কারাতে
From Wikipedia, the free encyclopedia
কারাতে (空手?) জাপানি উচ্চারণ: [kaɽate] (শুনুনⓘ)) রিউকু দ্বীপে বিকশিত একটি মার্শাল আর্ট যেটি বর্তমানে জাপানের ওকিনাওয়া। এটা আংশিকভাবে দেশীয় যুদ্ধ পদ্ধতি নাম তে (? 手 আক্ষরিক অর্থ, "হাত";ওকিনাওয়ান তি ) থেকে এবং চীনা কেনপো থেকে বিকশিত হয়েছে।[1][2] কারাতে একটি আঘাতের কৌশল যেটি ঘুষি, লাথি, হাঁটু এবং কনুইয়ের আঘাত ও মুক্তহস্ত কৌশল যেমন ছুরিহস্ত ব্যবহার করে।কিছু স্টাইলে আঁকড়ে ধরা, আবদ্ধ করা, বাঁধা, আছাড় এবং অতীব গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে আঘাত শেখানো হয়।[3] কারাতে অনুশীলনকারিকে কারাতেকা (空手 家?) বলা হয়।
অন্য যে নামে পরিচিত | কারাতে-দো (空手道) |
---|---|
লক্ষ্য | আঘাত করা hardness = full contact to non contact |
উৎপত্তির দেশ | রিউ-কু রাজ্য / জাপান |
উদ্ভাবক | Yamazu Bin Yamaza(Ninja), Sakukawa Kanga; Matsumura Sōkon; Itosu Ankō; Arakaki Seishō; Higaonna Kanryō; Gichin Funakoshi; Motobu Chōki |
মূল | জাপানিজ মার্শাল আর্টস,রিউ-কু দীপপুঞ্জের দেশীয় মার্শাল আর্ট, (নাহা-তে, শুরি-তে, তমারি-তে) |
অলিম্পিক খেলা | হ্যা (২০২০ সাল)। (গ্রীশ্মকালীন) |
জাপানের ১৯শ-শতাব্দীর দখলের পূর্বে কারাতে রিউকু রাজ্যে বিকশিত হয়েছিল। ২০শ শতাব্দীর প্রথম দিকে জাপানি এবং রিউকু অধিবাসীদের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময়ের সময় এটি মূল ভূখণ্ড থেকে জাপানি ভূখণ্ডে আসে। ১৯২২ সালে জাপানি শিক্ষা মন্ত্রণালয় Gichin Funakoshi কে কারাতে উপপাদন টোকিওতে আমন্ত্রণ জানায়। ১৯২৪ সালে Keio বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় কারাতে ক্লাব জাপানে প্রতিষ্ঠিত করে এবং ১৯৩২ সালের মধ্যে প্রধান জাপানি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কারাতে ক্লাব প্রথিস্থিত করেছিল। জাপানি সামরিকতন্ত্রের ব্যাপকতার যুগে,[4] 唐 手 নামটি পরিবর্তিত হয়ে (আক্ষরিকভাবে "চীনা হাত" অথবা "তাং হাত", চীনে তাং বংশের নামটি ওকিনাওয়ায় ছিল একটি প্রতিশব্দ) 空手 ("খালি হাত") –উভয়ই কারাতে উচ্চারিত হয় – যেটা ইঙ্গিত দেয় যে জাপানিরা আকাঙ্খা করেছিল জাপানি স্টাইলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বিকশিত করতে। [5] দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে, ওকিনাওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন সামরিক ঘাঁটি হয়ে ওঠে এবং কারাতে সংস্থিত সেখানে servicemen এর মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল।[6]
১৯৬০ এবং ১৯৭০ এর দশকের মার্শাল আর্ট সিনেমাগুলো কারাতের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করেছে এবং কারাতে শব্দটি জেনেরিক পন্থায় সব ওরিয়েন্টাল মার্শাল আর্টে ব্যবহিত হয়েছে।[7] কারাতে স্কুল বিশ্ব জুড়ে প্রকাশমান হয়েছে, যারা আকর্ষণ পরিবেশন যাদের পাশাপাশি যারা গভীর গবেষণা চাইছেন।
শিগেরু এগামি, শোতোকান দোজোর প্রধান প্রশিক্ষক, বলেছিলেন "যে বিদেশী দেশে কারাতে অনুসরণকারীদের অধিকাংশ শুধুমাত্র এর যুদ্ধ কৌশল অনুশীলন করে ... চলচ্চিত্র এবং টেলিভিশন ... কারাতেকে মারামারির রহস্যময় উপায় হিসেবে দেখায় যেখানে একটি একক ঘায়ে মৃত্যু বা আহত করতে সক্ষম ...গণমাধ্যম আসল জিনিস থেকে একটি ছদ্ম শিল্প উপস্থিত করে।"[8] শশিন নাগামিনে বলেছিলেন," কারাতেকে দীর্ঘস্থায়ী সহ্যশক্তির দ্বন্দ্বের পরীক্ষা হিসেবে বিবেচনা করা যায় যেখানে জিততে হলে নিজেকে আত্মশাসন, কঠোর প্রশিক্ষণ এবং নিজের সৃজনশীল প্রচেষ্টার মাধ্যমে এগোতে হবে।"[9]
অনেক অনুশীলনকারীদের জন্য, কারাতে হল একটি গভীরতম দার্শনিক অনুশীলন। কারাতে নৈতিক মূলনীতি শেখায় এবং adherents এর আধ্যাত্মিক অর্থ আছে। গিছিন ফুনাকশি ("আধুনিক কারাতের জনক") তার কারাতে-দো আত্মজীবনীতে উল্লেখ করেছেন যে: কারাতে চর্চা স্থানান্তকরণের প্রকৃতির পরিচিতির মধ্যে আমার জীবনের পথ। বর্তমানে কারাতে অনুশীলন করা হয় শুধুমাত্র স্ব – পরিপূর্ণতা, সাংস্কৃতিক,আত্মরক্ষা এবং খেলা হিসেবে।
২০০৫ সালে, ১১৭তম IOC (আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি) ভোটদানে, কারাতে অলিম্পিক ক্রীড়া হত্তয়ার জন্য প্রয়োজনীয় দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পায়নি।[10] জাপানি ওয়েব (জাপানি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্পন্সরে) দাবি করেছে বিশ্বব্যাপী ৫ কোটি কারাতে অনুশীলনকারী আছে [11] এবং WKF দাবী করেছে ১০ কোটি অনুশীলনকারী আছে।[12]