আশরাফ মুসা (দামেস্কের আমির)
From Wikipedia, the free encyclopedia
আশরাফ বা আশরাফ মুসা (মৃত্যু: ২৭ আগস্ট ১২৩৭, পুরোনাম আশরাফ মুসা আবুল ফাতহ মুযাফফরুদ্দীন ইবনে আদিল আরবি: الأشرف موسى ابو الفتح مظفر الدين ابن العادل) ছিলেন আইয়ুবীয় রাজবংশের একজন শাসক।
আশরাফ মুসা | |
---|---|
দামেস্কের আমির | |
রাজত্ব | ১২২৯–১২৩৭ |
পূর্বসূরি | নাসির দাউদ |
উত্তরসূরি | সালিহ ইসমাইল |
জন্ম | ১১৭৮ |
মৃত্যু | ২৭ আগস্ট ১২৩৭(1237-08-27) (বয়স ৫৮–৫৯) দামেস্ক |
পিতা | প্রথম আদিল |
ধর্ম | সুন্নি ইসলাম |
সুলতান প্রথম আদিলের পুত্র। ১২০১ খ্রিস্টাব্দে তার পিতা তাকে হারানে জাযিরাহর গভর্নর নিযুক্ত করেন। ১২২৭ খ্রিস্টাব্দে ভাই মুয়াযযাম ঈসার মৃত্যুর পর আশরাফ মুয়াযযামের পুত্র ও তার ভ্রাতুষ্পুত্র নাসির দাউদ থেকে মিশরের কামিলের বিরোধিতা করার জন্য একটি অনুরোধ পান। তাকে সাহায্য করার পরিবর্তে আশরাফ কামিলের সাথে ভাতিজার এলাকা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয়ার চুক্তি করেন। আশরাফ ১২২৯ খ্রিস্টাব্দের জুন মাসে দামেস্ক দখল করে শহর নিয়ন্ত্রণে নেন। ১২৩৭ খ্রিস্টাব্দে তার মৃত্যুর আগপর্যন্ত তিনি দামেস্কের আমির হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১২৩০ খ্রিস্টাব্দে বালবেকও দখল করেছিলেন। এর পরিবর্তে তিনি মেসোপটেমিয়ার অঞ্চলগুলো কামিলকে সমর্পণ করেন এবং তার আধিপত্য স্বীকার করেন। আর নাসিরকে পূর্ব জর্ডানের কেরাক অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল। কয়েক বছর পরে অবশ্য আশরাফ ভাইয়ের ক্ষমতায় অসন্তুষ্ট হতে শুরু করেন। তিনি ১২৩৭ খ্রিস্টাব্দে রুমের সেলজুক সুলতান প্রথম কায়কোবাদ ও আরো কিছু আইয়ুবীয় শাসকদের নিয়ে কামিলের বিরুদ্ধে জোটবদ্ধ হন। কিন্তু সেবছর গ্রীষ্মের শুরুর দিকেই কায়কোবাদ মারা যান। এরপর আশরাফও ২৭ আগস্ট মারা যান। তাই জোটটি ভেঙ্গে যায়। দামেস্কে আশরাফের উত্তরাধিকার হন তার ছোট ভাই সালিহ ইসমাইল।[1]