আন্দ্রি শেভচেঙ্কো
ইউক্রেনীয় ফুটবলার / From Wikipedia, the free encyclopedia
আন্দ্রি মিকোলায়োভিচ শেভচেঙ্কো (ইউক্রেনীয়: Андрій Миколайович Шевченко, উচ্চারণ [ɐnˈd⁽ʲ⁾r⁽ʲ⁾ij mɪkoˈlɑjowɪtʃ ʃeu̯ˈtʃɛnko]; জন্ম: ২৯ সেপ্টেম্বর ১৯৭৬; আন্দ্রি শেভচেঙ্কো নামে সুপরিচিত) হলেন একজন ইউক্রেনীয় সাবেক পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড়, রাজনীতিবিদ এবং ম্যানেজার। তিনি বর্তমানে ইউক্রেনের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন। শেভচেঙ্কো তার খেলোয়াড়ি জীবনের অধিকাংশ সময় দিনামো কিয়েভ এবং এসি মিলানের হয়ে আক্রমণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেছেন। তিনি মূলত কেন্দ্রীয় আক্রমণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেললেও মাঝেমধ্যে ডান পার্শ্বীয় আক্রমণভাগের খেলোয়াড় এবং বাম পার্শ্বীয় আক্রমণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেছেন।
আন্দ্রি শেভচেঙ্কো | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
জন্ম | আন্দ্রি মিকোলায়োভিচ শেভচেঙ্কো[1] (1976-09-29) ২৯ সেপ্টেম্বর ১৯৭৬ (বয়স ৪৭)[2] | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
পেশা |
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ১.৮৩ মিটার (৬ ফুট ০ ইঞ্চি)[3] | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
রাজনৈতিক দল | এসডিপিইউ (ইউ) (১৯৯৮–২০০৫) ইউক্রেন – ফরওয়ার্ড! (২০১২) | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
দাম্পত্য সঙ্গী | ক্রিস্টেন পাজিক (বি. ২০০৪) | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সন্তান | ৪ | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আত্মীয় | মাইক পাজিক (শ্বশুর) | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওয়েবসাইট | www |
১৯৮৬–৮৭ মৌসুমে, মাত্র ১০ বছর বয়সে, ইউক্রেনীয় ফুটবল ক্লাব দিনামো কিয়েভের যুব পর্যায়ের হয়ে খেলার মাধ্যমে শেভচেঙ্কো ফুটবল জগতে প্রবেশ করেছিলেন এবং এই দলের হয়ে খেলার মাধ্যমে তিনি ফুটবল খেলায় বিকশিত হয়েছিলেন। ১৯৯৩–৯৪ মৌসুমে, প্রথমে দিনামো কিয়েভ ২ এবং একই মৌসুমে দিনামো কিয়েভের হয়ে খেলার মাধ্যমে তিনি তার জ্যেষ্ঠ পর্যায়ের খেলোয়াড়ি জীবন শুরু করেছিলেন, যেখানে তিনি ৫ মৌসুম অতিবাহিত করেছিলেন; দিনামো কিয়েভের হয়ে তিনি ৫১ ম্যাচে ১৬টি গোল করেছিলেন। অতঃপর ১৯৯৯–২০০০ মৌসুমে তিনি প্রায় ২৫ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে ইতালীয় ক্লাব এসি মিলানে যোগদান করেছিলেন, এসি মিলানের হয়ে তিনি কার্লো আনচেলত্তির অধীনে ১টি লিগ শিরোপা জয়লাভ করেছিলেন। এসি মিলানে ৭ মৌসুম অতিবাহিত করার পর প্রায় ৪৪ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে ইংরেজ ক্লাব চেলসির সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন, যেখানে তিনি সকল প্রতিযোগিতায় ৭৭ ম্যাচে ২২টি গোল করেছিলেন। মাঝে তিনি ১ মৌসুমের জন্য এসি মিলানের হয়ে ধারে খেলেছিলেন। সর্বশেষ ২০০৯–১০ মৌসুমে, তিনি চেলসি হতে পুনরায় দিনামো কিয়েভে যোগদান করেছিলেন; দিনামো কিয়েভের হয়ে ৩ মৌসুম খেলার পর তিনি অবসর গ্রহণ করেছিলেন।
১৯৯৪ সালে, শেভচেঙ্কো ইউক্রেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে ইউক্রেনের বয়সভিত্তিক পর্যায়ে অভিষেক করেছিলেন। প্রায় ২ বছর যাবত ইউক্রেনের বয়সভিত্তিক দলের হয়ে খেলার পর, তিনি ১৯৯৫ সালে ইউক্রেনের হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিষেক করেছিলেন; ইউক্রেনের জার্সি গায়ে তিনি সর্বমোট ১১১ ম্যাচে ৪৮টি গোল করেছিলেন। তিনি ইউক্রেনের হয়ে সর্বমোট ১টি ফিফা বিশ্বকাপ (২০০৬) এবং ১টি উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপে (২০১২) অংশগ্রহণ করেছিলেন।
খেলোয়াড়ি জীবনের ইতি টানার পর ২০১৬ সালে, শেভচেঙ্কো ইউক্রেনের সহকারী ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করার মাধ্যমে ম্যানেজার হিসেবে ফুটবল জগতে অভিষেক করেন। একই বছরের ১৫ই জুলাই তারিখে মিখায়লো ফোমেঙ্কো বরখাস্ত হওয়ার পর, তিনি ইউক্রেনের ম্যানেজারের পদে নিযুক্ত হয়েছেন। ব্যক্তিগতভাবে, শেভচেঙ্কো বেশ কিছু পুরস্কার জয়লাভ করেছেন, যার মধ্যে ২০০৪ বালোঁ দর[4] এবং ৬ বার বর্ষসেরা ইউক্রেনীয় ফুটবলারের পুরস্কার জয় অন্যতম।[5] দলগতভাবে, খেলোয়াড় হিসেবে শেভচেঙ্কো সর্বমোট ১৯টি শিরোপা জয়লাভ করেছিলেন, যার মধ্যে ১২টি দিনামো কিয়েভের হয়ে, ৫টি এসি মিলানের হয়ে এবং ২টি চেলসির হয়ে জয়লাভ করেছিলেন।