অকাভাঙ্গ
ভূমধ্য বদ্বীপ / From Wikipedia, the free encyclopedia
অকাভাঙ্গ বদ্বীপ (বা অকাভাঙ্গ তৃণভূমি, ইংরেজিতে Okavango) বতসোয়ানার একটি জলমগ্ন ভূমধ্য-বদ্বীপ। যে জায়গায় অকাভাঙ্গ নদী কালাহারি মরুভূমির বদ্ধ বেসিনের মধ্যভাগে টেকটোনীয় খাতে পৌঁছায় সেখাই অকাভাঙ্গ বদ্বীপ সৃষ্টি হয়েছে। এই বদ্বীপে প্রবাহিত হওয়া সমস্ত পানি চূড়ান্তভাবে বাষ্পীভূত হয় এবং কোনও সমুদ্র বা মহাসাগরে পতিত হয় না। প্রতি বছর প্রায় ১১ ঘনকিলোমিটার (২.৬ মা৩) পানি এই এলাকার ৬,০০০–১৫,০০০ কিমি২ (২,৩০০–৫,৮০০ মা২) অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। বন্যার কিছু পানি এনগামি হ্রদে গিয়েও পড়ে।[2] অঞ্চলটি একসময় ম্যাকগাদিকগাদি নামে একটি প্রাচীন হ্রদের একটি অংশ ছিল, যার বেশিরভাগটাই হলোসিন উপযুগের প্রথম দিকেই শুকিয়ে যায়।[3]
ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান | |
---|---|
অবস্থান | বতসোয়ানা |
মানদণ্ড | প্রাকৃতিক: vii, ix, x |
সূত্র | 1432 |
তালিকাভুক্তকরণ | ২০১৪ (৩৮তম সভা) |
আয়তন | ২,০২৩,৫৯০ হে. |
নিরাপদ অঞ্চল | ২,২৮৬,৬৩০ হে. |
স্থানাঙ্ক | ১৯°১৭′০০″ দক্ষিণ ২২°৫৪′০০″ পূর্ব |
প্রাতিষ্ঠানিক নাম | Okavango Delta System |
অন্তর্ভুক্তির তারিখ | ১২ই সেপ্টেম্বর, ১৯৯৬ |
রেফারেন্স নং | ৮৭৯[1] |
মোরেমি বন্যপ্রানী অভয়ারণ্য, যা একটি জাতীয় উদ্যানও বটে, বদ্বীপটির পূর্ব দিকে অবস্থিত। এই বদ্বীপ আফ্রিকার সাতটি প্রাকৃতিক আশ্চর্য একটি হিসাবে স্বীকৃত, যা আনুষ্ঠানিকভাবে ১১ই ফেব্রুয়ারি ২০১৩তে তানজানিয়ার আরুশায় ঘোষণা করা হয়।[4] ২২ই জুন ২০১৪তে অকাভাঙ্গকে ইউনেস্কো আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বের ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে।[5][6]