কারখে নদী
ইরানের নদী / From Wikipedia, the free encyclopedia
কারখে নদী (ফার্সি کرخه কারখে, আরবি الكرخة আল কারহা) হল ইরানের একটি নদী। জাগ্রোস পর্বতমালায় এই নদীর উৎপত্তি। ৮৭০ কিলোমিটার লম্বা[1] ইরানের তৃতীয় দীর্ঘতম[2] এই নদীটির উৎস নদী হল কাশকান ও সিমারে; পশ্চিম ইরানের লুরিস্তান প্রদেশের পোল-ই-দোখতার শহরের নিকটে কাশকান ও সিমারে নদী দু'টি পরস্পর মিলিত হয়ে কারখে নামে দক্ষিণমুখে প্রবাহিত হতে শুরু করে (যদিও এরপরও নদীর নিম্ন গতিতে আরও কিছুদূর পর্যন্ত কখনও কখনও 'সিমারে' নামটির ব্যবহারও পরিলক্ষিত হয়)। পারস্য উপসাগরের উত্তরপূর্বে অবস্থিত খুজেস্তান প্রদেশে প্রবেশ করে সমভূমির মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হবার সময় এই নদী ইতিহাস প্রসিদ্ধ সুসা শহরের নিকট প্রায় ১০০ কিলোমিটার দেজ নদীর সমান্তরালে প্রবাহিত হয়। এই অঞ্চলে কোনও কোনও জায়গায় এই দুই সমান্তরাল স্রোতের মধ্যে দূরত্ব মাত্র ১৬ কিলোমিটার। এরপর দক্ষিণপশ্চিমে ঘুরে গিয়ে আরও কিছুদূর প্রবাহিত হয়ে আহবাজ শহরের নিকট কারখে নদী কিছুটা উত্তরপশ্চিমে বাঁক নিয়ে ইরাক-ইরান সীমান্তের কাছে হাওয়াইজে জলাভূমিতে গিয়ে পড়ে।
কারখে আল কারহা, উলাই, অয়লাইওস, খোয়াসপেস | |
---|---|
অবস্থান | |
দেশ | ইরান |
অঞ্চল | লুরিস্তান, খুজেস্তান |
উল্লেখযোগ্য শহর | পোল-ই-দোখতার, সুসা, আহবাজ |
প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য | |
উৎস | কাশকান নদী ও সিমারে নদী |
• অবস্থান | পোল-ই-দোখতার শহরের নিকট |
মোহনা | হাওয়াইজে জলাভূমি |
দৈর্ঘ্য | ৮৭০ কিলোমিটার |
অতীতে এই নদী টাইগ্রিস নদীতে গিয়ে পড়ত। টাইগ্রিস যেখানে ইউফ্রেটিস নদীর সাথে মিলিত হয়ে শাতিল আরব নামে দক্ষিণে প্রবাহিত হতে শুরু করেছে, তার কিছুটা আগে ছিল এই নদীর মোহনা। কিন্তু বর্তমানে মেসোপটেমীয় জলাভূমি শুকিয়ে আসায় এবং কারখে নদীর জলও সেচ, জলবিদ্যুৎ প্রকল্প, প্রভৃতি নানা কারণে যথেষ্ট পরিমাণে ব্যবহৃত হওয়ায় এখন আর এই নদীর প্রবাহ টাইগ্রিস নদী পর্যন্ত পৌঁছায় না। শুধুমাত্র বসন্তকালীন বন্যার সময়ে এর জল এখনও কিছু পরিমাণে টাইগ্রিস নদীতে গিয়ে পড়ে।
বর্তমানে কারখে নদীকে ভিত্তি করে ইরানে কারখে বাঁধ ও জলবিদ্যুৎ প্রকল্প গড়ে উঠেছে।[3]