ভাত শালিক
পাখি প্রজাতি / From Wikipedia, the free encyclopedia
ভাত শালিক (বৈজ্ঞানিক নাম: Acridotheres tristis) Sturnidae (স্টার্নিডি) গোত্র বা পরিবারের অন্তর্গত Acridotheres (অ্যাক্রিডোথিরিস) গণের অন্তর্গত অত্যন্ত পরিচিত একটি পাখি।[2][3] ভাতশালিকের বৈজ্ঞানিক নামের অর্থও অনুজ্জ্বল পঙ্গপালভূক (গ্রিক: akridos = পঙ্গপাল, theres = শিকারী; লাতিন: tristis = অনুজ্জ্বল বর্ণের)।[3][4] পাখিটি বাংলাদেশ, ভারত ছাড়াও দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে দেখা যায়। সারা পৃথিবীতে এক বিশাল এলাকা জুড়ে এদের আবাস, প্রায় ৭১ লক্ষ ৯০ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এদের আবাস।[5] বিগত কয়েক দশক ধরে এদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। সেকারণে আই. ইউ. সি. এন. এই প্রজাতিটিকে ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত বলে ঘোষণা করেছে।[1] বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী আইনে এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।[3]
ভাত শালিক | |
---|---|
Acridotheres tristis tristis, ভারত | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | অ্যানিমেলিয়া |
পর্ব: | কর্ডাটা |
শ্রেণী: | পক্ষী |
বর্গ: | প্যাসারিফর্মিস |
পরিবার: | স্টার্নিডি |
গণ: | Acridotheres |
প্রজাতি: | A. tristis |
দ্বিপদী নাম | |
Acridotheres tristis (লিনিয়াস, ১৭৬৬) | |
উপপ্রজাতি | |
Acridotheres tristis melanosternus | |
ভাতশালিকের বিস্তৃতি; আদি নিবাস নীল রঙে ও অবমুক্তকরণ অঞ্চল লাল রঙে চিহ্নিত | |
প্রতিশব্দ | |
Paradisaea tristis লিনিয়াস, ১৭৬৬ |
ভাত শালিক পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এবং ক্রমেই এ ছড়ানোর হার দ্রুতগতিতে বাড়ছে। আইইউসিএন কর্তৃক প্রজাতিটি অন্যতম অনুপ্রবেশকারী ক্ষতিকর প্রজাতি হিসেবে ঘোষিত হয়েছে।[6] বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়ায় ভাতশালিক সর্বোচ্চ ক্ষতিকর প্রজাতি হিসেবে চিহ্নিত।[7] প্রজাতিটি সমগ্র পৃথিবীব্যাপী মানবস্বার্থ, বাস্তুতন্ত্র, কৃষি ও জীববৈচিত্র্যের প্রতি হুমকিস্বরূপ।