১৯৪৮ সালে ইংল্যান্ডে ডন ব্র্যাডম্যান অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট দলের সাথে
From Wikipedia, the free encyclopedia
ডন ব্র্যাডম্যান ১৯৪৮ সালে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের সাথে ইংল্যান্ড সফর করেছিলেন, ঐ দল পাঁচটি অ্যাশেজ টেস্ট সহ তাদের ৩৪টি সফর ম্যাচে অপরাজিত ছিল। ব্র্যাডম্যান ছিলেন অধিনায়ক, তিন নির্বাচকদের মধ্যে একজন এবং সামগ্রিকভাবে সর্বকালের সেরা দলগুলির মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচিত দল, যা দ্য ইনভিনসিবলস ডাকনাম অর্জন করেছিল, সেই দলের প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব ছিলেন।
এই নিবন্ধটি মেয়াদোত্তীর্ণ। (সেপ্টেম্বর ২০২১) |
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | Sir Donald George Bradman | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | (১৯০৮-০৮-২৭)২৭ আগস্ট ১৯০৮ Cootamundra, New South Wales, Australia | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০০১(2001-02-25) (বয়স ৯২) Kensington Park, Adelaide, Australia | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | The Don, The Boy from Bowral, Braddles | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ১.৭০ মিটার (৫ ফুট ৭ ইঞ্চি) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | Right-handed | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | Right-arm leg break | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | Batsman | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক | 10 June 1948 বনাম England | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | 14 August 1948 বনাম England | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সাধারণত ক্রিকেটের ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসাবে বিবেচিত ডানহাতি ব্র্যাডম্যান ৩ নম্বরে অধিনায়ক হিসাবে পাঁচটি টেস্টে খেলেছিলেন। ব্র্যাডম্যান অন্যান্য অস্ট্রেলীয় অধিনায়কের চেয়ে বেশি প্রভাবশালী ছিলেন কারণ স্কোয়াড বাছাইয়ে তিন নির্বাচকের মধ্যে তিনিও ছিলেন একজন। খেলতে গিয়ে তিনি অস্ট্রেলিয়ান কন্ট্রোল বোর্ডের সদস্যও ছিলেন, এটি বিশেষাধিকার যা অন্য কোনও ব্যক্তির নেই বা ছিল না। ৪০ বছর বয়সে ব্র্যাডম্যান ছিলেন দলের সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড়; তাঁর দলের তিন-চতুর্থাংশ তাঁর থেকে কমপক্ষে আট বছরের ছোট ছিলেন এবং কেউ কেউ তাকে পিতৃতুল্য হিসাবে দেখতেন। একজন জাতীয় বীর হিসাবে, ক্রিকেট খেলার ক্ষমতা এবং প্রশাসক হিসাবে প্রভাব এইসব তাঁর মর্যাদার সাথে মিলে তাঁর দলকে তাঁর সাথে আরো ঘনিষ্ঠ করে, অন্যান্য দলের অধিনায়কের তুলনায়। একজন ক্রিকেটার হিসাবে ব্র্যাডম্যানের মর্যাদাপূর্ণতার কারণে সফরের ম্যাচগুলিতে জনস্বার্থ ও উপস্থিতি রেকর্ড-ভেঙেছিল।
ব্র্যাডম্যান প্রথম শ্রেণির ম্যাচ শেষ করেন ব্যাটিং সমষ্টি এবং গড়ে সবার উপরে থেকে, ৮৯.৯২ গড়ে ২৪২৮ রান এবং এগারোটি সেঞ্চুরি করে, যা যে কোনও খেলোয়াড়ের মধ্যে সর্বাধিক। তাঁর এত সাফল্য সত্ত্বেও, অ্যালেক বেডসারের লেগ ফাঁদের বিরুদ্ধে তার সমস্যা ছিল — তিনি টেস্টে টানা তিনবার এবং অন্যান্য ম্যাচে দু'বার এই ফাঁদ ব্যবহার করায় বোলারদের কাছে ধরা পড়েছিলেন — এটি অনেক আলোচনার বিষয় হয়েছিল।
ট্রেন্ট ব্রিজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ব্র্যাডম্যান ১৩৮ রান করেছিলেন এবং অস্ট্রেলিয়ার ৫০৯ রানের ভিত্তি তিনিই স্থাপন করেছিলেন, যা ৩৪৪ রানের লিড স্থাপন করেছিল এবং শেষ পর্যন্ত জয় লাভ করেছিল। হেডিংলিতে চতুর্থ টেস্টে, শেষ দিনে অধোগামী পিচে তিনি অপরাজিত ১৭৩ রান করেছিলেন, আর্থার মরিসের সাথে ট্রিপল সেঞ্চুরির জুটি গড়ে অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় ইনিংসে ৩/৪০৪ [1] করে সাত উইকেটে জয় পেয়েছিল। এটি টেস্ট ইতিহাসে সর্বাধিক সফলতম রান তাড়া করার বিশ্ব রেকর্ড স্থাপন করেছে। এই সফরটি ছিল ব্র্যাডম্যানের আন্তর্জাতিক বিদায়, এবং যখন টেস্ট ক্যারিয়ারের গড় ১০০ করতে মাত্র চার রান দরকার ছিল, তখন তিনি ওভালের পঞ্চম টেস্টে দ্বিতীয় বলে শূন্য রানে আউট হন, এরিক হোলিসের গুগলি বলে বোল্ড হয়ে। তবুও অস্ট্রেলিয়া ৪ – ০ তে টেস্ট সিরিজ জিতেছিল এবং ব্র্যাডম্যান দুই সেঞ্চুরির সাথে ৭২.৫৭ গড়ে ৫০৮ রান নিয়ে সিরিজ শেষ করেছিল। শুধু মরিস — তিন সেঞ্চুরিসহ — পাঁচ টেস্টে এর বেশি রান করেছিল। সিরিজে ব্র্যাডম্যানের টেস্ট গড় অস্ট্রেলীয়দের মধ্যে তৃতীয় সর্বোচ্চ ছিল, সিড বার্নস এবং মরিসের পরে।