নিকোপোলিসের যুদ্ধ
From Wikipedia, the free encyclopedia
টেমপ্লেট:Campaignbox Campaigns of Stefan Lazarević
নিকোপোলিস-এর যুদ্ধ | |||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
মূল যুদ্ধ: ইউরোপের উসমানীয় যুদ্ধসমূহ উসমানীয়-হাঙ্গেরীয় যুদ্ধসমূহ | |||||||
নিকোপোলিস-এর যুদ্ধ | |||||||
| |||||||
বিবাদমান পক্ষ | |||||||
|
Kingdom of France[2]
হাঙ্গেরি সাম্রাজ্য
ক্রোয়েশিয়া সাম্রাজ্য
| ||||||
সেনাধিপতি ও নেতৃত্ব প্রদানকারী | |||||||
| |||||||
শক্তি | |||||||
প্রচণ্ড বিতর্কিত তবে বিশ্বাসযোগ্যভাবে ২৫,০০০-৩০,০০০ অনুমান করা হয়[6] | প্রচণ্ড বিতর্কিত তবে বিশ্বাসযোগ্যভাবে ১৫,০০০-১৯,০০০ অনুমান করা হয়[6] | ||||||
হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি | |||||||
বিবেচনাযোগ্য ক্ষতি[7] |
নিকোপোলিসের যুদ্ধ (ইংরেজি ভাষায় Battle of Nicopolis; বুলগেরীয় ভাষায় Битка при Никопол; তুর্কি ভাষায় Niğbolu Savaşı; হাঙ্গেরীয় ভাষায় Nikápolyi Csata; রুমানীয় ভাষায় Bătălia de la Nicopole) ১৩৯৬ সালের ২৫শে সেপ্টেম্বর দানিউব নদীর উপর অবস্থিত বুলগেরীয় শহর নিকোপোলিসে সংঘটিত হয়। এর এক পক্ষে ছিল উসমানীয় সাম্রাজ্য, এবং অন্য পক্ষে ছিল হাঙ্গেরি, সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স, ইংল্যান্ড, জার্মানি, এবং অন্যান্য ইউরোপের এলাকা থেকে আগত সম্মিলিত ৩ লাখেরও বেশি খ্রিস্টান সেনার দল। এটি ছিল মধ্যযুগের সর্বশেষ বড় আকারের ক্রুসেড।
এই যুদ্ধ সংঘটিত হয় চতুর্দশ শতাব্দীর একেবারে শেষের দিকে। হাঙ্গেরির সিংহাসনে সিগিসমুন্ড বসলে তিনি তৎকালীন তুরস্কের উসমানীয় বা অটোমান সুলতান বায়েজিদের অধীনে থাকা বুলগেরিয়া আক্রমণ করে দানিয়ুব নদীর অববাহিকায় অবস্থিত নিকোপোলিস নামক শহর দখল করে নেন। এই সংবাদে সুলতান বায়েজিদ একটি শক্তিশালী ওসমানীয় বাহিনী তার বিরুদ্ধে পাঠালে সিগিসমুন্ড তাদের শক্তি বুঝে যুদ্ধ এড়িয়ে গিয়ে তখনকার মতো পশ্চাদপসরণ করেন। এরপর ওসমানীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে তিনি অপরাপর ইউরোপীয় রাজাদের কাছে সাহায্য চাইলে পোপ নবম বেনিফেস এগিয়ে আসেন। তার ডাকে সাড়া দেয় ফ্রান্স, ইংল্যান্ড, লোম্বার্ডি, স্যাভয়, ব্যাভারিয়া, জার্মানি, হাঙ্গেরি, ওয়ালশিয়া, বোহেমিয়া এবং অস্ট্রিয়া। তারা সম্মিলিত ভাবে উসমানীয়দের বিরুদ্ধে নিকোপোলিসে সমবেত হয়।
ধর্ম যোদ্ধারা কোন প্রকার পূর্ব পরিকল্পনা ছাড়াই উসমানীয়দের আক্রমণ করে। মাত্র তিন ঘণ্টার যুদ্ধে সম্মিলিত বাহিনী বায়েজিদের কাছে পরাজিত হয়। সিগিসমুন্ড দানিয়ুব নদী পাড়ি দিয়ে হাঙ্গেরিতে চলে আসেন।
এছাড়াও এই যুদ্ধে বিভিন্ন দেশের খ্রিস্টান ৬০ জন শাহজাদা বন্দি হয়ে ও সুলতান তাদেরকে পরে মুক্ত করে দেন যাতে পরবর্তীতে আবার প্রস্তুতি নিয়ে যুদ্ধ করতে।
এটি ছিল মুসলমানদের বিরুদ্ধে ইউরোপীয় খ্রিস্টানদের সম্মিলিত সর্বশেষ ক্রুসেড।