এম. জি. রামচন্দ্রন
ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক, রাজনীতিবিদ এবং তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী / From Wikipedia, the free encyclopedia
মারুদুর গোপালান রামচন্দ্রন (তামিল: மருதூர் கோபாலன் இராமச்சந்திரன்; ১৭ জানুয়ারী ১৯১৭ - ২৪ ডিসেম্বর ১৯৮৭), জনপ্রিয়ভাবে এমজিআর হিসেবে পরিচিত, ছিলেন একজন ভারতীয় তামিল চলচ্চিত্র অভিনেতা, চলচ্চিত্রনির্মাতা এবং রাজনীতিবিদ যিনি ১৯৭৭ সাল থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। এমজিআর ছিলেন ভারতের তামিলনাড়ু প্রদেশের একজন সাংস্কৃতিক মূর্তি, এবং তাকে তামিল চলচ্চিত্র শিল্পের অন্যতম প্রভাবশালী অভিনেতা ধরা হয়।[1] তিনি জনপ্রিয়ভাবে 'মাক্কাল তিলাগাম' হিসেবে পরিচিত ছিলেন যার বাংলা অর্থ হচ্ছে জনগণের রাজা কারণ তিনি জনগণের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় ছিলেন।[2]
জীবনী বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |
এম জি রামচন্দ্রন எம். ஜி. ராமச்சந்திரன் | |
---|---|
তামিলনাড়ুর ৪র্থ মুখ্যমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ৯ জুন ১৯৮০ – ২৪ ডিসেম্বর ১৯৮৭ | |
পূর্বসূরী | রাষ্ট্রপতির শাসন |
উত্তরসূরী | ভি আর নেদুনচেড়িয়ান (ভারপ্রাপ্ত) |
কাজের মেয়াদ ৩০ জুন ১৯৭৭ – ১৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৮০ | |
পূর্বসূরী | রাষ্ট্রপতির শাসন |
উত্তরসূরী | রাষ্ট্রপতির শাসন |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | মারুদুর গোপালান রামচন্দ্রন (১৯১৭-০১-১৭)১৭ জানুয়ারি ১৯১৭ ক্যান্ডি, ব্রিটিশ সিলন (বর্তমানে শ্রীলঙ্কা) |
মৃত্যু | ২৪ ডিসেম্বর ১৯৮৭(1987-12-24) (বয়স ৭০) মাদ্রাজ শহর (এখন চেন্নাই), তামিলনাড়ু, ভারত |
নাগরিকত্ব | ভারতীয় |
রাজনৈতিক দল | সর্বভারতীয় আন্না দ্রাবিড় মুনেত্র কড়গম |
দাম্পত্য সঙ্গী | তাঙ্গামণি (১৯৪২ সালে মৃত্যু) সত্যনন্দবতী (১৯৬২তে মৃত্যু) ভি এন জনকী ('৯৬তে মৃত্যু) |
সন্তান | অপু রবীন্দ্রন, সুরেন্দ্রন রামচন্দ্রন |
মাতা | মারুদুর সত্যবামা |
পিতা | মেলাক্কাত গোপাল মেনন |
আত্মীয়স্বজন | এম জি চক্রপানি (ভাই) |
পেশা | অভিনেতা, প্রযোজক, পরিচালক, রাজনীতিবিদ |
পুরস্কার | ভারত রত্ন (১৯৮৮) |
যুবক থাকা অবস্থায় এমজিআর এবং তার ভাই এম জি চক্রপানি মঞ্চ নাটকে যোগদান করেন তাদের পরিবারকে সাহায্য করার জন্য। গান্ধীয় মতাদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে এমজিআর ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসে যোগদান করেন। কয়েক বছর মঞ্চ নাটকে অভিনয়ের পর তিনি তামিল চলচ্চিত্র সাথী লীলাবতীতে সহ-চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেয়ে যান, চলচ্চিত্রটি ১৯৩৬ সালে মুক্তি পায়। ১৯৪০ এর দশকের শেষের দিকে তিনি তামিল সিনেমা জগতের মুখ্য নায়কের মর্যাদা লাভ করতে সক্ষম হন এবং পরবর্তী তিন দশক ধরে তিনি এক্ষেত্রে রাজত্ব ধরে রাখেন। তিনি সি.এন. আন্নাদুরাই এর রাজনৈতিক দল দ্রাভিড়া মুন্নেট্রা কাড়াগাম (ডিএমকে) এর সদস্যপদ লাভ করেন এবং খুব দ্রুত ছোট পদ থেকে বড় পদে উঠে যান, এক্ষেত্রে তার চলচ্চিত্র-অভিনেতার মর্যাদা এবং জনপ্রিয়তা কাজে লেগেছিলো। ১৯৭২ সালে, আন্নাদুরাইএর মৃত্যুর তিন বছর পর, তিনি ডিএমকে ছেড়ে দেন, তখন দলটি করুণানিধি নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন, এই করুণানিধি এমজিআরের বন্ধু ছিলেন যদিও, কিন্তু তারপরেও এমজিআর তার বিরোধী দল হিসেবে সর্বভারতীয় আন্না দ্রাবিড় মুনেত্র কড়গম (অল ইন্ডিয়া আন্না দ্রাভিড়া মুন্নেট্রা কাড়াগাম, এআইএডিএমকে) নামে একটি নতুন রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন। পাঁচ বছর পর তিনি তার এই এআইডিএমকে দলটিকে তামিলনাড়ুর প্রাদেশিক নির্বাচনে জিতিয়ে দেন ডিএমকে কে পেছনে ফেলে। তিনি তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্বভার গ্রহণ করেন, ভারতের প্রথম চলচ্চিত্র-অভিনেতা যিনি আবার একটি প্রদেশের সরকারপ্রধানও হয়েছেন। ১৯৮০ সালে ছয়মাসের জন্য তাকে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব থেকে দূরে রাখা হয় কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তে, ১৯৮৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর তার মৃত্যুদিবস পর্যন্ত তিনি তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন এবং তার জীবদ্দশায় তার এআইএডিএমকে দু'দুবার ক্ষমতায় আসে, ১৯৮০ ও '৮৪তে।
এমজিআরের আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ 'নান ইয়েন পিরান্দেন' ('আমি কেন জন্মেছিলাম') ২০০৩ সালে দুটি খণ্ডে প্রকাশিত হয়।[3]