দিল্লি বিমানবন্দর মেট্রো এক্সপ্রেস
দিল্লি মেট্রো ব্যবস্থার রেলপথ / From Wikipedia, the free encyclopedia
এয়ারপোর্ট এক্সপ্রেস লাইন বা দিল্লি বিমানবন্দর মেট্রো এক্সপ্রেস হল দিল্লি মেট্রোর একটি রেলপথ, যেটি নয়াদিল্লি স্টেশন থেকে দ্বারকা সেক্টর ২১ পর্যন্ত বিস্তৃত এবং এটি ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে সংযুক্ত করে। চারটি পূর্বনির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে কাজ শেষ করতে ব্যর্থ হওয়ার পরে ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১১ সালে[2] অরেঞ্জ লাইন নামে পরিচিত এই লাইনটি খোলা হয়।[3] এটি ₹৫৭ বিলিয়ন খরচে নির্মিত হয়,[4] যার মধ্যে রিলায়েন্স ইনফ্রা ₹২৮.৮৫ বিলিয়ন (ইউ$৫৮০ মিলিয়ন) প্রদান করে,[5] রাজস্ব অংশ মডেলে।[4][6]
অরেঞ্জ লাইন এয়ারপোর্ট এক্সপ্রেস | |
---|---|
সংক্ষিপ্ত বিবরণ | |
স্থিতি | পরিচালনাগত |
মালিক | রিলায়েন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার এবং সিএএফ |
অঞ্চল | নয়াদিল্লি ভারত |
বিরতিস্থল |
|
স্টেশন | ৬ [1] |
পরিষেবা | |
ধরন | বিমানবন্দর এক্সপ্রেস ট্রেন |
ব্যবস্থা | দ্রুতগামী গণপরিবহন ব্যবস্থা / মেট্রো |
পরিচালক | দিল্লি বিমানবন্দর মেট্রো এক্সপ্রেস প্রাঃ লিমিটেড |
রোলিং স্টক | সিএএফ |
ইতিহাস | |
চালু | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১১ |
বন্ধ | ৭ জুলাই ২০১২ (পুনরায় খোলা: ২২ জানুয়ারী ২০১৩) |
কারিগরি তথ্য | |
রেলপথের দৈর্ঘ্য | ২২.৭ কিমি (১৪.১ মা)[1] |
ট্র্যাকসংখ্যা | ১২ |
বৈশিষ্ট্য | ভূমি, ভূগর্ভস্থ, এবং উত্তলিত |
ট্র্যাক গেজ | ১,৪৩৫ মিমি (৪ ফুট ৮ ১/২ ইঞ্চি) স্ট্যান্ডার্ড গেজ |
বিদ্যুতায়ন | ২৫ কেভি, ৫০ হার্জ এসি ওভারহেড লাইন মাধ্যমে |
চালন গতি | ১৩২ কিলোমিটার/ঘণ্টা (সর্বোচ্চ গতি) |
লাইনের মোট দৈর্ঘ্য ২২.৭ কিলোমিটার,[7] যার মধ্যে ১৫.৭ কিলোমিটার ভূগর্ভস্থ[8] এবং বৌদ্ধ জয়ন্তী পার্ক থেকে মহিপালপুর পর্যন্ত ৭ কিমি পথ উত্তোলিত।[9] ট্রেনগুলি দিল্লি মেট্রোর বাকি অংশে ৮০ কিলোমিটার/ঘণ্টা পর্যন্ত গতিতে চলাচল করলেও, এই লাইনের মেট্রো ট্রেন ১৩৫ কিলোমিটার/ঘণ্টার গতিতে ভ্রমণ করতে সক্ষম। এই রেলপথে নয়াদিল্লি থেকে বিমানবন্দরের টার্মিনাল ২, টি২ এবং টার্মিনাল ৩, টি৩ পর্যন্ত ভ্রমণের সময় ১৯ মিনিট।[4]
প্রযুক্তিগত সমস্যাগুলির কারণে ৭ জুলাই ২০১২ সাল থেকে ২২ জানুয়ারী ২০১৩ সাল পর্যন্ত পরিষেবা স্থগিত করা হয়।[10] পুনরায় চালু হওয়ার পর, ট্রেনের গতি কেবল ৫০ কিলোমিটার/ঘণ্টায় করা হয়, ফলে বিমানবন্দর থেকে নয়াদিল্লি স্টেশন পর্যন্ত যাত্রার সময়টি ৪০ মিনিট পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়।[10] ২৭ জুন ২০১৩ তারিখে রিলায়েন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড ডিএমআরসি-কে জানায় যে তারা ৩০ জুন ২০১৩ সালের পর থেকে লাইন পরিচালনা করতে পারবে না। এর পর, ১ জুলাই ২০১৩ সাল থেকে দিল্লি বিমানবন্দর মেট্রো লাইন পরিচালনা করার জন্য ১০০ জন কর্মকর্তা ও রক্ষণাবেক্ষণ দল নিয়োগ করে ডিএমআরসি।[11] ২০১৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেন ৮০ কিলোমিটার/ঘণ্টা গতিতে ডিএমআরসি পুনরায় চালু করে। ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে, ডিএমআরসি জানায় যে বিমানবন্দর মেট্রো গত জুলাই মাসে ৪০% পর্যন্ত ভাড়া কমানোর পরে তার যাত্রী ৩০% বৃদ্ধি পেয়েছে।[12]