বাংলাদেশের সংবিধান
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন / From Wikipedia, the free encyclopedia
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন। এটি একটি লিখিত দলিল। ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ৪ঠা নভেম্বর তারিখে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে এই সংবিধান গৃহীত হয় এবং একই বছরের ১৬ই ডিসেম্বর অর্থাৎ বাংলাদেশের বিজয় দিবসের প্রথম বার্ষিকী হতে এটি কার্যকর হয়। এটি বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় বিদ্যমান। তবে ইংরেজি ও বাংলার মধ্যে অর্থগত বিরোধ দৃশ্যমান হলে বাংলা রূপ অনুসরণীয় হবে।[1]
বাংলাদেশের সংবিধান | |
---|---|
সাধারণ | |
এখতিয়ার | বাংলাদেশ |
অনুমোদন | ৪ নভেম্বর ১৯৭২; ৫১ বছর আগে (1972-11-04) |
কার্যকরের তারিখ | ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২; ৫১ বছর আগে (1972-12-16) |
পদ্ধতি | একক সংসদীয় সাংবিধানিক গণতন্ত্র |
সরকারি কাঠামো | |
শাখা | তিন (শাসন বিভাগ, আইন বিভাগ ও বিচার বিভাগ) |
কক্ষ | এক |
নির্বাহী | বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী সংসদ সদস্যের নিকট প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রিপরিষদ দায়বদ্ধ। |
বিচারব্যবস্থা | সুপ্রিম কোর্ট |
মৈত্রীতন্ত্র | না |
নির্বাচনী কলেজ | না |
ইতিহাস | |
সংশোধনী | ১৭ |
সর্বশেষ সংশোধনী | ৮ জুলাই ২০১৮ |
উদ্ধৃতি | গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান, ২০২১-০৬-১৩উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link) |
অবস্থান | বাংলাদেশ |
লেখক | কামাল হোসেন সংবিধানের খসড়া কমিটির চেয়ারম্যান এবং গণপরিষদের অন্যান্য সদস্যগণ |
স্বাক্ষরকারী | গণপরিষদের ৪০৩ এর মধ্যে ৩৯৯ জন সদস্য |
স্থানান্তর | বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র |
সম্পূর্ণ পাঠ্য | |
উইকিসংকলনে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান |
১০ই এপ্রিল ২০১৮ সালের সপ্তদশ সংশোধনী সহ বাংলাদেশের সংবিধান সর্বমোট ১৭ বার সংশোধিত হয়েছে। এই সংবিধান সংশোধনের জন্য সংবিধানের ১৪২নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জাতীয় সংসদের সদস্যদের মোট সংখ্যার দুই তৃতীয়াংশ সদস্যের ভোটের প্রয়োজন হয়। তবে পঞ্চম সংশোধনী , সপ্তম সংশোধনী , ত্রয়োদশ সংশোধনী ও ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের আদেশে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট রায় দিয়েছে যে, সংবিধানের মূল কাঠামো পরিবর্তন হয়ে যায় এরূপ কোনো সংশোধনী এতে আনা যাবে না; আনা হলে তা হবে এখতিয়ার বহির্ভূত।[2]
বাংলাদেশের সংবিধান কেবল বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইনই নয়;- সংবিধানে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের মূল চরিত্র বর্ণিত রয়েছে। এতে বাংলাদেশের ভৌগোলিক সীমারেখা বিধৃত আছে। দেশটি হবে প্রজাতান্ত্রিক, গণতন্ত্র হবে এদেশের প্রশাসনিক ভিত্তি, জনগণ হবে সকল ক্ষমতার উৎস এবং বিচার বিভাগ হবে স্বাধীন। জনগণ সকল ক্ষমতার উৎস হলেও দেশ আইন দ্বারা পরিচালিত হবে। সংবিধানে জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা -কে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে।