দক্ষিণ এশিয়ার বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানসমূহের তালিকা
উইকিমিডিয়ার তালিকা নিবন্ধ / From Wikipedia, the free encyclopedia
ইউনেস্কো দক্ষিণ এশিয়ার বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, নেপাল ও আফগানিস্তান - এ ছয়টি স্বাধীন দেশে সর্বমোট ৫৫টি বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকা নির্ধারণ করেছে। এ অঞ্চলে ভুটান এবং মালদ্বীপ থাকলেও দেশগুলোয় কোন বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান নেই।[1][2]
এ অঞ্চলে অবস্থানকারী ভারতে সর্বোচ্চ ৩২টি স্থান রয়েছে যা বৈশ্বিকভাবে ৬ষ্ঠ স্থানে অবস্থান করছে।[3] তালিকায় সর্বাগ্রে নেপালের সাগরমাথা জাতীয় উদ্যানকে চিহ্নিত করা হয়। এছাড়াও কাঠমান্ডু উপত্যকা নেপালে রয়েছে।[4] নেপাল থেকে সর্বমোট চারটি স্থান তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে। শ্রীলঙ্কায় ৮টি ও বাংলাদেশে ৩টি স্থান রয়েছে। পাকিস্তানে ৬টি স্থান থাকলেও একটি বিপদাপন্ন অবস্থায় আছে। আফগানিস্তানেও দুইটি স্থান থাকলেও উভয়টিই বিপন্ন হিসেবে চিহ্নিত। প্রত্যেক বছরই ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী কমিটি এ তালিকায় নতুন স্থান অন্তর্ভুক্ত করে কিংবা শর্তাবলীর আলোকে বাদ দেয়। তালিকায় অন্তর্ভুক্তিতে ১০টি শর্ত আরোপ করা হয়েছে: ৬টি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকেন্দ্র (i–vi) ও ৪টি প্রাকৃতিক স্থান (vii–x)।[5] কিছু স্থান ‘মিশ্রিত স্থান’ হিসেবে বিবেচিত যাতে সাংস্কৃতিক ও প্রাকৃতিক মিশ্রণ ঘটেছে। দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বমোট ৪৩টি সাংস্কৃতিক ও ১২টি প্রাকৃতিক স্থান রয়েছে। কিন্তু কোন মিশ্রিত স্থান অত্র অঞ্চলে নেই।[3]
বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী কমিটি যে-কোন স্থানকেই বিপদাপন্ন ঘোষণা করতে পারে। এ প্রসঙ্গে তারা বলেছে যে, বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী তালিকায় অন্তর্ভুক্ত স্থানের পরিবেশ যদি সঙ্কটের মুখোমুখ হয় তাহলে স্থানটি বিপদাপন্ন হিসেবে চিহ্নিত হবে। বর্তমানে তিনটি স্থান বিপদাপন্ন। তন্মধ্যে কাঠমান্ডু উপত্যকা পূর্বেই তালিকায় স্থান পেয়েছে ও সম্ভাব্য বিপদাপন্ন স্থান হিসেবে ইউনেস্কো কর্তৃক বেশ কয়েকবার উল্লেখ করা হয়েছে।[6]