পশ্চিমবঙ্গ নাট্য আকাদেমি
From Wikipedia, the free encyclopedia
পশ্চিমবঙ্গ নাট্য আকাদেমি পশ্চিমবঙ্গের বাংলা নাট্যচর্চার জন্য প্রতিষ্ঠিত একটি সরকারি নাট্যগবেষণা প্রতিষ্ঠান ও নাট্যচর্চা কেন্দ্র। নাট্য আকাদেমির প্রতিষ্ঠা ১৯৮৭ সালে। এই আকাদেমির উপর বাংলার প্রতিটি জেলা ও মহকুমা শহরে নাট্য কর্মশালা ও নাট্যানুষ্ঠানের আয়োজন, নাট্য গবেষণা এবং নাটক সংক্রান্ত পুস্তক ও নাট্য বিশ্বকোষ প্রণয়নের দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে।
সংক্ষেপে | নাট্য আকাদেমি |
---|---|
গঠিত | ২৬ সেপ্টেম্বর ১৯৮৭; ৩৬ বছর আগে (1987-09-26)[1] |
সদরদপ্তর | নাট্য ভবন, কলকাতা |
অবস্থান | |
যে অঞ্চলে কাজ করে | পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা |
দাপ্তরিক ভাষা | বাংলা |
সভাপতি | দেবশঙ্কর হালদার[2] |
প্রধান প্রতিষ্ঠান | তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ, পশ্চিমবঙ্গ সরকার |
পশ্চিমবঙ্গ নাট্য আকাদেমি প্রতি বছর বিভিন্ন নাট্যানুষ্ঠান আয়োজন করে থাকেন। এর মধ্যে নাট্যমেলা বিশেষ উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বেশ কয়েকটি বিশেষায়িত নাট্য উৎসবের আয়োজনও আকাদেমি কর্তৃপক্ষ করেছেন। এগুলি মধ্যে বিশেষভাবে স্মরণীয় ১৯৯৯ সালে ব্রেশ্ট রচিত নাটকের মেলা। আকাদেমির উল্লেখযোগ্য প্রযোজনা অশোক মুখোপাধ্যায়ের নির্দেশনায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিরকুমার সভা। এটি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় মঞ্চস্থ হয়েছিল। উৎপল দত্ত, হাবিব তানবীর, মনোজ মিত্র, বিভাস চক্রবর্তী, ব্রাত্য বসু প্রমুখ বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব নাট্য আকাদেমির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বা আছেন। যদিও সম্প্রতি নন্দীগ্রামে সরকারি গুলিচালনার প্রতিবাদে অনেক নাট্যব্যক্তিত্ব সরকারিভাবে নাট্য আকাদেমির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন।
পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি চত্বরের অদূরে স্থিত নাট্য ভবনে পশ্চিমবঙ্গ নাট্য আকাদেমির প্রধান কার্যালয় অবস্থিত। ২০০৭ সালের ৬ মার্চ আকাদেমির বিংশতি বর্ষপূর্তির প্রাক্কালে উদ্বোধিত এই ভবনে একটি সভাঘর, প্রেক্ষাগৃহ ও অন্যান্য বিভিন্ন সুযোগসুবিধা রয়েছে। বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্বদের নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ গঠিত হয়। সভাপতিসহ অন্যান্যদের নাম পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ প্রকাশ করে থাকে।[2] বিভিন্ন সময়ের সভাপতিরা হলেন-
- মন্মথ রায় (১৯৮৭-১৯৮৮)
- দেবনারায়ণ গুপ্ত (১৯৮৮-২০০০)
- জ্ঞানেশ মুখোপাধ্যায় (২০০০-২০০৬)
- কুমার রায় (২০০৬-২০১০)
- মনোজ মিত্র (২০১০-২০১৯)
- দেবশঙ্কর হালদার (২০২২-বর্তমান)[2]