প্রয়োগবাদী রাজনীতি
From Wikipedia, the free encyclopedia
প্রয়োগবাদী রাজনীতি বলতে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও পররাষ্ট্র নীতির ক্ষেত্রে এক ধরনের রাজনৈতিক বা কূটনৈতিক ব্যবস্থাকে বোঝায়, যেখানে স্পষ্ট ভাবাদর্শ বা নৈতিকতার সাথে কঠোরভাবে আবদ্ধ না থেকে পারিপার্শ্বিক অবস্থা-পরিস্থিতি ও নিয়ামকসমূহকে প্রায়োগিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করে সেগুলির সাথে সাযুজ্য রেখে কোনও নীতি গ্রহণ বা প্রয়োগ করা হয়।[1] অন্য কথায় বললে রাজনৈতিক অবস্থা বাস্তবে কীরকম সেটিই এখানে বিবেচ্য, একজন আদর্শবাদী কীভাবে সেটিকে দেখতে চান, তা মুখ্য নয়।[2] একে পাশ্চাত্যের দেশগুলিতে প্রায়ই রেয়ালপোলিটিক (জার্মান: Realpolitik; আ-ধ্ব-ব: [ʁeˈaːlpoliˌtiːk]) নামক জার্মান ভাষা থেকে উদ্ভূত পরিভাষাটি দিয়ে নির্দেশ করা হয়। রাজনৈতিক বাস্তববাদের সাথে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ক্ষেত্রে আলোচিত বাস্তববাদ ও দার্শনিক প্রয়োগবাদের মিল আছে। প্রয়োগবাদী রাজনীতির কিছু কাছাকাছি ধারণা হল মাকিয়াভেল্লিবাদ ও শক্তির রাজনীতি (জার্মান মাখটপোলিটিক Machtpolitik)।[2] আধুনিক কূটনীতিতে প্রয়োগবাদী রাজনীতি বলতে জাতীয় স্বার্থের পক্ষে অবিরাম কিন্তু বাস্তববাদী উপায়ে লক্ষ্য নির্ধারণ ও কর্মকাণ্ড পরিচালনা করাকে বোঝায়।
"প্রয়োগবাদী রাজনীতি" কথাটিকে প্রায়শই একটি ইতিবাচক কিংবা নিরপেক্ষ পরিভাষা হিসেবে ব্যবহার করা হলেও কখনও কখনও এটিকে নেতিবাচক অর্থেও ব্যবহার করা হতে পারে, যার রাজনৈতিক নীতিগুলিকে দমনমূলক, নৈতিকতাহীন বা মাকিয়াভেল্লীয় হিসেবে বর্ণনা করা হয়।[3] বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে এসে বাস্তববাদী রাজনীতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রবক্তা হলেন কূটনীতিক হেনরি কিসিঞ্জার, জর্জ এফ. কেনান, জবিগ্নিউ ব্রজেজেনস্কি ও হান্স-ডিট্রিখ গেনশার ও রাজনীতিবিদ শার্ল দ্য গোল ও লি কুয়ান ইউ[4]