজাত দ্রব্য, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য ও পানীয় উৎপাদন করা হয়। শহরের কাছেই জাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত) ও মুন্দা ওয়াংগা উদ্ভিদতাত্ত্বিক উদ্যানটি অবস্থিত। শহরের সীমার ঠিক বাইরে একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর অবস্থিত। শহরের বাইরে ভূদৃশ্যের একটি অন্যতম দর্শনীয় বৈশিষ্ট্য হল বহসংখ্যক ১০ থেকে ২০ ফুট উঁচু উঁইপোকার ঢিবি।
লুসাকা জাম্বিয়ার দক্ষিণ-মধ্যভাগে একটি চুনাপাথরের মালভূমির উপরে সমুদ্র সমতল থেকে ১২৭৯ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত। এটি জাম্বিয়ার পরিবহন ব্যবস্থার কেন্দ্রবিন্দু। শহরটি তানজানিয়াতে গমনকারী উত্তর মহাসড়ক এবং মালাউইতে গমনকারী পূর্ব মহাসড়ক, দক্ষিণগামী লিভিংস্টোন সড়ক, এবং পশ্চিম মহাসড়ক চারটির সংযোগস্থলে অবস্থিত। লুসাকা থেকে জাম্বিয়ার লিভিংস্টোন ও এনদোলা শহরের পাশাপাশি তানজানিয়া পর্যন্ত রেল যোগাযোগ সুবিধা আছে। সরকারি কার্যালয়গুলির লুসাকার নতুন অংশে অবস্থিত। অন্যদিকে লুসাকার পুরাতন অংশটি রেলপথ ঘেঁষে গড়ে উঠেছে।
লুসাকা এলাকাতে বহু হাজার ধরে জনবসতি ছিল। ১৮৯০-এর দশকে ব্রিটিশ দক্ষিণ আফ্রিকা কোম্পানি স্থানীয় আফ্রিকান গোত্রদের কাছ থেকে এলাকাটি নিয়ন্ত্রণে নেয়। ১৯০৫ সালে একটি রেলপথের উপরে স্টেশন হিসেবে লুসাকা লোকালয়টি সৃষ্টি করা হয়। নিকটবর্তী একটি লেঞ্জে গোত্রের গ্রামের প্রধান লুসাকা-র নামে লোকালয়টির নামকরণ করা হয়।[4] ১৯২৪ সালে যুক্তরাজ্য আনুষ্ঠানিকভাবে এখানে একটি উপনিবেশ স্থাপন করে, যার নাম উত্তর রোডেশিয়া। ১৯৩৫ সালে লুসাকাকে উত্তর রোডেশিয়া উপনিবেশের রাজধানী বানানো হয়। ১৯৪৮ সালে এখানে আফ্রিকান সমাজসমূহের সংঘ উত্তর রোডেশিয়া কংগ্রেস প্রতিষ্ঠা করে। ১৯৫৩ সালে উত্তর ও দক্ষিণ রোডেশিয়া সংঘবদ্ধ হবার পরে ১৯৬০ সাকে লুসাকা ব্রিটিশ শাসন অবসানের পক্ষে একটি নাগরিক অবাধ্যতা আন্দোলনের কেন্দ্রে পরিণত হয়। এর ফলস্বরূপ ১৯৬৪ সালে জাম্বিয়া একটি স্বাধীন দেশে পরিণত হলে লুসাকাকে সেটির রাজধানী নির্বাচন করা হয়। এরপর লুসাকার কলেবর উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেতে থাকে। বর্তমানে লুসাকা দক্ষিণাঞ্চলীয় আফ্রিকার সবচেয়ে দ্রুত উন্নয়নশীল নগরীগুলির একটি।[5]
লুসাকা এলাকাটিতে মূলত নিয়াঞ্জা ও সোলি নামক আফ্রিকান নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর বসবাস। এছাড়া ইউরোপীয় ও এশীয় বংশোদ্ভূত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ও বিদ্যমান। ২০১৯ সালের প্রাক্কলন অনুযায়ী বৃহত্তর লুসাকা নগরীতে প্রায় ৩৩ লক্ষ লোকের বাস ছিল।[6] নগর প্রশাসনের দাপ্তরিক ভাষা ইংরেজি, তবে স্থানীয় জনসাধারণ নিয়ঞ্জা ও বেম্বা ভাষাগুলিতে কথা বলে।