ক্ষুধা
From Wikipedia, the free encyclopedia
রাজনীতিতে, মানবিকতায়, এবং সামাজ বিজ্ঞানে, ক্ষুধা এমন একটি অবস্থা যাতে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য একজন ব্যক্তি মৌলিক পুষ্টিগত চাহিদা পূরণে পর্যাপ্ত খাবার খেতে অক্ষম। তাই ক্ষুধা মুক্তির ক্ষেত্রে ক্ষুধা শব্দটি খাবারের জন্য মানুষের সাধারণ চাহিদাকে ছাড়িয়ে যাওয়া অর্থে ব্যবহৃত হয়।
ইতিহাস জুড়ে, বিশ্বের জনসংখ্যার বিভিন্ন অংশ মাঝেমধ্যেই ক্ষুধার্ত সময় অতিবাহিত করেছে। অনেক ক্ষেত্রে, যুদ্ধ, দুর্যোগ, বা প্রতিকূল আবহাওয়ার ফলে খাদ্য সরবরাহ ব্যাহত হয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী দশক গুলোতে, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি ও উন্নত রাজনৈতিক সহযোগিতা ইঙ্গিত দিয়েছিল যে ক্ষুধা ভোগকারী মানুষের সংখ্যা হ্রাস করা সম্ভব। যদিও অগ্রগতি অসম্মানজনক ছিল,তথাপি ২০১৫ সালের মধ্যে তীব্র ক্ষুধা হুমকি বিশ্বের অনেক মানুষের জন্য হ্রাস পেয়েছিল। ২০১৮ সালে এফএও কর্তৃক প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দীর্ঘস্থায়ী ক্ষুধা ভোগকারী মানুষের সংখ্যা গত তিন বছরে বেড়েছে। ২০১৭ সালে বিশ্বব্যাপী জনসংখ্যার শতকরা এক ভাগ অর্থাৎ প্রায় ৮২১ মিলিয়ন মানুষ সম্পূর্ণরূপে ক্ষুধা কর্তৃক আক্রান্ত হয়েছিল ।
যদিও বিশ্বের বেশিরভাগ ক্ষুধার্ত মানুষ এশিয়াতে বাস করে থাকে, তবুও ২০১৫ সালে ক্ষুধার্তদের সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি ঘটেছে আফ্রিকা ও দক্ষিণ আমেরিকায়। এফএও এর 2017 রিপোর্টে সাম্প্রতিক ক্ষুধার্ত বৃদ্ধির তিনটি প্রধান কারণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে: জলবায়ু, দ্বন্দ্ব, এবং অর্থনৈতিক মন্দা।২০১৮ সালের রিপোর্টটি ক্ষুধার্ত বৃদ্ধির প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে চরম আবহাওয়ার উপর গুরুত্ত প্রদান করে, বিশেষ করে যেসব কৃষি প্রধান দেশ এর কৃষি ব্যবস্থা আবহাওয়ার প্রতি অত্যন্ত সংবেদনশীল ছিল এমন দেশগুলিতে বৃদ্ধি বিশেষত গুরুতর ছিল।
হাজার হাজার সংগঠন ক্ষুধা মুক্তির সাথে জড়িত; যারা স্থানীয়, জাতীয়, আঞ্চলিক বা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সক্রিয়। এই প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে কিছু ক্ষুধা মুক্তির জন্য নিবেদিত, অন্যেরা বিভিন্ন ক্ষেত্রগুলিতে কাজ করে থাকে। সরকারী প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে, বিভিন্ন জাতীয়, স্থানীয় উদ্যোগ রয়েছে। অনেকেই ছাতার ন্যায় নেটওয়ার্কগুলিতে অংশগ্রহণ করে যা হাজার হাজার ক্ষুধা ত্রাণ সংস্থাকে একত্রিত করে। বিশ্বব্যাপী, বেশিরভাগ ক্ষুধার্ত মুক্তির প্রচেষ্টা জাতিসংঘের সমন্বয়ে গঠিত, এবং ২০৩০ সালের মধ্যে " শূন্য ক্ষুধার্ত " এর লক্ষ্য অর্জনে পরিচালিত হছে।