টেলিফোন
টেলিযোগাযোগ ডিভাইস / From Wikipedia, the free encyclopedia
টেলিফোন মানুষের মুখের কথা যুগপৎ প্রেরণ ও গ্রহণের জন্য ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক যন্ত্র, যার মাধ্যমে একে অপরের থেকে বহু দূরে অবস্থিত একাধিক ব্যক্তি মৌখিক যোগাযোগ স্থাপন করতে পারেন। টেলিফোন সস্তা, সহজে ব্যবহারযোগ্য এবং এর মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে কণ্ঠস্বরের মাধ্যমে ব্যক্তিগত যোগাযোগ স্থাপন করা যায়; এই সমস্ত সুবিধা অন্য কোনও মাধ্যমে সম্ভব নয়। এর ফলে বর্তমানে এটি বিশ্বের সর্বাধিক ব্যবহৃত যোগাযোগ যন্ত্র। সারা বিশ্বে শত শত কোটি টেলিফোন যন্ত্র ব্যবহার করা হয়। টেলিফোনের মাধ্যমে হাজার হাজার মাইল দুরের মানুষের সাথেও কথা বলা যায়। "টেলিফোন" একটি ইংরেজি শব্দ ("টেলি" অর্থ "দূর"; "ফোন" অর্থ "ধ্বনি")। বাংলায় এ যন্ত্রটিকে দূরভাষ বা দূরালাপনী নামেও ডাকা হয়ে থাকে।
১৮৭৬ সালে মার্কিন উদ্ভাবক আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল বৈদ্যুতিক তারের মাধ্যমে মুখের কথা পাঠানোর যন্ত্রের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্যাটেন্ট বা সরকারি সনদ লাভ করেন। এর ২০ বছরের মধ্যে টমাস ওয়াটসন, এমিল বার্লিনার, টমাস আলভা এডিসন ও অন্যান্যদের গবেষণার ফলশ্রুতিতে টেলিফোন যন্ত্রের নকশা এমন একটি স্থিতিশীল রূপ নেয় যা পরবর্তী প্রায় এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে মৌলিকভাবে অপরিবর্তিত থাকে। ১৯৪৭ সালে ট্রানজিস্টরের আবির্ভাবের পর ধাতব তার ও ভারী ওজনের যন্ত্রপাতির পরিবর্তে হালকা ওজনের ও ঘনবিন্যস্ত বর্তনীসমৃদ্ধ টেলিফোন তৈরি করা শুরু হয়। ইলেকট্রনিক প্রযুক্তিতে উন্নতির সাথে সাথে আরও বেশ কিছু "বুদ্ধিমান" বৈশিষ্ট্য টেলিফোনে যুক্ত হয়। যেমন স্বয়ংক্রিয়ভাবে পুনঃসংযোগ স্থাপন করা, টেলিফোনে ডাকদাতার নম্বর শনাক্তকরণ, টেলিফোনে ডাকদাতাকে অপেক্ষা করানো, টেলিফোনের ডাক নতুন কাউকে হস্তান্তর করা, তারহীন সম্প্রচার, দৃশ্যমান উপাত্ত পর্দা, ইত্যাদি। এই সবগুলি বৈশিষ্ট্যই টেলিফোনের মূল নকশার কোন পরিবর্তন আনেনি, বরং সম্পূরক ভূমিকা পালন করেছে। শুরুর দিকে টেলিফোনের তার ব্যবস্থা ব্যবহার করেই ইন্টারনেটে সংযুক্ত হতে হত।