ইসরায়েলি সেনাবাহিনী
From Wikipedia, the free encyclopedia
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বা আইডিএফ (হিব্রু ভাষায়: צְבָא הַהֲגָנָה לְיִשְׂרָאֵל; আক্ষ. 'ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী'; বিকল্পভাবে হিব্রু সংক্ষিপ্ত রূপ Tzahal–צה״ל) হলো ইসরায়েলের জাতীয় সামরিক বাহিনী। এটি তিনটি শাখা নিয়ে গঠিত: ইসরায়েলি স্থলবাহিনী, ইসরায়েলি বিমান বাহিনী এবং ইসরায়েলি নৌবাহিনী।[3] এটি ইস্রায়েলি নিরাপত্তা ব্যবস্থার একমাত্র সামরিক শাখা। আইডিএফের নেতৃত্ব দেন চিফ অফ দ্য জেনারেল স্টাফ, যিনি ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর অধীনস্থ হয়ে থাকেন।
ইসরায়েলী প্রতিরক্ষা বাহিনী צבא ההגנה לישראל | |
---|---|
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রতীক | |
প্রতিষ্ঠাকাল | ২৬ মে ১৯৪৮; ৭৫ বছর আগে (1948-05-26) |
সার্ভিস শাখা |
|
নেতৃত্ব | |
প্রতিরক্ষামন্ত্রী | ইয়াভ গ্যালান্ট |
লোকবল | |
সেনাবাহিনীর বয়স | ১৭ |
বাধ্যতামূলকভাবে সৈন্যদলে নিয়োগ | ২৪–৩৪ মাস |
সামরিক বাহিনীতে সেবাদানে সক্ষম |
১,৫৫৪,১৮৬ পুরুষ, বয়স ১৭–৪৯ (২০১৬), ১,৫১৪,০৬৩ মহিলা, বয়স ১৭–৪৯ (২০১৬) |
সেনাবাহিনীতে যোগদানের উপযুক্ত |
১,৪৯৯,৯৯৮ পুরুষ, বয়স ১৭–৪৯ (২০১৬), ১,৩৯২,২১৯ মহিলা, বয়স ১৭–৪৯ (২০১৬) |
বছরে সামরিক বয়সে পৌছায় |
৬০,০০০ পুরুষ (২০১৬), ৬০,০০০ মহিলা(২০১৬) |
সক্রিয় কর্মিবৃন্দ | ১৬৯,৫০০[1] |
সংরক্ষিত কর্মিবৃন্দ | ৪৬৫,০০০[1] |
ব্যয় | |
বাজেট | মার্কিন $২৪.৩ বিলিয়ন (২০২১)[2] ( ১৫তম) |
শতকরা জিডিপি | ৫.২% (২০২১)[2] |
উদ্যোগ | |
স্থানীয় সরবরাহকারী |
|
বৈদেশিক সরবরাহকারী | * মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
সম্পর্কিত নিবন্ধ | |
ইতিহাস | ১৯৪৮ আরব-ইসরায়েলি যুদ্ধ (১৯৪৮-৪৯) প্রতিশোধমূলক অপারেশন (১৯৫১-৫৬) সুয়েজ সংকট (১৯৬৬-৭০) ইয়োম কিপুরের যুদ্ধ (১৯৭৩) অপারেশন লিটানি (১৯৭৮) লেবানন সংঘাত (১৯৪৫-২০০০) প্রথম ইন্তিফাদা (১৯৮৭-১৯৯৩) দ্বিতীয় ইন্তিফাদা(২০০০-২০০৫) দ্বিতীয় লেবানন যুদ্ধ (২০০৬) অপারেশন কাস্ট লিড ( ২০০৮-২০০৯) পিলার অফ ডিফেন্স (২০১২) প্রোটেক্টিভ এজ (২০১৪) ২০২১ ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংকট (২০২১) ২০২৩ ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ (২০২৩) অন্যান্য |
মর্যাদাক্রম | ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর র্যাঙ্ক |
|
দাভিদ বেন গুরিয়ানের নির্দেশে ১৯৪৮ সালের ২৬ মে আইডিএফ গঠিত হয় এবং ইশুভের ইতিমধ্যে বিদ্যমান আধাসামরিক বাহিনী; যেমন: হাগানাহ, ইরগুন ও লেহি থেকে প্রাথমিক নিয়োগপ্রাপ্তদের নিয়ে এটি গঠন করা হয়। ইস্রায়েলের স্বাধীনতার ঘোষণার পরপরই, এটির গঠনের পর থেকে বাহিনীটি ইসরায়েলের সাথে জড়িত প্রতিটি সশস্ত্র সংঘাতে অংশগ্রহণ করেছে। এটি মূলত তিনটি প্রধান ফ্রন্টে কাজ করেছিল: উত্তরে লেবানন ও সিরিয়ার বিরুদ্ধে, পূর্বে জর্ডান, ইরাকের বিরুদ্ধে এবং দক্ষিণে মিশরের বিরুদ্ধে। আইডিএফ প্রাথমিকভাবে ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দে মিশর থেকে তার দৃষ্টি দক্ষিণ লেবানন ও ফিলিস্তিনি অঞ্চলে স্থানান্তরিত করেছে। এটি মিশর ইসরায়েল শান্তি চুক্তি ও ১৯৯৪ ইসরাইল-জর্ডান শান্তি চুক্তির ফলে হয়। যাইহোক, চলমান বহুপক্ষীয় সিরীয় গৃহযুদ্ধের ফলে সৃষ্টি আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতার জন্য ২০১১ খ্রিস্টাব্দ থেকে ইস্রায়েল-সিরীয় সীমান্ত প্রায়শ উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটে।
আইডিএফ গঠনের পর থেকে নিয়ন্ত্রিত নারী সেনাদের নিয়োগের ক্ষেত্রে বিশ্বের সামরিক বাহিনীগুলির মধ্যে অনন্য। দেশের অর্থনীতি এবং রাজনৈতিক দৃশ্যে এর প্রভাবের কারণেও এটি ইসরায়েলি সমাজের অন্যতম প্রধান প্রতিষ্ঠান। এটি ইসরায়েলের মধ্যে উন্নত বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে। ইসরায়েলি সামরিক সরঞ্জামের মধ্যে রয়েছে: মারকাভা যুদ্ধের ট্যাঙ্ক, নামের সাঁজোয়া কর্মীবাহক যান; আয়রন ডোম, ক্যাটার্পিলার সাঁজোয়া বুলডোজার, স্পাইক অ্যান্টি–ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল; কাঁধ থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য ম্যাটাডোর রকেট, উজি বন্দুক, আইএমআই গালিল ও আইডব্লিউআই টাভোর অ্যাসল্ট রাইফেল। ১৯৪৮ সাল থেকেই আইডিএফের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। [4]
আইডিএফ ১৯৬৭ খ্রিস্টাব্দ থেকে পারমাণবিক অস্ত্রের সক্ষমতা বজায় রেখেছে বলে ধারণা করা হয়। সম্ভবত দেশটির ৮০ থেকে ৪০০ টি পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে। [5]
আইডিএফ গঠনের পর থেকেই ফিলিস্তিনে একাধিক যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত করেছে বলে বিশ্লেষকগণ ধারণা করেন। বিশেষ করে যুদ্ধ চলাকালীন ফিলিস্তিনি নাগরিকদের হত্যা ও নির্যাতন করার ঘটনা একাধিক বার সংঘটিত হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। [6][7][8]