পশ্চাদবয়ব
From Wikipedia, the free encyclopedia
পশ্চাদবয়ব (জার্মান: Rückenfigur) হলো সৃজনশীলতা প্রসূত এক প্রকার শৈল্পিক কৌশল যা চিত্রাঙ্কন, গ্রাফিক আর্ট, ফটোগ্রাফি অর্থাৎ আলোকচিত্রশিল্প এবং চলচ্চিত্রে প্রয়োগ করা হয়। Rückenfigur (রাকেনফিগার) এর আক্ষরিক অর্থ figure from the Back অর্থাৎ পশ্চাদভাগ দৃশ্যমান এমন মানবমূর্তি বা চিত্র।[1] ছবির দৃশ্য ছবিটির পুরোভাগে বিরাজমান ব্যক্তির সম্মুখে রয়েছে এমন ধারণার উদ্রেকের মাধ্যমে ব্যক্তিটিকে এখানে তার অন্তরাল থেকে অর্থাৎ পেছনে থেকে দৃশ্যমান করানো হয় যাতে করে ছবিটির দর্শক ছবিতে থাকা অবয়বটির কল্পনা করতে এবং তৎপরে দৃশ্যটিকে তার শৈল্পিক হৃদয়ে সঞ্চালনে পুনরুৎপাদন করতে পারেন। পশ্চাদবয়বের ধারণাটি সাধারণত জার্মান রোমান্টিক চিত্রকলার সাথে বিশেষ করে ভূদৃশ্যাবলীর (ল্যান্ডস্কেপ) চিত্রশিল্পী কাসপার ডাভিড ফ্রিডরিখের সাথে সম্পর্কযুক্ত।[2]
প্রাচীনত্বের সাথে পশ্চাদবয়ব মোটিফটির একটি রোমাঞ্চকর সম্পর্ক বিদ্যমান।[উদাহরণ প্রয়োজন] তখন থেকেই বিভিন্ন যুগে এবং শিল্প শৈলীতে এর প্রয়োগ ঘটলেও ফ্রিডরিখের আগে কলাশিল্পের বিষয়বস্তু হিসেবে এই ধরনের অবয়ব সাধারণত তেমন গুরুত্ব পায়নি। চতুর্দশ শতকে জোত্তো দি বন্দোনের আঁকা খ্রীস্টের খেদ (Lamentation of Christ) চিত্রকর্মটি দর্শকের দিক থেকে ফেরানো বিষয়-বহির্ভূত অবয়ব নিয়ে আঁকা চিত্রগুলোর মধ্যে একটি প্রাচীন উদাহরণ।[3] এছাড়াও চিত্রে ব্যবহৃত পশ্চাদবয়বকে স্টাফেজের আকারেও উপস্থাপন করা হতে পারে। কোন দৃশ্যে বিশেষকরে ল্যান্ডস্কেপ চিত্রকর্মে চিত্রকর্মটির মূল বিষয়বস্তু নয় এরূপভাবে মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর যে অবয়বগুলো চিত্রিত করা হয় সেগুলোকেই স্টাফেজ বলা হয়। লক্ষণা বা ট্রোপ সাধারণত বিজ্ঞাপনে দেখা যায়।