উত্তর কোরিয়া–মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক
From Wikipedia, the free encyclopedia
উত্তর কোরিয়া–যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক বলতে উত্তর কোরিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার আন্তর্জাতিক সম্পর্ককে বোঝানো হয়ে থাকে। ঐতিহাসিকভাবে উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিল বৈরীভাবাপন্ন, যার কোরিয় যুদ্ধের সময় প্রাথমিক সূত্রপাত হয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উত্তর কোরিয়ার ধ্বংসাত্মক পারমাণবিক কর্মসূচি- পারমাণবিক অস্ত্রের ছয়টি পরীক্ষা, দূরপাল্লায় আঘাত হানতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নয়ন, এবং যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানার এর চলমান হুমকি[1] এবং উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র এবং গতানুগতিক বাহিনী দ্বারা সম্পর্ককে সজ্ঞায়িত করা হয়। জর্জ ডব্লিউ. বুশ তার শাসনামলে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক সক্ষমতার কারণে একে "মন্দ অক্ষের" অংশ বলে আখ্যায়িত করেন।[2][3]
এই নিবন্ধটি ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করা প্রয়োজন। এই নিবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় লেখা হয়েছে। নিবন্ধটি যদি ইংরেজি ভাষার ব্যবহারকারীদের উদ্দেশ্যে লেখা হয়ে থাকে তবে, অনুগ্রহ করে নিবন্ধটি ঐ নির্দিষ্ট ভাষার উইকিপিডিয়াতে তৈরি করুন। অন্যান্য ভাষার উইকিপিডিয়ার তালিকা দেখুন এখানে। এই নিবন্ধটি পড়ার জন্য আপনি গুগল অনুবাদ ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু এ ধরনের স্বয়ংক্রিয় সরঞ্জাম দ্বারা অনুবাদকৃত লেখা উইকিপিডিয়াতে সংযোজন করবেন না, কারণ সাধারণত এই সরঞ্জামগুলোর অনুবাদ মানসম্পন্ন হয় না। |
উত্তর কোরিয়া |
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
---|---|
সাম্প্রতিককালে, প্রথম ২০১৮ কিম-ট্রাম্প সম্মেলনের পর উত্তর কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র কিছু আনুষ্ঠানিক কূটনীতি শুরু করেছে। রাষ্ট্র প্রতিনিধি বিষয় সংক্রান্ত বিষয়ে সুইডেন উত্তর কোরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থরক্ষাকারী হিসেবে কাজ করেছে।[4][5] কোরিয় যুদ্ধের পর থেকে দক্ষীণ কোরিয়ায় শক্ত সামরিক উপস্থিতি বজায় রেখে আসছে। যদিও যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ কোরিয়াকে সমগ্র কোরিয়ার বৈধ প্রতিনিধি হিসেবে বিবেচনা করে।
মার্কিন সেনাদের দক্ষিণ কোরিয়া প্রতিরক্ষার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের সমর্থন ক্রমবর্ধমান হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৯৯০ সালে সমর্থনের হার ছিল ২৬%, আর বর্তমানে এটি তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়ে ৬২%-এ এসে পৌঁছেছে। ২০১৭ সাল অনুযায়ী দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রপতি মুন জাই ইনের প্রতি একটি বড় অংশ মার্কিন নাগরিকদের ইতিবাচক দৃষ্টভঙ্গী ছিল।[6]
২০১৫ সালে গেলাপের বৈশ্বিক সম্পর্ক বিষয়ক প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুধুমাত্র ৯% মার্কিন নাগরিকদের উত্তর কোরিয়ার প্রতি সহানুভূতিশীল, যেখানে ৮৭% মার্কিনরা নেতিবাচক দৃষ্টভঙ্গী রয়েছে।[7] ২০১৪ বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিস পুল অনুসারে, মাত্র ৪% আমেরিকান উত্তর কোরিয়ার প্রভাবের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গী প্রদর্শন করে, যেখানে ৯০% নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প রাষ্ট্রপতির দায়িত্বগ্রহণ করার পর পূর্বের যেকোন সময়ের থেকে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচি দ্রুত হারে উন্নয়ন লাভ করায় ২০১৭ সালে উভয়পক্ষে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় (পাশাপাশি উত্তর কোরিয়াকে সামলানোয় ট্রাম্পের আক্রমণাত্মক কর্মকাণ্ড), ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা এবং কোরিয় উপদ্বীপে ক্রমবর্ধমান সামরিক উপস্থিতি ঐ অঞ্চলে পারমাণবিক যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরী করে।
ব্যাপক সংঘাতের আশঙ্কা সত্ত্বেও, উত্তেজনা প্রশমিত হতে থাকে, ২০১৮ সালের ৮ই মার্চ যখন হোয়াইট হাউস নিশ্চিত করে যে কিমের একটি বৈঠকের আমন্ত্রণ ট্রাম্প গ্রহণ করতে পারেন। ঐ সময় মে মাসে তাদের সাক্ষাৎ হওয়ার কথা ছিল।[8] ২০১৮ সালের ১৫ই মে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সামরিক মহড়াকে উদ্ধৃত করে উত্তর কোরিয়া দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে আলোচনা বন্ধ করে দেয় এবং পূর্ব পরিকল্পিত যুক্তরাষ্ট্র-কোরিয়া সম্মেলন বাতিল করার হুমকি দেয়।[9] এই বাতিল প্রক্রিয়া খুব শীঘ্রই স্থগিত হয় যখন কিম ট্রাম্পকে স্বভাববিরোধি এক বন্ধুসূলভ বার্তা পাঠান। ২০১৮ সালের ১২ই জুন দুই দেশের নেতা প্রথমবারের মত সিঙ্গাপুরে মিলিত হন।[10] সম্মেলন জুড়ে একাধিক আলোচনায় একত্রিত হন এবং নিরাপত্তা স্থিতিশীলতা ও স্থায়ী শান্তির জন্য যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন৷[11] ২০১৯ সালের ২২শে ফেব্রুয়ারি স্পেনের মাদ্রিদে অবস্থিত উত্তর কোরিয় দূতাবাসে একটি স্বসস্ত্র কমান্ডো দল অভিযান চালায়। স্পেনীয় সংবাদমাধ্যমের ভাষ্য অনুযায়ী এর দুইজন সদস্য ছিল সিআইয়ের। কিন্তু সিআইএ বক্তব্যটি নাকচ করে অভিযোগ অস্বীকার করে।[12] উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ট্রাম্প ও কিমের মধ্যে দ্বিতীয় সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয় ২০১৯ সালের ২৭ ও ২৮ ফেব্রুয়ারি ভিয়েতনামে, কিন্তু সম্মেলনটি কোন সমঝোতা ছাড়াই শেষ হয়।[13]