শাতিল আরব
পশ্চিম এশিয়ার নদী / From Wikipedia, the free encyclopedia
শাতিল আরব (আরবি: شط العرب, আরবদের নদী),[2] আরভান্দ রুদ (ফার্সি: اروندرود, দ্রুত নদী) নামেও পরিচিত এই নদীটির দৈর্ঘ্য প্রায় ২০০ কিলোমিটার (১২০ মাইল)। দক্ষিণ ইরাক-এর বাসরা গভর্নরেট এর আল-কুরনা শহরে ফোরাত এবং দজলা-এর সঙ্গমে এই নদীটি গঠিত হয়েছে। নদীর দক্ষিণ প্রান্তটি ইরাক ও ইরান-এর মাঝে সীমানা গঠন ক'রে পারস্য উপসাগর-এ গিয়ে মিশেছে। বসরায় এর প্রস্থ প্রায় ২৩২ মিটার (৭৬১ ফু) এবং মুখের দিকে তা বেড়ে হয়েছে ৮০০ মিটার (২,৬০০ ফু) পর্যন্ত। ধারণা করা হয়, এর জলধারাটি তুলনায় সাম্প্রতিক ভূতাত্ত্বিক সময়ে তৈরি হয়েছিল। সে সময়, মূলত পশ্চিমে আরও একটি চ্যানেল তৈরী হয়েছিল এবং তার মাধ্যমেই টাইগ্রিস এবং ইউফ্রেটিসের জলধারা, পারস্য উপসাগরে মুক্ত হত।
শাতিল আরব আরভান্দ রুদ | |
---|---|
স্থানীয় নাম | |
অবস্থান | |
দেশ | ইরান, ইরাক |
প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য | |
উৎস | |
• অবস্থান | আল-কুরনায় টাইগ্রিস–ইউফ্রেটিস সঙ্গমস্থল এবং ইরান-এর কারুণ নদী[1] |
• উচ্চতা | ৪ মি (১৩ ফু) |
মোহনা | |
• অবস্থান | পারস্য উপসাগর |
• উচ্চতা | ০ মি (০ ফু) |
দৈর্ঘ্য | ২০০ কিমি (১২০ মা) |
অববাহিকার আকার | ৮,৮৪,০০০ কিমি২ (৩,৪১,০০০ মা২) |
নিষ্কাশন | |
• গড় | ১,৭৫০ মি৩/সে (৬২,০০০ ঘনফুট/সে) |
এই নদীর একটি শাখা হ'ল কারুণ নদী। সেই শাখা নদীটি ইরানের দিকের জলপথের সাথে মিলিত হয়ে এসে, এই নদীটিতে প্রচুর পরিমাণে পলি জমা করে। সেই কারণে, নদীটিতে চলাচল সচল রাখতে অবিরত ড্রেজিংয়ের প্রয়োজন হয়।[3]
এই অঞ্চলটিতে বিশ্বের বৃহত্তম খেজুর বন রয়েছে ব'লে বিবেচনা করা হয়। ১৯৭০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে, এই অঞ্চলে খেজুর গাছ ছিল ১৭ থেকে ১৮ লক্ষ, বিশ্বের ৯০ লক্ষ গাছের এক-পঞ্চমাংশ। কিন্তু ২০০২ সালের মধ্যে, যুদ্ধ, লবণ এবং কীটপতঙ্গের কারণে ইরাক-এ প্রায় ৯ লক্ষ এবং ইরান-এ ৫ লক্ষ, মোট প্রায় ১৪ লক্ষরও বেশি খেজুর গাছ নষ্ট হয়ে যায়। বাকি ৩ থেকে ৪ লক্ষ গাছের মধ্যে অনেকের অবস্থা খুব খারাপ[4]
মধ্য পারসিয়ান সাহিত্য এবং শাহনামে-তে (আনুমানিক ৯৭৭ এবং ১০১০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে রচিত), আরভান্দ (اروند) নামটি ব্যবহৃত হয়েছে টাইগ্রিসের জন্য, যার মিলিত ধারা শাতিল আরব।[5] ইরানীরাও এই নামটি বিশেষত পরের পহ্লভি আমল-এ শাতিল আরবকে ব্যবহারের জন্য মনোনীত করেছিল এবং ১৯৭৯ সালের ইরান বিপ্লব-এর পরেও তা অব্যাহত ছিল।[5]