প্রাচীন বিশ্বায়ন
বিশ্বায়নের ইতিহাসের একটি ধাপ / From Wikipedia, the free encyclopedia
প্রাচীন বিশ্বায়ন বিশ্বায়নের ইতিহাসের একটি ধাপ যা সাধারনভাবে একদম প্রথম দিকের সভ্যতা থেকে শুরু করে মোটামুটিভাবে ১৬০০ সাল (পরবর্তী সময়কাল প্রাক আধুনিক বিশ্বায়ন হিসেবে পরিচিত) পর্যন্ত বিস্তৃত সময়ে ঘটে যাওয়া উন্নয়ন ও বিশ্বায়নের ঘটনাগুলোকে নির্দেশ করে। সম্প্রদায় ও রাষ্ট্রের মধ্যকার সম্পর্ক এবং কীভাবে ধারণা ও সামাজিক আদর্শের স্থানীয় ও আঞ্চলিক উভয় পর্যায়ে ভৌগোলিক বিস্তারের মাধ্যমে কীভাবে তা গড়ে ওঠে এই বিষয়গুলো প্রাচীন বিশ্বায়নে বিবৃত হয়।[1]
বিভিন্ন রাষ্ট্র লোভনীয় পণ্য পাওয়ার উদ্দেশ্যে নিজেদের মাঝে যোগাযোগ ও পণ্য আদান প্রদান শুরু করে। এ ব্যবসার মাধ্যমেই ধর্ম, অর্থনৈতিক কাঠামো ও রাজনৈতিক ধারণা ছড়িয়ে পড়ে। বণিকেরা পরস্পরের সাথে কীভাবে এতটা সম্পর্কিত ও সচেতন হয়ে পড়ে যা পরিষ্কার নয়। বর্তমান সময়ের বিশ্বায়নের সাথে প্রাচীন বিশ্বায়নকে খুবই ক্ষুদ্র পরিসরে তুলনা করা যায়। এটি শুধুমাত্র নানা অঞ্চলের মাঝে পণ্য বিস্তারের সুবিধাই দেয়নি, সাথে সাথে মানুষকে ভিন্ন সংস্কৃতির অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগও করে দিয়েছিল। যে সব নগর ব্যবসায়ে অংশ নিয়েছিল তারা নদী, সামুদ্রিক লেন বা বিস্তৃত মহাসড়কের মাধ্যমে যুক্ত ছিল এবং এর কিছু অতি প্রাচীনকাল থেকে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।[2] বাণিজ্য পদ্ধতি কয়েকটি ভৌগোলিক অঞ্চলের মাঝে বিভক্ত ছিল। যার মাঝে ছিল ব্যবসা কেন্দ্র, দূরবর্তী বাজারের জন্য বিপণন অঞ্চল ইত্যাদি।[2] তখনকার সময়ের উপব্যবস্থাগুলো নিজেরা আজকের থেকে অনেকটাই স্বয়ংসম্পূর্ণ ছিল এবং নিত্যদিনের টিকে থাকার জন্য পরস্পরের ওপর কম নির্ভরশীল ছিল।[2] লম্বা দূরত্বের বাণিজ্য অনেক পরীক্ষা নিরিক্ষার মাঝে দিয়ে গেলেও তা অনেক লম্বা সময়ের জন্য চলেছিল। পুরো বাণিজ্য ব্যবস্থা যুক্ত হয়েছিল আটটি উপব্যবস্থা নিয়ে যা তিনটি বড় অংশে বিভক্ত ছিল, যা ছিল পশ্চিম ইউরোপীয়, মধ্যপ্রাচ্য ও দূরপ্রাচ্যকে কেন্দ্র করে। বাণিজ্যের মাধ্যমে এ পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়া আদি সভ্যতার যোগাযোগের মাধ্যমে পরিণত হয়েছিল, যার কারণে আধুনিক বিশ্বায়ন ছড়িয়ে পরে এবং বর্তমান সমাজকে একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করে।