শৌচাগার
এক প্রকার স্বাস্থ্যব্যবস্থা যা মানুষের মলমূত্র ত্যাগ এবং সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হয়। / From Wikipedia, the free encyclopedia
শৌচাগার হলো পোর্সেলিন অথবা অন্যকোনো ধাতব বস্তু দ্বারা তৈরি এক প্রকার স্বাস্থ্যব্যবস্থা যা মানুষের মলমূত্র ত্যাগ এবং সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হয়। উন্নত দেশগুলোতে বিভিন্ন জাতের পোর্সেলিনের ফ্লাস শৌচাগার বেশি দেখা যায়। পশ্চিমা দেশগুলোতে এক্ষেত্রে আসন ব্যবহৃত হয় যেখানে পূর্ব এশিয়ায় স্কুয়াট শৌচাগারই বহুল প্রচলিত। উন্নত শহরগুলোতে এগুলো পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার নালার সাথে যুক্ত থাকে কিন্তু কম উন্নত যেমন গ্রামাঞ্চলগুলোর দিকে এগুলো মলমূত্র সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত সেপটিক ট্যাঙ্কের সাথে যুক্ত থাকে। তাছাড়া গ্রামাঞ্চলগুলোতে পিট পায়খানা এবং কম্পোস্টিং জাতের শৌচাগারগুলো ব্যবহৃত হয়।
অনেক দেশে ব্যক্তিগত বাড়িতে শৌচাগারগুলো 'ফ্লাস শৌচাগার' জাতের হয় এবং শৌচাগার এবং গোছলের জন্য শাউয়ার একই ঘরে থাকে যাতে নির্মাণ খরচ কম হয় এবং এই ঘরকে সবাই বাথরুম বলে ডাকে। গণশৌচাগারগুলো এমন সব এলাকায় তৈরি করা হয় যেখানে তাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হয়। তাছাড়া অনেক জায়গায় কোনো নির্দিষ্ট অনুষ্ঠান বা ক্রীড়াঅনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে বহনযোগ্য শৌচাগার তৈরি করা হয়। অনেক সময় ট্রেন এবং প্লেনের ক্ষেত্রে রাসায়নিক শৌচাগারের ব্যবহারও লক্ষ্য করা যায়।
তীব্র পানিবাহিত রোগ যেমন ডায়রিয়া এবং কলেরার ক্ষেত্রে খারাপ পয়ঃনিষ্কাষণ ব্যবস্থা পানিদূষন ঘটায়।তাই ইতিহাসের শুরুর দিক থেকেই শৌচাগার একটা ভাবনার বিষয় ছিলো। এক্ষেত্রে ইন্দু উপত্যকার জনগণ শৌচাগার বিশেষ করে ব্যক্তিগত ফ্লাশ শৌচাগারের উন্নয়নের জন্য সমাধিক পরিচিত। এরপর ১৮৫৬ সালে আধুনিক ফ্লাশ শৌচাগার পদ্ধতি আবিষ্কার কারেন জন হেরিংটন। তবে তা তখনও ব্যবহার করা শুরু হয় নি। এমনকি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে সমগ্র লন্ডনে তখনও ব্যক্তিগত ফ্লাশ শৌচাগার ছিলো না।