আমরা বাঙালী
বাঙালি জাতীয়তাবাদী ভারতীয় রাজনৈতিক দল / From Wikipedia, the free encyclopedia
আমরা বাঙালী প্রখ্যাত দার্শনিক প্রভাতরঞ্জন সরকার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত;[1] ভারতের একটি বাঙালি রাজনৈতিক দল। ভরতীয় রাজনীতিতে উত্তর-পূর্ব ভারতে বাঙালিদের বিরুদ্ধে বয়ানবাজির প্রতিক্রিয়া হিসেবে এই দলটি গঠন করা হয়।[2] ৮০'র দশকের মধ্যভাগে দলটি কিছুদিনের জন্য সংবাদ শিরোনামে জায়গা করে নেয়; এমনকি সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর কয়েকটি পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়লাভও করে।[1] বর্তমানে, আমরা বাঙালী দলটি দার্জিলিং গোর্খাদের নতুন রাজ্য গোর্খাল্যান্ড গঠনের দাবির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন সহ বিভিন্ন আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত।[3] এটি আসামের জাতীয় নাগরিক পঞ্জী ও নাগরিকত্ব (সংশোধন) আইন, ২০১৯-এর প্রতিবাদ করেছিল।[4][5][6]
আমরা বাঙালী | |
---|---|
সংক্ষেপে | এএমবি |
প্রতিষ্ঠাতা | প্রভাতরঞ্জন সরকার |
সদর দপ্তর | কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত |
সদস্যপদ | ৭,৬৪,৪৩২(২০১৭) |
ভাবাদর্শ | প্রগতিশীল ব্যবহারিক তত্ত্ব, বাঙালি জাতীয়তাবাদ |
নির্বাচনী প্রতীক | |
ভারতের রাজনীতি রাজনৈতিক দল নির্বাচন |
আমরা বাঙালীর রাজনৈতিক মতাদর্শ মূলত প্রভাতরঞ্জন সরকারের সামাজিক-অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দর্শন প্রগতিশীল ব্যবহারিক তত্ত্ব -এর উপর আধারিত অর্থনৈতিক গণতন্ত্রের ধারণা ভিত্তিক । পশ্চিমবঙ্গে দলটি সংগঠিত হলেও, অন্যান্য রাজ্য যেগুলোতে বৃহৎ বাঙালি জনগোষ্ঠী বসবাস করে যেমন, ত্রিপুরা, বিহার, উড়িষ্যা, আসাম ও ঝাড়খণ্ডে দলটির উপস্থিতি বর্তমান। ১৯৮০-এর দশকে ত্রিপুরায় পাহাড়ি জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে বাঙালিদের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার করাণে দলটি জয়ী হয় ও বিধানসভায় প্রবেশ করে; এবং এটিই এই দলের একমাত্র রাজনৈতিক সাফল্য।
পশ্চিমবঙ্গে, আমরা বাঙালী দলটি রেলওয়ে স্টেশনের বোর্ড ভাংচুর এবং অনেক স্থানের ইংরেজি ও হিন্দি নামগুলো কালো আলকাতরা দিয়ে মিটিয়ে দিয়েছে যাতে বাংলা নামটিই দেখা যায়।[1]
ত্রিপুরা রাজ্যের বাসিন্দা ভুবন বিজয় মজুমদার ছিলেন আমরা বাঙালী দলের একজন বিখ্যাত নেতা।[7][8]