যম (দেবতা)
মৃত্যু ও ন্যায়বিচারের হিন্দু দেবতা / From Wikipedia, the free encyclopedia
যম (সংস্কৃত: यम) বা যমরাজ বা কাল বা ধর্মরাজ হলেন মৃত্যু ও ন্যায়বিচারের হিন্দু দেবতা, এবং তাঁর বাসস্থান যমলোক বা যমপুরী।[1][2] তিনি ধর্মের সাথেও একাত্ম ভাবে আখ্যায়িত হন, যদিও তাঁদের ভিন্ন ভিন্ন উৎপত্তি বর্ণনাও পুরাণে (গরুড়, কালিকা প্রভৃতি পুরাণ) রয়েছে ।[3][4] তিনি রামায়ণ, মহাভারত এবং পুরাণ সহ হিন্দুধর্মের কিছু গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থে আবির্ভূত এবং উল্লেখযোগ্য দেবতা।
যম | |
---|---|
মৃত্যু ও বিচারের দেবতা[5] | |
অন্যান্য নাম | মৃত্যু,যমরাজ, কাল, ধর্মরাজ |
দেবনগরী | यम |
অন্তর্ভুক্তি | লোকপাল, দেব, গণ |
আবাস | নরক (যমলোক) |
গ্রহ | প্লুটো[6] |
মন্ত্র | ওঁ সূর্যপূুত্রায় বিদ্মহে মহাকালায় ধীমহি তন্নো যমঃ প্রচোদয়াৎ।[7][টীকা 1] |
অস্ত্র | দণ্ড ও পাশ |
বাহন | মহিষ |
ব্যক্তিগত তথ্য | |
মাতাপিতা | |
সহোদর | যমী (যমুনা), অশ্বিনী, শ্রাদ্ধদেব মনু, রেবন্ত, শনি ও তপতী |
সঙ্গী | ধূমর্ণা[8][টীকা 2] |
সন্তান | সুনৃতা, যমকুমার, অন্যরা; যুধিষ্ঠির (আধ্যাত্মিক পুত্র)[12] |
সমকক্ষ | |
গ্রিক সমকক্ষ | হাদেস |
রোমান সমকক্ষ | রেমাস[13] ডিস পেটার[14] |
নর্স সমকক্ষ | যমির[15][16][17] |
মনিপুরী সমকক্ষ | ঠংগেলেল[18] |
যম দশ দিকপালের অন্যতম ও দক্ষিণ দিকের রক্ষক হিসেবে নিযুক্ত, তাঁর নামানুসারেই দক্ষিণদিক যাম্য নামে পরিচিত। যম কৃষ্ণবর্ণ, খর্বকায়, খঞ্জ, মহিষবাহন এবং তিনি আত্মাকে দেহ হতে নিষ্কাশন করার জন্য একটি পাশ ও একটি দণ্ড (কালদণ্ড) বহন করেন। বিভিন্ন পুরাণ তাঁকে সূর্য দেবতা (বা বিবস্বান) এবং সংজ্ঞার পুত্র এবং যমী(যমুনার) যমজ ভ্রাতা বলে বর্ণনা করে। তাঁর সম্পর্কিত মহাকাব্যিক/পৌরাণিক ঘটনাবলীর মধ্যে উল্লেখনীয় পাণ্ডব জন্ম, সাবিত্রী সত্যবান এবং ঋষি মার্কণ্ডেয়ের চিরজীবিত্বের প্রসঙ্গ। তাঁর সহকারী চিত্রগুপ্ত, পাপ-পুণ্যের হিসাব রক্ষক দেবতা।[19] আধুনিক সংস্কৃতিতে, যমকে ভারতের বিভিন্ন নিরাপত্তা অভিযানে চিত্রিত করা হয়েছে।