তিসফুন
From Wikipedia, the free encyclopedia
তিসফুন (/ˈtɛsɪfɒn/TESIFON; গ্রিক: Κτησιφῶν ; পার্থিয়ান/ফার্সি: তিস্পুন বা তিসফুন[1]) একটি প্রাচীন শহর। এটি দজলা নদীর পূর্ব তীরে এবং বর্তমান বাগদাদ থেকে ৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত ছিল। ৫৮ খ্রিস্টপূর্বাব্দের দিকে পার্থিয়ান সাম্রাজ্যের যুগে এই শহর পারস্যের রাজধানী হয় এবং ৬৫১ খ্রিস্টাব্দে মুসলমানদের পারস্য বিজয়ের আগপর্যন্ত এই শহর সাসানীয় সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল।
অবস্থান | সালমান পাক, বাগদাদ, ইরাক |
---|---|
অঞ্চল | মেসোপটেমিয়া |
স্থানাঙ্ক | ৩৩°৫′৩৭″ উত্তর ৪৪°৩৪′৫০″ পূর্ব |
ধরন | জনবসতি |
ইতিহাস | |
সংস্কৃতি | ইরানি জনগণ |
স্থান নোটসমূহ | |
খননের তারিখ | ১৯২৮-২৯, ১৯৩১-৩২, ১৯৬০-৭০ |
প্রত্নতত্ত্ববিদ | অস্কার রুয়েথার, এন্তোনিও ইনভারনিজ্জি, জিয়রগিও গুল্লিনি |
অবস্থা | ধ্বংসাবশেষ |
হেলেনীয় শহর সেলেউসিয়াসহ নদীর উভয় তীরের শহরসমূহকে আত্মীকরণের মাধ্যমে তিসফুন একটি ধনী বাণিজ্যিক শহর হিসেবে গড়ে উঠেছিল। তিসফুন এবং তার শহরতলীকে কখনও শহরসমূহ হিসেবে উল্লেখ করা হয় (আরামাইক: মাহুজা, আরবি: المدائن,আরবি: আল-মাদাইন)। ষষ্ঠ শতকের শেষ ও সপ্তম শতকের প্রথম দিকে এটি বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম শহর ছিল।
রোমান সাম্রাজ্যের সাথে যুদ্ধচলাকালীন সময়ে পার্থিয়ান তিসফুন চার বার এবং পরে সাসানীয় সময়ে একবার রোমানদের হস্তগত হয়। এটা তিসফুন যুদ্ধের যুদ্ধক্ষেত্র যেখানে জুলিয়ান দ্য এপোস্টেট নিহত হন।[2] মুসলমানদের অভিযানের পরে শহরটির অবনতি শুরু এবং ৮ম শতকে জনসংখ্যা খুবই হ্রাস পায়। বর্তমানকালে টিকে থাকা স্থাপনার মধ্যে আছে তিসফুনের বিখ্যাত খিলানপথ।[3]