সূত্র (ধর্ম)
From Wikipedia, the free encyclopedia
সূত্র হল দক্ষিণ এশিয়ার ধর্ম বিশেষ করে হিন্দুধর্ম, বৌদ্ধধর্ম এবং জৈনধর্মের এক ধরনের নীতিবচন বা শিক্ষা।[1][2][3] সূত্র শব্দটি কখনো নীতিবচন বুঝাতে ব্যবহৃত হয়, আবার কখনো উপাসনা গ্রন্থে লিখিতরুপে একাধিক নীতিবচনের সমষ্টি বুঝাতেও ব্যবহৃত হয়। সূত্র হল প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় ভারতীয় গ্রন্থের একটি ধারা।[4]
হিন্দুধর্মে সূত্র হল নীতিবচন সংকলন, যা এক ধরনের সাহিত্য ধারা।[5][6] প্রত্যেকটি সূত্র হল কিছু শব্দের মধ্যে সমাপতিত সংক্ষিপ্ত নিয়ম যা শাস্ত্রীয় শিক্ষা, দর্শন ব্যাকরণ বা অন্য কোন জ্ঞান ধারণ করে।[7][8] বেদ এর ব্রাহ্মণ ও আরণ্যক অধ্যায়ে হিন্দুধর্মের পুরাতন সূত্রগুলো পাওয়া যায়। ১০৮টি উপনিষদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো গোপাল-তপানীয় উপনিষদ।[9][10] হিন্দু দর্শন এর প্রতিটি দর্শন, আচার-অনুষ্ঠানের জন্য বেদীয় নির্দেশিকা, কলার বিভিন্ন ক্ষেত্র, আইন এবং সামাজিক নৈতিকতা বিভিন্ন সূত্র গড়ে তুলেছে যা এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মে শিক্ষা ও ধ্যানধারণা পৌছে দিতে সাহায্য করে।[11][12][13]
সুত্র বৌদ্ধধর্মে গৌতম বুদ্ধের বিভিন্ন মৌখিক শিক্ষাকে লিখিত রূপে ধরে রাখে এবং অনেকসময় সুত্ত নামেও পরিচিত। সুত্ত শব্দটির পালি রূপ যা আদি পালিশাস্ত্রের বিভিন্ন অনুশাসন বুঝায়।
জৈনধর্মের সূত্রগুলি সুয়্য নামেও পরিচিত, যেগুলোর মধ্যে রয়েছে জৈন অগামাসে মহাবীরের যাজকীয় উপদেশগুলি এবং পরবর্তীতে (পোস্ট ক্যানোনিকাল) আদর্শ গ্রন্থে।