বার্তাবাহী আরএনএ
আরএনএ অণুর বড় পরিবার যা ডিএনএ থেকে রাইবোসোমে জেনেটিক তথ্য পৌঁছে দেয়, যেখানে তারা জিনের অভিব্য / From Wikipedia, the free encyclopedia
আণবিক জীববিজ্ঞানে বার্তাবাহী আরএনএ ( এমআরএনএ ) একটি জিনের জিনগত অনুক্রমের সাথে মিলে যায় এরকম আরএনএর এক-তন্ত্রী অণু যা একটি প্রোটিন সংশ্লেষণের প্রক্রিয়ার জন্য একটি রাইবোসম দ্বারা পড়া হয়।
এমআরএনএ প্রতিলিপি প্রক্রিয়া চলাকালীন তৈরি হয়, যেখানে একটি এনজাইম ( আরএনএ পলিমারেজ ) জিনকে প্রাথমিক ট্রান্সক্রিপ্ট এমআরএনএতে রূপান্তরিত করে ( প্রি-এমআরএনএ হিসাবেও পরিচিত)। এই প্রাক mRNA সাধারণত ইনট্রন অঞ্চল ধারণ করে, যে অঞ্চলগুলি অ্যামিনো অ্যাসিড ক্রম এ যাবেনা। এই অঞ্চল গুলিকে আরএনএ স্প্লাইসিং প্রক্রিয়ার মধ্যে সরিয়ে ফেলা হয়, শুধুমাত্র [[এক্সন অঞ্চল (যে প্রোটিন এনকোড করতে পারে) ছাড়া। এই এক্সন ক্রমটি পরিণত এমআরএনএ গঠন করে। পরিণত এমআরএনএ তখন রাইবোসোম দ্বারা পড়া হয়, এবং, ট্রান্সফার আরএনএ (টিআরএনএ) দ্বারা বাহিত অ্যামিনো অ্যাসিড ব্যবহার করে রাইবোসোম প্রোটিন তৈরি করে। এই প্রক্রিয়াটি অনুবাদন হিসাবে পরিচিত। এই সমস্ত প্রক্রিয়াগুলি আণবিক জীববিজ্ঞানের কেন্দ্রীয় ডগমা অংশ হিসাবে গঠিত যা জৈবিক পদ্ধতিতে জিনগত তথ্যের প্রবাহকে বর্ণনা করে।
ডিএনএর মতো এমআরএনএ-তে জিনগত তথ্য নিউক্লিওটাইডের অনুক্রমের মধ্যে থাকে, কিন্তু প্রতি তিনটি বেস জোড়া নিয়ে কোডনগুলি সাজানো হয়। স্টপ কোডনগুলি ব্যতীত প্রতিটি কোডন নির্দিষ্ট অ্যামিনো অ্যাসিডকে কোড করে। অ্যামিনো অ্যাসিডে কোডন অনুবাদ করার এই প্রক্রিয়াতে আরএনএর আরও দুটি ধরনের আর এন এ দরকার হয়: যথা ট্রান্সফার আরএনএ, যা কোডনকে চিনতে পারে, এবং একইসঙ্গে নির্দিষ্ট অ্যামিনো অ্যাসিড কে বয়ে আনে। এবং রাইবোসোমাল আরএনএ (আরআরএনএ) রাইবোজোম নামক প্রোটিন উৎপাদনকারী যন্ত্রপাতিটির গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসাবে কাজ করে।
এমআরএনএর অস্তিত্বটি প্রথমে জ্যাক মনোড এবং ফ্রান্সিস জ্যাকব অনুমান করেছিলেন এবং পরবর্তীকালে ১৯৬১ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে জ্যাকব, সিডনি ব্রেনার এবং ম্যাথিউ ম্যাসেলসন আবিষ্কার করেছিলেন। [1]