ব্যবহারকারী:Roshu Bangal/খেলাঘর
From Wikipedia, the free encyclopedia
মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস (ইংরেজি: Multiple Sclerosis বা সংক্ষেপে MS বা এম.এস.) হলো একধরনের ডি-মায়েলিনেটিং রোগ, যাতে মানব মস্তিষ্কে ও স্নায়ুরজ্জুতে বিদ্যমান স্নায়ুকোষগুলোকে আচ্ছাদনকারী অন্তরক আবরণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়।[1] এই ক্ষতির কারণে, স্নায়ুতন্ত্রের অংশবিশেষের অন্য অংশগুলোর সাথে যোগাযোগ স্থাপনের ক্ষমতা বাধাপ্রাপ্ত হয়, যার ফলশ্রূতিতে, বৃহৎ পরিসরে বহুশ্রেণির শারীরিক এবং মানসিক লক্ষণ ও উপসর্গের সৃষ্টি হয়। এসব উপসর্গের মধ্যে সাধারণত শারীরিক, বুদ্ধিবৃত্তিক ও কখনও কখনও মানসিক সমস্যাও দেখা দেয়।(Compston, A. এবং Coles A.)CITEREFMurray_et_al.2012 সুনির্দিষ্ট উপসর্গগুলোর মধ্যে দৈত দৃষ্টি, এক চোখে অন্ধত্ব, মাংসপেশীর দূর্বলতা, ঈন্দ্রিয়ানুভূতিগত সমস্যা অথবা অঙ্গসঞ্চালনে সমণ্বয়হীনতা উল্লেখযোগ্য।[2] এম.এস. বিভিন্ন রূপ ধারণ করে থাকে, যেগুলোর ফলে বিচ্ছিন্ন আক্রমনের সাথে নতুন উপসর্গ (পুনরাবনতিশীল রুপ) কিংবা সময়ের সাথে নতুন নতুন উপসর্গ (অগ্রসরমান রূপ) দেখা দিতে পারে।[3] দুটি আক্রমনের মাঝের সময়ে, হয়ত উপসর্গগুলো পুরোপুরিভাবে চলে যেতে পারে; যদিও তা সত্ত্বেও, স্থায়ীভাবে কিছু স্নায়ুবিক সমস্যা অবশিষ্ট থেকে যায়, বিশেষত যখন রোগটি অগ্রসরমান হয়।[3]
এটি Roshu Bangal-এর ব্যবহারকারী খেলাঘর। ব্যবহারকারী খেলাঘর হচ্ছে ব্যবহারকারী'র ব্যবহারকারী পাতার একটি উপপাতা। এটি ব্যবহারকারীর জন্য একটি তৎক্ষণাৎ পরীক্ষা এবং পাতা উন্নয়নের স্থান হিসেবে কাজ করে এবং এটি বিশ্বকোষীয় নিবন্ধ নয়। আপনি এখানে নিজস্ব খেলাঘর তৈরি করতে বা সম্পাদনা করতে পারেন। অন্যান্য খেলাঘরগুলি: প্রধান খেলাঘর | খেলাঘর ২, খেলাঘর ৩ | টেমপ্লেট খেলাঘর একটি নিবন্ধ লিখেছেন এবং তা সৃষ্টির অনুরোধ করতে প্রস্তুত? পর্যালোচনার জন্য আপনার খসড়া জমা দিন! |
এই নিবন্ধে একাধিক সমস্যা রয়েছে। অনুগ্রহ করে নিবন্ধটির মান উন্নয়ন করুন অথবা আলাপ পাতায় বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করুন।
|
Roshu Bangal/খেলাঘর | |
---|---|
প্রতিশব্দ | disseminated sclerosis, encephalomyelitis disseminata |
বিশেষত্ব | Neurology |
যদিও এ রোগের কারণ স্পষ্ট নয়, তবুও, ইমিউন সিস্টেমের আক্রমন অথবা মায়েলিন উৎপন্নকারী কোষগুলোর বিকলতাকেই এ রোগের অন্তর্নিহিত কৌশল বলে মনে করা হয়ে থাকে।[4] এ রোগের প্রস্তাবিত কারণগুলোর মধ্যে, জিনগত ও পরিবেশীয় নিয়ামক যেমন, ভাইরাস সংক্রমণ উল্লেখযোগ্য, যেখানে হয়ত, ভাইরাস সংক্রমণ রোগের অগ্রসরতাকে উসকে দিতে পারে।[5][6] এম.এস. সাধারণত দৃশ্যমান লক্ষণ ও উপসর্গ এবং পর্যবেক্ষণকে সমর্থনকারী মেডিকাল পরীক্ষা-নিরীক্ষার ভিত্তিতে শনাক্ত করা হয়ে থাকে।[7]
মাল্টিপল স্ক্লেরোসিসের কোন প্রতিষেধক নেই।[2] আক্রমণের পরে শারীরবৃত্তিক ক্রিয়াকলাপ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা এবং নতুন আক্রমণ প্রতিহত করার উদ্দেশ্যেই চিকিৎসা করা হয়ে থাকে।[5] এ রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধগুলো সুবিধাজনকভাবে কার্যকরী হওয়া সত্ত্বেও, এগুলোর এমন কিছু পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া থাকতে পারে যেগুলো হয়ত রোগীর কাছে অসহনীয় মনে হতে পারে।[2] ফিজিকাল থেরাপি এক্ষেত্রে রোগীদের স্বাভাবিক ক্রিয়াকলাপে সাহায্য করতে পারে।[2] তবে অনেকেই বিকল্প চিকিৎসার সরণাপন্ন হয়ে থাকেন, যদিও এর কার্যকারীতার কোন প্রমাণ নেই।[8] দীর্ঘমেয়াদী পরিণতির পূর্বাভাস দেয়া খুবই কঠিন। যদিও, বিশেষ জনগোষ্ঠী, যেমন যারা অল্প বয়সে রোগের শিকার হন, যারা এ রোগের পুনরাবনতিশীল প্রকরণে আক্রান্ত হন কিংবা যারা প্রাথমিকভাবে অল্প কিছুবার আক্রমণের শিকার হন, তাদের ক্ষেত্রে অনেকসময় ভালো পরিণতি দেখা যায়। মহিলাদের ক্ষেত্রে পুরুষদের তুলনায় অপেক্ষাকৃত ভালো পরিণতি দেখা যায়।[9] সাধারণ জনগোষ্ঠীর তুলনায় এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের আয়ুষ্কাল গড়ে ৫ থেকে ১০ বছর কম হয়ে থাকে।[5]
মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস হলো কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের অটোইমিউন রোগগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সর্বজনীন।[10] ২০১৩ সালে, বিশ্বব্যাপী প্রায় ২.৩ মিলিয়ন মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়। যেখানে বিভিন্ন অঞ্চল ও জনগোষ্ঠীর মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যার উল্লেখযোগ্য তারতম্য বিদ্যমান।[11][12] ঐ বছরে প্রায় ২০,০০০ মানুষ এই রোগের কারণে মারা যায়, যেখানে ১৯৯০ সালে মৃতের সংখ্যা ছিল প্রায় ১২,০০০।[13]