ল্য রেইন আনিমাল
From Wikipedia, the free encyclopedia
ল্য রেইন আনিমাল (আক্ষ. 'প্রাণীরাজ্য') ফরাসি প্রকৃতিবিদ জর্জেস কুভিয়ের সবচেয়ে বিখ্যাত লেখনী। এই বইটি প্রাকৃতিক ইতিহাস ও তুলনামূলক শারীরস্থানের উপর ভিত্তি করে সমগ্র প্রাণীজগতের প্রাকৃতিক গঠন বর্ণনা করেছে। কুভিয়ে সকল প্রাণীর প্রজাতিকে চারটি শাখায় (যা বর্তমান প্রাণী শ্রেণিবিন্যাসের ধাঁচে "পর্বের" সাথে সম্পর্কিত) বিভক্ত করেছেন, যথা মেরুদণ্ডী প্রাণী, মোলাস্কা, সংযোগবিশিষ্ট প্রাণী (আর্থোপোড এবং অ্যানিলিডস) এবং জুফাইটস (নিডারিয়া এবং অন্যান্য পর্ব)।
লেখক | জর্জেস কুভিয়ে |
---|---|
দেশ | ফ্রান্স |
বিষয় | প্রাণিবিজ্ঞান |
প্রকাশনার তারিখ | ১৮১৬ (৪ খণ্ড) ১৮২৯-১৮৩০ (৫ খণ্ড) |
১৮১৬ এর ডিসেম্বরে চারটি আট খন্ডের ভলিউমে বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় (যদিও সবগুলোর শিরোনাম পাতায় ১৮১৭ লেখা ছিলো); পাঁচ ভলিউমের দ্বিতীয় একটি সংস্করণ বের হয়েছিলো ১৮২৯-১৮৩০ সালে এবং কুভিয়ের "বারোজন ছাত্রের" লেখা একটি তৃতীয় সংস্করণ বের হয় ১৮৩৬-১৮৪৯ সালের মধ্যে। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন এই কাজে কুভিয়ের জীবীত ও জীবাশ্ম হিসেবে প্রাপ্ত সকল প্রাণীর গঠন নিয়ে তাঁর সারা জীবনের গবষেণালব্ধ ফলাফল উপস্থাপন করেন। পুরো লেখনীটাই ছিলো তাঁর নিজের, কেবলমাত্র পতঙ্গ নিয়ে আলোচ্য অংশটুকু ব্যতিরেকে, যেটুকু লেখার জন্য তাকে সাহায্য করেন বন্ধু পিয়েরে আন্দ্রে ল্যাট্রেইল। ইংরেজিতে একাধিকবার লেখাটি অনূদিত হয়, নতুন আবিষ্কৃত তথ্যাদি দিয়ে বইটি হালনাগাদ করার জন্য প্রায়ই এরূপ অনুবাদে বিস্তর টীকা ও সম্পূরক লেখালেখি যোগ করা হয়েছে। জার্মান, ইতালীয় এবং অন্যান্য ভাষাতেও এটির অনুবাদ হয়, এবং শিশুদের জন্য উপযোগী করে একটি সংক্ষিপ্ত সংস্করণও প্রকাশ করা হয়।
ল্য রেইন আনিমাল যথেষ্ট প্রভাবশালী হয়ে উঠতে সক্ষম হয় ব্যাপকভাবে পঠিত হবার দরুণ, উপরন্তু এতে ছিলো পারস্পারিক সম্পর্কযুক্ত প্রাণীগোষ্ঠীর নির্ভুল বর্ণনা, উদাহরণস্বরূপ বর্তমানে বিদ্যমান হাতি এবং বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া ম্যামথ যা বৈবর্তনিক পরিবর্তনের সপক্ষে দৃঢ় প্রমাণ সরবরাহ করে পাঠকদের মাঝে, যাদের মধ্যে চার্লস ডারউইনও ছিলেন। যদিও কুভিয়ে নিজে বিবর্তন সংঘটিত হবার সম্ভবনাকে প্রত্যাখান করেন।