কল্যাণ সিং
ভারতীয় রাজনীতিবিদ / From Wikipedia, the free encyclopedia
কল্যাণ সিং (৫ জানুয়ারী ১৯৩২ - ২১ আগস্ট ২০২১) একজন ভারতীয় রাজনীতিবিদ এবং ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এর সদস্য ছিলেন। তিনি দুবার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এবং সংসদ সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৯২ সালের ডিসেম্বরে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের সময় তিনি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। তাকে হিন্দু জাতীয়তাবাদ এবং অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের আন্দোলনের একজন আইকন হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
কল্যাণ সিং | |
---|---|
২১তম রাজস্থানের রাজ্যপাল | |
কাজের মেয়াদ ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ – ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | |
পূর্বসূরী | মার্গারেট আলভা |
উত্তরসূরী | কলরাজ মিশ্র |
হিমাচল প্রদেশের রাজ্যপাল (অতিরিক্ত দায়িত্ব) | |
কাজের মেয়াদ ২৮ জানুয়ারি ২০১৫ – ১২ আগস্ট ২০১৫ | |
পূর্বসূরী | উর্মিলা সিং |
উত্তরসূরী | আচার্য দেবব্রত |
সংসদ সদস্য, লোকসভা | |
কাজের মেয়াদ ২০০৯ – ২০১৪ | |
পূর্বসূরী | দেবেন্দ্র সিং যাদব |
উত্তরসূরী | রাজবীর সিং |
সংসদীয় এলাকা | এটাহ |
কাজের মেয়াদ ২০০৪ – ২০০৯ | |
পূর্বসূরী | ছত্রপাল সিং লোধা |
উত্তরসূরী | কমলেশ বাল্মীকি |
সংসদীয় এলাকা | বুলন্দশহর |
১৬তম উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ২১ সেপ্টেম্বর ১৯৯৭ – ১২ নভেম্বর ১৯৯৯ | |
পূর্বসূরী | মায়াবতী |
উত্তরসূরী | রামপ্রকাশ গুপ্ত |
কাজের মেয়াদ ২৪ জুন ১৯৯১ – ৬ ডিসেম্বর ১৯৯২ | |
পূর্বসূরী | মুলায়ম সিং যাদব |
উত্তরসূরী | রাষ্ট্রপতি শাসন |
বিরোধী দলনেতা, উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা | |
কাজের মেয়াদ ৪ জুলাই ১৯৯৩ – ১২ জুন ১৯৯৫ | |
মুখ্যমন্ত্রী | মুলায়ম সিং যাদব |
পূর্বসূরী | রেবতী রমণ সিং |
উত্তরসূরী | মুলায়ম সিং যাদব |
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী উত্তরপ্রদেশ সরকার | |
কাজের মেয়াদ ১৯৭৭ – ১৯৮০ | |
মুখ্যমন্ত্রী | রাম নরেশ যাদব বেনারসি দাস |
উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ১৯৮৫ – ২০০৪ | |
পূর্বসূরী | আনোয়ার খান |
উত্তরসূরী | প্রেমলতা দেবী |
সংসদীয় এলাকা | আত্রৌলি |
কাজের মেয়াদ ১৯৬৭ – ১৯৮০ | |
পূর্বসূরী | বাবু সিং |
উত্তরসূরী | আনোয়ার খান |
সংসদীয় এলাকা | আত্রৌলি |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | (১৯৩২-০১-০৫)৫ জানুয়ারি ১৯৩২ আত্রৌলি, যুক্তপ্রদেশ, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমান উত্তরপ্রদেশ, ভারত) |
মৃত্যু | ২১ আগস্ট ২০২১(2021-08-21) (বয়স ৮৯) লখনউ, উত্তরপ্রদেশ, ভারত |
রাজনৈতিক দল | ভারতীয় জনতা পার্টি |
দাম্পত্য সঙ্গী | রামবতী দেবী (১৯৫২–২০২১) (মৃত্যু) |
সন্তান | ২, (রাজবীর সিং সহ) |
পুরস্কার | পদ্মবিভূষণ (২০২১) (মরণোত্তর) |
সিং স্কুলে থাকাকালীনই রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সদস্য হয়েছিলেন। তিনি ১৯৬৭ সালে আত্রৌলি বিধানসভার সদস্য হিসাবে উত্তরপ্রদেশের আইনসভায় প্রবেশ করেন। তিনি ভারতীয় জনসংঘ, বিজেপি, জনতা পার্টি এবং রাষ্ট্রীয় ক্রান্তি পার্টির সদস্য হিসেবে ওই আসনে আরও নয়টি নির্বাচনে জয়লাভ করেন। সিং ১৯৯১ সালে প্রথমবারের মতো উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী নিযুক্ত হন, কিন্তু বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর পদত্যাগ করেন। তিনি ১৯৯৭ সালে দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হন, কিন্তু ১৯৯৯ সালে তার দল তাকে অপসারণ করে এবং এরপর তিনি বিজেপি ছেড়ে নিজের দল গঠন করেন।
সিং ২০০৪ সালে বিজেপিতে পুনরায় প্রবেশ করেন এবং বুলন্দশহর থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ২০০৯ সালে দ্বিতীয়বার বিজেপি ত্যাগ করেন এবং ২০০৯ সালের ভারতীয় সাধারণ নির্বাচনে এটাহ থেকে স্বতন্ত্র হিসেবে সফলভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ২০১৪ সালে তিনি আবার বিজেপিতে যোগ দেন এবং রাজস্থানের রাজ্যপাল নিযুক্ত হন। তিনি পাঁচ বছরের মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেন এবং ২০১৯ সালে সক্রিয় রাজনীতিতে পুনরায় প্রবেশ করেন। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে তাকে বাবরি মসজিদ ধ্বংস করার অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের জন্য বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছিল। ২০২০ সালে সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের একটি বিশেষ আদালত তাকে খালাস দেয়। তিনি ২১ আগস্ট ২০২১ তারিখে উত্তর প্রদেশের লখনউতে মারা যান। তিনি মরণোত্তর ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার পদ্মবিভূষণে ভূষিত হন।