মুহাম্মদ নজিবউল্লাহ
আফগানিস্তানের রাষ্ট্রপতি / From Wikipedia, the free encyclopedia
মুহাম্মদ নজিবউল্লাহ আহমেদজাই (পশতু: ډاکټر محمد نجیب ﷲ احمدزی; ফেব্রুয়ারি ১৯৪৭ – ২৭ সেপ্টেম্বর ১৯৯৬) ছিলেন আফগানিস্তানের রাষ্ট্রপতি। ১৯৮৭ সাল থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত তিনি রাষ্ট্রপতির পদে ছিলেন। তিনি সাধারণভাবে নজিবউল্লাহ বা ড. নজিব নামে পরিচিত। তিনি কাবুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হন। রাষ্ট্রপতি হওয়ার পূর্বে তিনি পিপল'স ডেমোক্রেটিক পার্টি অব আফগানিস্তানের (পিডিপিএ) বিভিন্ন দায়িত্বপালন করেছেন। হাফিজউল্লাহ আমিনের শাসনামলে তাকে রাষ্ট্রদূত হিসেবে ইরানে প্রেরণ করে নির্বাসিত করা হয়। সোভিয়েত হস্তক্ষেপের পর তিনি আফগানিস্তানে ফিরে আসেন। বাবরাক কারমালের শাসনামলে তিনি গোয়েন্দা সংস্থার (খাদামাতে আয়েতলাতে দাওলাতি, সংক্ষেপে খাদ) প্রধান হন। তিনি পিডিপিএর পারচাম গ্রুপের সদস্য ছিলেন।
মুহাম্মদ নজিবউল্লাহ আহমেদজাই | |
---|---|
আফগানিস্তানের রাষ্ট্রপতি | |
কাজের মেয়াদ ৩০ সেপ্টেম্বর ১৯৮৭ – ১৬ এপ্রিল ১৯৯২ | |
প্রধানমন্ত্রী | সুলতান আলি কেশ্তমান্দ মুহাম্মদ হাসান শার্ক সুলতান আলি কেশ্তমান্দ ফজল হক খালিকিয়ার |
পূর্বসূরী | হাজি মুহাম্মদ চামকানি |
উত্তরসূরী | আবদুর রহিম হাতিফ (ভারপ্রাপ্ত) |
কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব | |
কাজের মেয়াদ ৪ মে ১৯৮৬ – ১৬ এপ্রিল ১৯৯২ | |
পূর্বসূরী | বাবরাক কারমাল |
উত্তরসূরী | দপ্তর বিলুপ্ত |
রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক | |
কাজের মেয়াদ ১১ জানুয়ারি ১৯৮০ – ২১ নভেম্বর ১৯৮৫ | |
রাষ্ট্রপতি | বাবরাক কারমাল |
প্রধানমন্ত্রী | বাবরাক কারমাল সুলতান আলি কেশ্তমান্দ |
পূর্বসূরী | আসাদউল্লাহ সারওয়ারি |
উত্তরসূরী | গোলাম ফারুক ইয়াকুবি |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ফেব্রুয়ারি ১৯৪৭ কাবুল, আফগানিস্তান |
মৃত্যু | ২৮ সেপ্টেম্বর ১৯৯৬(1996-09-28) (বয়স ৪৯) কাবুল, আফগানিস্তান |
রাজনৈতিক দল | পিপল'স ডেমোক্রেটিক পার্টি অব আফগানিস্তান (পারচাম) |
দাম্পত্য সঙ্গী | ড. ফাতানা নজিব |
সন্তান | তিন মেয়ে |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | কাবুল বিশ্ববিদ্যালয় |
নজিবউল্লাহ খাদের প্রধান থাকাকালীন সময়ে এটি সরকারের সবচেয়ে সহিংস অঙ্গ হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠে। ১৯৮১ সালে তিনি পিডিপিএর পলিটব্যুরোতে নিযুক্ত হন। ১৯৮৫ সালে তিনি পিডিপিএ সেক্রেটারিয়েটে নিয়োগ পান। ১৯৮৬ সালে কারমালের পদত্যাগের পর নজিবউল্লাহ পিডিপিএর মহাসচিব হন। নজিবউল্লাহ এরপর কয়েক মাস ধরে রাষ্ট্রপতি কারমালের সাথে ক্ষমতার লড়াইয়ে লিপ্ত ছিলেন। নজিবউল্লাহ অভিযোগ করেন যে কারমাল তার জাতীয় সমঝোতার নীতি ধ্বংস করতে চাইছেন।
নজিবউল্লাহর শাসনামলে সোভিয়েতরা আফগানিস্তান ত্যাগ শুরু করে। সোভিয়েতরা চলে যাওয়ার পরও অর্থনৈতিক ও সামরিক সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে নজিবউল্লাহর প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র মুজাহিদদের সমর্থন দিতে থাকে। সরকারের প্রতি সমর্থন বৃদ্ধির জন্য তিনি তার সরকারকে ইসলামি সরকার হিসেবে পরিচিত করতে চেষ্টা করেন। ১৯৯০ সালের সংবিধানে ইসলামি রাষ্ট্রের ঘোষণা দেয়া হয়। তবে এসবের ফলে নজিবউল্লাহর সমর্থন বৃদ্ধি পায়নি। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের ভাঙনের পর নজিবউল্লাহ একা হয়ে পড়েন। ১৯৯২ সালের এপ্রিলে তিনি ক্ষমতাচ্যুত হন। ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত তিনি কাবুলে জাতিসংঘের দপ্তরে ছিলেন। এরপর তালেবানরা কাবুল অধিকার করে। নজিবউল্লাহকে গ্রেপ্তার করার পর জনসম্মুখে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়।