ভারতের পার্বত্য রেলপথ
From Wikipedia, the free encyclopedia
ভারতের পার্বত্য রেলপথ হল সারা বিশ্বে চালু অনুরূপ ২০টি ন্যারো বা মিটার-গেজ রেলপথের মধ্যে ভারতে চালু ছয় বা সাতটি ছোটো রেলপথ।[1] এই লাইনগুলি চালু হয়েছিল ব্রিটিশ শাসনকালে। এগুলি আজও চালু অবস্থাতেই আছে। বর্তমানে এগুলি ভারতীয় রেলের নিয়ন্ত্রণাধীন। এই রেলপথগুলির মধ্যে চারটি উত্তর ভারতের হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলে অবস্থিত। এগুলি হল: দার্জিলিং হিমালয়ান রেল (১৮৮১), কালকা-সিমলা রেল (১৮৯৮), কাংড়া উপত্যকা রেল পাঠানকোট (১৯২৪) ও কাশ্মীর রেল (২০০৫)।দুটি রেলপথ অবস্থিত দক্ষিণ ভারতের পশ্চিমঘাট পর্বতমালায়। এগুলি হল: নীলগিরি পার্বত্য রেল, তামিলনাড়ু ও মাথেরন পার্বত্য রেল, মহারাষ্ট্র।২০শ শতাব্দীতে দক্ষিণ অসমের কাছাড় পার্বত্য অঞ্চলের বরাক নদী উপত্যকায় লামডিং–শিলচর লাইনটি চালু হয়। দার্জিলিং হিমালয়ান রেল, নীলগিরি পার্বত্য রেল ও কালকা-শিমলা রেল ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃত।[2][3][4]
ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান | |
---|---|
মানদণ্ড | সাংস্কৃতিক: ২, ৪ |
সূত্র | ৯৪৪ |
তালিকাভুক্তকরণ | ১৯৯৯ (২৩তম সভা) |
প্রসারণ | ১৯৯৯ দার্জিলিং হিমালয়ান রেল; ২০০৫ কালকা-সিমলা রেলওয়ে; ২০০৮ নীলগিরি পার্বত্য রেলপথ |
এই রেলপথগুলি ভারতের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি শৈলশহরকে পাহাড়ের পাদদেশীয় অঞ্চলের সঙ্গে যুক্ত করেছে। ব্রিটিশ শাসনকালে যখন দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলে এই রেলপথগুলি নির্মিত হয়েছিল, তখন প্রযুক্তিগত উন্নতি বিশেষ ঘটেনি। তাই এই রেলপথগুলিকে "প্রযুক্তির উন্নয়নে মূল্যবিনিময়ের অসাধারণ উদাহরণ" ও প্রকৌশলের অসাধারণত্বের উদাহরণ মনে করা হয়।[2][3][4]