পিনিয়াল গ্রন্থি
মস্তিষ্কের অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি / From Wikipedia, the free encyclopedia
পিনিয়াল গ্রন্থি (ইংরেজি: Pineal gland) হচ্ছে মস্তিষ্কের একটি ছোট অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি যা মানুষসহ বেশির ভাগ মেরুদণ্ডী প্রাণীর মধ্যে বিদ্যমান। এটি কোনারিয়াম বা এপিফাইসিস সেরিব্রি নামেও পরিচিত। পিনিয়াল গ্রন্থি মেলাটোনিন নামক সেরোটোনিন থেকে উদ্ভূত একটি হরমোন তৈরি করে যা ছন্দপূরণ ও ঋতু ভিত্তিক উভয় প্রকার ক্ষেত্রেই ঘুমের রীতি নিয়ন্ত্রণ করে। এই গ্রন্থির আকৃতি অনেকটা পাইন কোনের মতো যার কারণে এই গ্রন্থিটির নাম পিনিয়াল।[1] এই গ্রন্থির অবস্থান মস্তিষ্কের কেন্দ্রে, দুই গোলার্থের মধ্যে থাকা এপিথ্যালামাসের ভেতরে। মূলত থ্যালামাসের দুই অংশ যেখানে যুক্ত হয়েছে সেখানে থাকা একটি খাঁজের মধ্যে এটির অবস্থান।[2][3] নিঃসরণকারী নিউরোএন্ডোক্রাইন সার্কামভেন্ট্রিকুলার অঙ্গগুলোর মধ্যে পিনিয়াল গ্রন্থি একটি যেখানে কৈশিক নালি পর্যায়ে রক্ত-মস্তিষ্ক বাধার অস্তিত্ব নেই।[4]
পিনিয়াল গ্রন্থি | |
---|---|
বিস্তারিত | |
পূর্বভ্রূণ | নিউরোএক্টোডার্ম, ডাইএনসেফ্যালনের ওপরে |
ধমনী | পোস্টেরিওর সেরিব্রাল ধমনি |
শনাক্তকারী | |
লাতিন | glandula pinealis |
মে-এসএইচ | D010870 |
নিউরোনেমস | 297 |
নিউরোলেক্স আইডি | birnlex_1184 |
টিএ৯৮ | A11.2.00.001 |
টিএ২ | 3862 |
এফএমএ | FMA:62033 |
স্নায়ুতন্ত্রের শারীরস্থান পরিভাষা |
প্রায় সকল মেরুদণ্ডীর পিনিয়াল গ্রন্থি রয়েছে। এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যতিক্রমটি হচ্ছে হ্যাগফিশ নামক একটি আদিম মেরুদণ্ডী প্রাণি। এমনকী হ্যাগফিশের পৃষ্ঠদেশীয় ডাইএনসেফ্যালনে পিনিয়াল গ্রন্থির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ কোনো বিকল্প কাঠামো থাকতে পারে।[5] এখন পর্যন্ত অস্তিত্ব থাকা মেরুদণ্ডী প্রাণির সবচেয়ে কাছের প্রজাতি ব্রাংকিওস্টোমা ল্যান্সিওল্যাটাম-এরও শনাক্ত করার মতো কোনো পিনিয়াল গ্রন্থি পাওয়া যায়নি।[6] তবে ল্যামপ্রে নামক আরেকটি আদিম মেরুদণ্ডীতে পিনিয়াল গ্রন্থির অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।[6] আর কয়েকটি বিকশিত মেরুদণ্ডী প্রাণিতে তাদের বিবর্তনের সাথে সাথে পিনিয়াল গ্রন্থির অস্তিত্ব বিলুপ্ত হয়েছে।[7]